মুছাপুর আর আগের মত নেই।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

মুছাপুর আর আগের মত নেই।

20241013_165020.jpg

গত বন্যায় মুছাপুর এর সুইস গেট ভেঙে গিয়েছিল। যার কারণে পুরো মুছাপুরবাসী বিপদসীমায় বসবাস করছে।আর এই সুইচগেট ভেঙে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যা।শুধু আমি নয়, আমার বাবা, তার বাবা এবং তার বাবা, আরো যদি বলতে চাই তারও আগের বংশধররা আমাদের ফেনী এরিয়াতে এরকম বন্যা দেখেনি। তবে এইবার যে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যা ঘটে গিয়েছে এটি চিরদিনের জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছে এবং রবে।
20241013_165811.jpg

ফেনী এরিয়ার মধ্যে বন্যা হওয়াতে সেই পানিগুলো ঘুরে গিয়ে সুইসগেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতো। আর বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর জন্য মুছাপুর একটি সুইচগেট ছিল। অতিরিক্ত বন্যার পানির কারণে এই সুইচগেট টি ভেঙ্গে গিয়েছে। যার কারনে ওই এরিয়ার মানুষের যে করুন অবস্থা চোখে না দেখলে তা বিশ্বাস হবে না।সুইস গেটের এদিক-ওদিক মিলে মুছাপুরবাসীর জিন্য দুটো এরিয়া অবস্থিত।
20241013_165023.jpg

বর্তমানে গেট ভেঙে যাওয়াতে একটা এরিয়ার মানুষ আরেকটা এরিয়ার মানুষের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মানুষ এখন এপার থেকে ওপার নৌকা ব্যবহার করে চলাফেরা করতে হয়।আর সুইচগেট টি ভেঙ্গে যাওয়াতে এখন আশেপাশে চলাচলের রোড এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো পানির স্রোত ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কারো কিছু করণীয় নেই। কারণ স্রোতের সাথে কেউই আসলে পাল্লা দিয়ে টিকবে না।

20241013_165754.jpg

মুছাপুর এরিয়া দুটো সাইটের মধ্যে একটি সাইটে একদম রেড জুন হয়ে আছে। ধীরে ধীরে ভাঙতে ভাঙতে অনেক বিশাল একটা এরিয়া ভেঙে গেছে এবং অনবরত ভাঙতেই আছে। আমি আবার একটু সময় পেলেই মুছাপুর যেতাম, ঘোরাঘুরি করার জন্য।কারণ ঘোরাঘুরি করলে মন কিছুটা ফ্রেশ হয়। তাই যখন শুনলাম মুছাপুরের গেট ভেঙে গিয়েছে তখন দেখার ইচ্ছে হয়েছিল। চিন্তা করলাম মুছাপুরের সুখের সময় গিয়ে সেখানে সময় অতিবাহিত করেছি, এখন দুঃখের সময় কেন যাব না। তাই এই দুর্দশা দেখার জন্য হলেও ঘুরে এসেছিলাম মুছাপুর থেকে।

20241013_165802.jpg

যদিও মুছাপুর যাওয়ার মেইন রোড গুলো এখন ভেঙে গিয়েছে। যার কারণে অনেক দূর ও ভাঙ্গা রোড পার হয়ে মুছাপুর দেখতে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে যতদূর জানতে পারলাম যে এখন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত তাদের হাতে কিছু নেই। একদিক থেকে এখনো বর্ষাকাল শেষ পর্যায়ে আর শীতের অল্প কিছুদিন বাকি। তবে এখনো জোয়ার ভাটা ঠিকই উত্তপ্ত রয়েছে। তাই এখন এই সুইচগেটের কাজ করা সম্ভব নয়।
20241013_165806.jpg

তবে শীতের সিজনের মাঝামাঝি সময়ে হয়তো কাজ করতে পারতো কিন্তু বর্তমানে দেশের অবস্থার কারণে সেটাও অনিশ্চিত। আর এটাই মুছাপুরবাসীর জন্য অনেক বড় একটি দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আর শুধু মুছাপুর নয় এই সুইচগেট গেট না থাকলে আমাদের এরিয়াতে ও আগের মত স্বাভাবিকভাবে পানি না থেকে, এখন প্রতিবছর একটু বাড়তি থাকবে ।যাইহোক এইতো কয়েকদিন আগে ঘুরতে গেলাম তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে বিষয়গুলো শেয়ার করি। আশা করছি ব্লগটি সবাই পড়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ।

আগামীতে আবারো হাজির হবো কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণভ্রমণ।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

IMG-20231214-WA0050.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

সুইচ গেট টি ভেঙ্গে পানির চাপে ভেঙ্গে গিয়েছে, জেনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে সুইচগেটের মাধ্যমে পানির নিয়ন্ত্রণ হয়।আর এই সুইচগেট যদি ভেঙ্গে যায়, তাহলে পানি কে আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এখন মুসাপুর এলাকার মানুষ বেশ অশান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আশা করছি তাদের সমস্যার সমাধান খুবই তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।

 2 months ago 

আসলেই এবারের বন্যায় আপনাদের দিকে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুছাপুর জায়গাটা খুব সুন্দর ছিলো এবং আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে সেখানকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগতো। আশা করি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই ঠিক হবে এবং শীতকালে মুছাপুরের সুইচগেটের কাজ করতে পারবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.26
JST 0.040
BTC 97876.97
ETH 3483.25
USDT 1.00
SBD 3.26