রেসিপি: খিচুড়ি রেসিপি।
ABB 25. ২. ২০২4 রবিবার ♥️
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকের খিচুড়ি রেসিপি ভালো লাগবে।
আজকে আমি খুব মজাদার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছি যেটা আমার অনেক পছন্দের। সবজি খিচুড়ি কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এই খিচুড়ি আলু এবং ডাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বর্ষাকালে খিচুড়ি খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। তবে শীতের সময়ও ঠান্ডা পড়লে খিচুড়ি খেতে ভালো লাগে। এই রেসিপিটা আরো কয়েকদিন আগেই করা হয়েছিল। এটা খেতে এত বেশি ভালো লেগেছিল যে, আমার এখনো এটা খেতে ইচ্ছে করতেছে। কম বেশি সবাই কিন্তু খিচুড়ি খেতে খুবই পছন্দ করে। আমি সুন্দর করে এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেন যে কেউ চাইলে এটা তৈরি করতে পারে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক এটা তৈরি করার পদ্ধতি।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল | 500 গ্রাম |
আলু | ৪ টা |
ডাল | ১ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
টমেটো কুচি | ২ টা |
ধনিয়া পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
হলুদ | পরিমাণমতো |
মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি একটা বাতিলের মধ্যে তেল দিয়ে তেল গরম করে নিলাম তারপর আলু কুঁচি ভেজে নিলাম।
ধাপ 2️⃣
একবার পাতিলের মধ্যে আবারো তেল দিয়ে তেল গরম করলাম। তারপরে গরম তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন বাটা, মরিচ সবকিছু দিয়ে দিলাম।
ধাপ 3️⃣
এরপর আরেকটা পাতিলের মধ্যে চালগুলো দিয়ে দেওয়া হলো, তারপরে ডাল দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 4️⃣
এরপর আলু থাকা পাতিল টার মধ্যে আরো বেশি করে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিলাম এবং মরিচ টমেটো কুঁচি সবকিছুই দিয়ে দিলাম।
ধাপ 5️⃣
তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম। এরপর এটার মধ্যে চাল এবং ডাল মিক্স করা দিয়ে দিলাম। এরপর একটু নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ 6️⃣
তারপরে ধনিয়া পাতার কুঁচি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর পরিবেশনের জন্য একটা প্লেটের মধ্যে উঠিয়ে নেওয়া হলো। এভাবেই আমি আমার আজকের এই রেসিপিটা তৈরি শেষ করলাম। আশা করছি আপনারা এই রেসিপি তৈরি পছন্দ করবেন।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
এই রোজার দিনে এমন একটি রেসিপি তুলে ধরলে তো বিপদ। বেশ সুন্দর করে খিচুড়ি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি কিন্তু আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। আর বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি রেসিপিটা সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরার।
https://twitter.com/NARocky4/status/1761585162603921612?t=Eq5HV6GBod8KMR21iTc71w&s=19
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই,খিচুড়ি আমার সব থেকে বেশি ফেভারিট। আপনার পোস্ট দেখে খুব ইচ্ছা করতেছে যদিও ভার্চুয়াল পোস্ট ছুই করার নেই।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার। জন্য
খিচুড়ি আপনার সব থেকে বেশি ফেভারিট এটা শুনে খুব ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনি সকাল সকাল এমন মজাদার রেসিপি দিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন। সকালের নাস্তায় খিচুড়ি হলে মন্দ হয় না। আপনার খিচুড়ি দেখে তো খিদা লেগে গিয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। উপস্থাপনাও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি মজাদার খিচুড়ি সবার মাঝে শেয়ার করার।
শুধু বর্ষাকাল না ভাই সবসময়ই খিচুড়ি জাষ্ট ওয়াও ৷ কেনো শীতের দিনে ও তো দারুন লাগে ৷ যা হোক আপনি দেখি বেশ সুন্দর সাজিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছেন ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও ইচ্ছা করছে খেতে ৷
হিহিহিহি
হ্যাঁ সব সময় কিন্তু খিচুড়ি জাস্ট অসাধারণ লাগে।
খিচুড়ি ভাত আমার খুবই প্রিয় আজ সকালেও খাওয়া হয়েছে।
আপনি মজাদার ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখেই তো লোভ হচ্ছে এসে করছে খেতে শুরু করি।
খিচুড়ি ভাতের সাথে একটি ডিম ভাজি অথবা একটু বেগুন ভর্তা হলে আর কি চাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
খিচুড়ি ভাত আপনারও প্রিয় শুনে ভালো লাগলো। আর আপনারও খাওয়া হয়েছে শুনে ভালো লেগেছে।
শীতের সময় সবজি খিচিরি খেতে খুবই ভালো লাগে, বিশেষ করে বর্ষাকালে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি মজাদার আলু ও ডাল দিয়ে খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখে খেতে ইচ্ছা করছে, শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে শীতের সময়।
ভাই আপনি আজকে আমার ফেবারেট রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন । আপনার তৈরি খিচুড়ি রেসিপি মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আমি প্রায় দিন কোচিং শেষে হোটেলে খিচুড়ি খেয়ে থাকি। আসলে খিচুড়ির মধ্যে দুনিয়া পাতা দেওয়ার কারণে খেতে সব থেকে বেশি সুস্বাদু লাগবে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
ধনিয়া পাতা দেওয়ার কারনে বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খিচুড়ি আমার অনেক প্রিয়। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের খিচুড়ি রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবাই কমবেশি কিছুই খেতে পছন্দ করে। আর এত সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।