লাইফ স্টাইল :- বার্থডে পার্টি (গিফট নেওয়ার মুহূর্ত)
ABB 26 অক্টোবর ২০২৪ শনিবার ✅
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। গত ৮ অক্টোবর আমার জন্মদিন ছিল। ইতিমধ্যেই আপনারা অনেকেই জানেন। এই অনুষ্ঠান টাকে আমি চারটি ভাগে ভাগ করেছি। যা আপনাদের একটা একটা করে শেয়ার করতেছি। শেষ পর্বটি খুবই স্পেশাল হতে চলেছে!
১. বার্থডে পার্টি পর্ব ১ (ছবি তোলার মুহূর্ত)✅
২. বার্থডে পার্টি পর্ব ২ (কাচ্চি খায়ার মুহূর্ত)✅
৩. বার্থডে পার্টি পর্ব ৩ (গিফট নেওয়ার মুহূর্ত)✅
৪. বার্থডে পার্টি পর্ব ৪ (গিফট দেখার মুহূর্ত)
ইতিমধ্যেই আপনারা সবাই আমার দুইটি পোস্ট দেখে ফেলেছেন। ভীষণ আনন্দের দিন ছিল ৮ অক্টোবর। আসলে এভাবে আমি আর কখনোই কাউকে ট্রিট দেই নাই। গত এক একবার এক এক ভাবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এত বড় পরিসরে আর কখনোই দেওয়া হয় নাই। স্পেশালি আমার প্রিয় সব মানুষদেরকে নিয়ে। আসলে বর্তমানে খুবই কম লোকজনের সাথে মেলামেশা হয়। কারণ সব সময় কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হয় আমাকে।
যার কারনে অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব থাকলেও এখন কারো সাথে যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তাইতো যাদেরকে পেলাম শুধু তাদেরকেই দাওয়াত দিলাম। তারা সবাই আমার বর্তমানে খুব পছন্দের মানুষগুলো। জন্মদিন উপলক্ষে দাওয়াত দিয়েছি, তারাও কি আর কিছু না দিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এটা আমি কখনোই আশা করি নাই। আসলে জন্মদিন পালন করেছি কিনা জানিনা😁 , কিন্তু সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছি। জন্মদিন পালন করা মানে হলো কেক কাটা, বাজে ফোটানো নাচা গান গাওয়া। কিন্তু এখানে এমন কিছুই হয় নাই। শুধু খাওয়া দাওয়া। শুধু ট্রিট।
অনেকজনকে তো দাওয়াত দেওয়ার সময় জন্মদিনের কথা বলিও নাই। শুধু কাছে খাওয়ার কথা বলেছিলাম। যার কারণে অনেকে এখানে এসে লজ্জা করে গিয়েছে। যখন সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাকে গিফট দিতেছে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছে। আসলে তারা এভাবে লজ্জা পাবে আমি কখনো ভাবি নাই। শুধু কয়েকজনেরই ছবি তুলতে পেরেছিলাম। এর বাইরে অনেকেই গিফট দিয়েছে কিন্তু তারা ছবি তুলে নাই। ছোট কিংবা বড় সব গিফট আমার কাছে অনেক বড়।
ভালোবেসে যদি কেউ একটা গোলাপ গিফট করে তাহলে ওটার মূল্য থাকে অনেক বেশি। আসলে মূল্য আর কথা কেন আসবে কারণ গিফটের কখনোই কোন মূল্য হয় না। এটি অমূল্য সম্মানের হয়। যার কারণে গিফট দিতে এবং গিফট পেতে সবাই পছন্দ করে। আসলে অনেক লজ্জা লাগতেছিল যখন সবাই আমাকে গিফট দিচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন অনেক বড় অনুষ্ঠান হল, তাই সবাই আমাকে গিফট দিচ্ছিল।
বিশেষ করে সবার গিফট দেওয়ার সময় হাসিমুখ গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সবার মুখে শুধু হাসি আর হাসি। কিন্তু একটা বিষয় অবাক হলাম গিফটের ম্যাক্সিমাম বক্সে একই রেফিং দিয়ে তৈরি। মনে হয় সবাই একই দোকান থেকে কিনেছে। আর না হয় কেনার পর একটি দোকান থেকেই রেফিং করেছে। এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি মজার লেগেছে। মনে হচ্ছে যেন সবাই একই ধরনের গিফট দিচ্ছে।
পরে আমার ভাবনাটাই সঠিক হলো। সবাই আগে আগে আলাদা আলাদা গিফট কিনেছিল। কিন্তু এখানে আসার আগে সবাই একই দোকান থেকে রেফিং করেছে। যার কারণে গিফট বক্সগুলো একই রকম দেখাচ্ছে। এই বিষয়টাও আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। আসলে আমার প্রিয় সবগুলো মানুষকে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য এবং খুবই সুন্দর সুন্দর মূল্যবান গিফট গুলো আমাকে দেওয়ার জন্য। সবার কাছে আমি অনেক অনেক ঋণী হয়ে গেলাম। এভাবে এমন হবে আমি কখনোই আশা করি নাই। এখানে আমার খুবই পছন্দের এবং অনেক প্রিয় কিছু গিফট রয়েছে। যা আপনাদের মাঝে শেষ করবে দেখাবো। কি কি গিফট পেলাম তা পরবর্তী / শেষ পর্বে দেখাবো। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব দেখতে পারবেন। আশা করি সবার ভালো লেগেছে এবং আগামী পোস্টটা আরও বেশি ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | Lifestyle |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/NARocky4/status/1850022744701726972?t=gT6Wh8cqIKOGSNE8k6kYkQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ আপনার জন্মদিনের তৃতীয় পার্টটি পড়লাম৷ খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে বিষয়টি উপস্থাপনা করছেন। জন্মদিনে যদিও গিফট দেওয়ার বিষয়টাকে আমি খুব একটা গুরুত্ব দিই না, কিন্তু তাও আপনার পোস্টে পড়তে খুব ভালো লাগলো। সকলের হাসিমুখে ছবি দেখলে সত্যিই দিনের শেষে মনটা ভালো হয়ে যায়। এমন করে বারে বারে ফিরে আসুক আপনার জন্মদিন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি দীর্ঘায়ু লাভ করুন।।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই সবার হাসিমুখ আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমার পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তুমি একে একে বার্থডে পার্টির প্রত্যেকটা পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করছো দেখে অনেক ভালো লাগলো। দেখতে দেখতে তিনটা পর্ব শেষ হয়ে গেল। এখন শুধু গিফট দেখার মুহূর্ত টা বাকি রয়েছে। আসলে আমরা সবাই একটা দোকান থেকেই রেফিং করিয়েছি। যার কারণে একই পেপার সিলেক্ট করা হয়েছে। আশা করছি অনেক তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবে।
আমি প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে
আপনি বার্থডে পার্টির দুইটি পর্ব ইতিমধ্যে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। পর্ব দুইটি বেশ ভালো ছিলো। আজ আপনি বার্থডে পার্টির তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে বার্থডে পার্টির প্রত্যেকটি পর্ব ধারাবাহিকভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিষয়টা খুবই মজার এজন্য দাপে ধাপে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। শেষ পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্মদিনের বেশ কয়েকটি সেগমেন্ট দেখতে পারছি। আপনি আজকে গিফট গ্ৰহণ করার একটি সেগমেন্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে দেখছি অনেকেই বিভিন্ন ধরনের গিফট উপহার দিয়েছে। দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে আপনি সেদিন খুবই হাসি খুশি ছিলেন।
একদম ভাই ঠিক বলেছেন। অনেক বেশি আনন্দে ছিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে