নানার বাড়িতে সাপ ধরার একটি ঘটনা।

Source from pixabay.com

আগের পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

এরপর বাড়ির সীমানায় চারিদিকে কুড়ো গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়ার পরে সবাই বসে অপেক্ষায় রইলো উঠোনে, সাপ কবে ধরবে। পরবর্তীতে প্রথমে সাপুড়ে লোকটি বলে পশ্চিম দিকে একটি সাপ আছে। আর সেই সাপটি লাউ গাছের পাশে আছে। এ কথা শুনে আমরা কিন্তু অবাক হয়ে গেলাম।কোথায় লাউ গাছ আর কোথায় সাপ।আর অবাক হতে লাগলাম লোকটি এখানে বসে কিভাবে বলে দিচ্ছে, যে পশ্চিম দিকে লাউ গাছের নিচে সাপ রয়েছে।

পরে দেখি তার লোকজন দুটো সেখানে গিয়ে একটি সাপ ধরে নিয়ে আসলো।তারপর সবার সামনে সেটাকে নিয়ে কিছুক্ষণ খেলা করলো তারা। এরপর একটি পাটের বস্তার মধ্যে এই সাপটি ঢুকিয়ে নিল। সাপটি প্রায় ৫ থেকে ছয় ফিটের মত লম্বা হবে। যাইহোক সবাই তো ভয়ে অস্থির হয়ে গিয়েছিল তখন।এরপর সাপুড়ে তার ওই লোক দুটো কে বলল যে দক্ষিণ দিকে খেজুর গাছের থেকে একটি সাপ নামতেছে সেটা ধরে নিয়ে আসো।

তখন সেই লোক দুটোর সাথে আমার এক মামা ও আরো কিছু ছেলে পেলে ছিল, সবাই সেখানে দৌড় দিল। আর সেই লোক দুটো দেখতে পেলাম ওই সাপটিকে ধরে নিয়ে আসলো। সেই সাপটাও চার থেকে পাঁচ ফিট লম্বা হবে। তার পর সেটা কেও পাটের বস্তায় ঢুকিয়ে নিল। মানুষজন তো রীতিমতো অবাক এত বড় বড় সাপ তাও আবার আগেই বলে দিচ্ছে আর তারা শুধু ধরে নিয়ে আসছে।আমরা মনে মনে ভাবতে লাগলাম হয়তো এরা বাড়িতে আসার আগে চুপিসারে সাপ গুলো ছেড়ে দিয়ে গিয়েছে।

আর এখন আমাদের সামনে ধরে দেখাচ্ছে। আসলে কিন্তু তা নয় সত্যি সাপ গুলো ধরেছিল। আমরা অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম কিভাবে কি করছে মনে হচ্ছে যেন স্বপ্ন সব।এরপর সাপুড়ে লোকটি তার লোক দুটোকে আবারো বলল যে উত্তর দিক থেকে একটি সাপ আসছে, সেটা কে ধরতে যাও। তখন লোক দুটো আবারও দৌড় দিল এবং সেখান থেকে সেটা ধরতে গিয়ে পারছিল না। আর সাপুড়ে উঠানে বসে বসে গ্লাসের পানিতে তাকিয়ে তাকিয়ে বলতেছে এটা অনেক শক্তিশালী সাপ এটা এভাবে ধরা যাবে না।

তখন ওই জায়গা থেকে একটি লোককে চিৎকার দিয়ে ডাকল।লোকটি উঠানে আসলে তার হাতে কড়ি পড়াটা দিয়ে দিল। তখন এই কড়ি পড়াটা নিয়ে যখন সাপের কাছে গেল তখন সাপ যেন দুর্বল হয়ে গেল। এরপর সাপটিকে ধরে নিয়ে আসলো আবার উঠোনে। আর এটা সাইজে কিছুটা ছোট তবে এটা নাকি খুব গরম সাপ। তাই তাকে ধরতেও কষ্ট হয়েছে।এভাবে করতে করতে তিনটে সাপ ধরে ফেলল তারা।আর তিনটাই পাটের বস্তায় ডুকিয়ে নিলো।

এবার পুনরায় সে কার্বোরিক এসিড মাখানো কুড়ো গুলো দিয়ে আবারো কুন্ডলী দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তখন এগুলো নিয়ে আবার কুন্ডলী দিতে শুরু করল সাথে আমার মামাও ছিল। কুণ্ডলী চারদিকে দিতে দিতে হঠাৎ করে একটা কবরস্থানের উপরে মেরে দিয়েছিল সেই কুড়া গুলো।কবরটি ছিলো নানার বাড়ির মিয়াজির কবর।উনার ইতিহাস অনেক বড় তাই সেটা নাই বললাম।যাইহোক কুড়া গুলো যখনই ওই কবরের উপর পড়লো, তখন সাপুড়ে উঠানে বসে বলতেছিলো হায় হায় হায় একি করলি, সর্বনাশ কেন করলি।

যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করলাম।তবে আগামী পর্বে বাকি ঘটনা গুলো দেখতে পাবেন।এই বলে আজকের মত এখানে বিদায় নিবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তো বেশি কথা না বলে এখানে বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	সাপ ধরার গল্প।
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থান	বাংলাদেশ

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}