ঈশ্বরগঞ্জ ভ্রমণের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা।
শুভ রাত্রি 🌃
আজ ১৬ ই মার্চ,
রোজ রবিবার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম ঈশ্বরগঞ্জ ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
আমাদের ময়মনসিংহের শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে গতকাল গিয়েছিলাম ঈশ্বরগঞ্জে। অফিসের কাজে মাঝেমধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ যাওয়া হয়। তবে গতকাল গিয়েছিলাম সুলভ মূল্যে হাট বাজার দেখার জন্য। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসন চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এ বছরে। সবার জন্য উন্মুক্ত সুলভ মূল্যে বাজার হাট বসানো হয়েছে। সামনে যেহেতু ঈদুল ফিতর তাই মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারগুলো চাহিদা ব্যাপক। জনগণের কথা চিন্তা করে মানুষের চাহিদার সুবিধার্থে সকল প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কিছুটা কমিয়ে ঈদের আগে পর্যন্ত এই বাজার তৈরি করা হয়। আমি গিয়েছিলাম দেখার জন্য এবং কিছু বাজার করার জন্য। প্রয়োজন অনুযায়ী বেশ কিছু জিনিস কিনেছিলাম। আজকে সে সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে আমি পোস্ট সাজিয়েছি। আশাকরি আমার পোস্ট ভিজিট করে। আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহ।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় সকল মানুষ সে বাজারে ভীড় জমিয়ে ছিল। সেখানে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ সব ধরনের মানুষ দেখা যায়। সবাই সে বাজারে ছোট ছোট দোকান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছিল। দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কেননা স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর জন্য এই সুলভ মূল্যের বাজার খুবই উপযোগী। যাদের উদ্যোগে বাজার পরিচালনা হয়েছিল তাদের জন্য সবাই কিছুটা হলে মন খুলে দোয়া করবে। সে বাজারে ১০০ টাকার জিনিস ৮০ টাকায় পাওয়া যায়। উপজেলা পরিষদের চারিপাশে ছোট ছোট দোকান সুন্দর করে ডিজাইন করা হয়েছিল। চেষ্টা করেছি কিছু ফটোগ্রাফি নেওয়ার জন্য। তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসে প্রয়োজনে জিনিসগুলো ক্রয় করে নিয়ে যায়। সবার মুখে খুশির হাসি ফোটে।
ছবির অবস্থান :- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহ।
এক পাশে ছিল কাঁচা বাজার, অপর পাশে ছিল মুরগির দোকান। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো চাহিদা অনেক। ১৫০ টাকা সুলভ মূল্যে বয়লায় মুরগি পাওয়া যাচ্ছিল। তবে প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে কাঁচা বাজারের দাম অনেকটা শিথিল ছিল। পেঁয়াজ আলু বক্তাদের হাতের নাগালে থাকায় তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে এই ধরনের মহৎ উদ্যোগ গুলো জনসাধারণের জন্য খুবই উপকারে আসে। তবে কিছু মানুষ দাম কম দেখে বস্তা ভরে নিয়ে যাচ্ছিল। কোথায় আছে বাঙালি সস্তা পেলে আলকাতরা খায়। যাইহোক চেষ্টা করেছি দোকানের চারপাশে কিছু ফটোগ্রাফি নেওয়ার জন্য। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম পুরুষ মানুষের চেয়ে মহিলা মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল।
ছবির অবস্থান :- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহ।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মাস ব্যাপী এ বাজারে সব ধরনের মানুষ কেনাকাটা করতে পারবে। আমিও বেশ কিছু মুদি বাজার ক্রয় করেছিলাম। কেননা যে জিনিসগুলো সামনে ঈদের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন। তাই সেসব জিনিস কিছু কিনেছিলাম। কেননা আমাদের বাংলাদেশে চাহিদা বেড়ে গেলে সে জিনিসের দাম খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। বাজার সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সঠিক দামে বাজার পাওয়া যায় না। তাই বিভিন্ন উপজেলায় এ ধরনের সুলভ মূল্যের হাটের আয়োজন করা হয়েছে। সে বাজারে বিক্রেতা হিসেবে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের লোকজন দায়িত্ব পালন করছিল দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কেননা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যায় বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের মানুষ জনগণের উপকারের জন্য খুব দ্রুত এগিয়ে আসে। তবে হাট থেকে বাজার করা অনুভূতি খুবই ভালো ছিল। তাছাড়া বাজার করে কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। তবে এই ধরনের মহৎ উদ্যোগতাকে সকলের সাধুবাদ জানায়। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | ভ্রমণ পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | রিয়েলমি সি-৫৫। |
বিষয় | ঈশ্বরগঞ্জ ভ্রমণের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা। । |
লোকেশন | ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
X-Promotion
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/8) Get profit votes with @tipU :)