বিরক্তিকর মুহূর্ত
আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ --০৫ই, কার্তিক ,|১৪২৯ বঙ্গাব্দ||শুক্রবার||শীতকাল||
আচ্ছা বলুন তো আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই কারো জন্য একটি স্থানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন আর সে যদি দুই ঘন্টা লেট করে তাহলে আপনার সময়টা কেমন যাবে অথবা আপনার কাছে কেমন লাগবে বিষয়টি? আজকে আমার সাথেও ঠিক এমনটাই হয়েছে। সাতটায় ঘুম থেকে উঠে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছি একজনের অপেক্ষায়। যার জন্য গিয়েছি সে অবশ্য আমার পরিচিত নয় তার কাছ থেকে শুধু একটি পার্সেল আনতে হবে তাই গিয়েছিলাম। এদিকে রাতে ঘুম হয়নি আবার সকালে উঠে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ফ্লাইট নামার সকাল নয়টার মধ্যেই তাকে বাইরে চলে আসার কথা ছিল আমিও সেই টাইম মেইনটেইন করে সকাল 9 টার আগেই বিমানবন্দরে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
যেহেতু আমি যার কাছ থেকে পার্সেলটি নিব তাকে আমি চিনি না তাই আগেই যোগাযোগ করি উনাকে যে আনতে গিয়েছে তার সাথে এবং তার সাথে যোগাযোগ করে আমরা সবাই একসাথেই অপেক্ষা করতে থাকি। সকাল ৯ টা থেকে অপেক্ষা করতে করতে প্রায় সাড়ে এগারোটা বেজে যায় তার বাইরে আসতে। এই সময়টুকু আমরা যে কত বিরক্তি সাথে পার করেছি বোঝাতে পারবো না। তারপরও সকালে কিছু খেয়ে যায়নি পেটে প্রচুর ক্ষুধা কি খাব খুঁজে পাচ্ছি না। তারপর পাশেই একটি দোকান ছিল সেখানে গিয়ে কলা এবং রুটি খায়। কিন্তু কলার যে দাম তা শুনে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল একটি কলা ১৫ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হবে আমাদের এলাকাতেই ভালো 15 টাকা হলে পাঁচটা কলা পাওয়া যায়। এখানে এসে হঠাৎ এত দামের কলা খেতে বেশ কষ্টই লাগছিল এ যেন নাগালের বাইরে।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এতটা সময় কি করব খুঁজে পাচ্ছিলাম না তাই এদিক সেদিকে ঘোরাফেরা করছিলাম। আর আজকে প্রচুর রোদ ছিল ঘুরাঘুরি করতো বেশ কষ্ট লাগছিল এক কথায় পুরাটার সময় যেন অসহ্য যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কেটেছে। আমরা অবশেষে যেখানে কার পার্কিং করে সেখানে একটি গাছ ছিল আমরা গাছের ছায়াতে আশ্রয় নেই। এখানে দেশের বাইরে থেকে আসা অনেক মানুষ এসে বিশ্রাম গ্রহণ করতেছিল আর তাদের পার্সেল এখানে নিয়ে এসেছে অন্য জনের যদি কোন জিনিস থাকে সেগুলো দিচ্ছিল। আর যারা দেশের বাইরে থেকে দেশে আসছিল যখন তাদের আত্মীয়দের সাথে দেখা হচ্ছিল তখন তাদের মুখটা হাসিতে ভরে গিয়েছিল।
Device : Realme 7
What's 3 Word Location :
এই রোমাঞ্চকর অনুভূতি তারাই পাবে যারা দেশের বাইরে থেকে দেশে আসে অনেকদিন পর তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা হবে এটা অসাধারণ একটি অনুভূতি। তাদের এই হাসিমাখা মুখটা দেখতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগছিল মনে হচ্ছিল তাদের খুশিতে যেন আমার খুশি । আমরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর যিনি পার্সেল নিয়ে এসেছে তার দেখা পাই তার লাগেজ গুলো বিমানবন্দরের থেকে কার পর্যন্ত আমরা নিয়ে তাকে সাহায্য করি। তারপর আমাদের জিনিসগুলো বুঝে ব্যাগের মধ্যে করে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। ঢাকার মধ্যে এই রাস্তাটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ব্যস্ত মনে হয় আর গরমের মধ্যে আসতেও অনেক বিরক্তিকর মুহূর্ত পার করতে হয়েছে । আমরা দুপুর একটার কিছু সময় আগে বাসাতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। সত্যিই মুহূর্তটা গরম এবং অপেক্ষার জন্য বেশ বিরক্তিকর ছিল।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
অপেক্ষার সময় কাটতেই চায় না। অপেক্ষা করতে গেলে মনে হয় এক মিনিট এক ঘন্টার সময় যাচ্ছে।আর তার মধ্যে তো ক্ষুধা লাগলে কথাই নেই।বিমান বন্দরের দাম বেশি রাখা নিয়ে অনেক রিপোর্ট দেখেছি।আসলে ওরা মানুষের অপারগতার সুযোগ নেয়। যেহেতু অন্য দোকান নেই,তাই খেতেই হবে ওখানে থেকে।তাই দাম বেশি।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন কারো জন্য অপেক্ষা করাটা আসলেই অনেক বিরক্তিকর, তারপরে আবার সকাল বেলা উঠে। নির্দিষ্ট সময়মতো না আসলে তখন কি আর করার কষ্ট করে অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও তো আপনারা একটি গাছের ছায়া তলায় বসে বিশ্রাম করতে পেরেছেন। এলাকায ভেদে জিনিসের দাম কম বেশি হয়ে থাকে আপনারা গিয়েছেন এয়ারপোর্টের এলাকা এখানে দামতো একটু বেশি হবেই। এটা একটা ভালো কথা বলেছেন এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করার পর বাইরে থেকে লোকজন যখন স্বজনদের সাথে মিশে তখন তাদের হাসিমাখা মুখটা আসলেই অনেক ভালো লাগে। শেষ পর্যন্ত দুই ঘন্টা অপেক্ষা করার পর আপনারা আপনাদের পার্সেলটি পেয়েছেন এটাই বড় কথা। অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো-মন্দ মিলিয়েই সময়টি কাটিয়েছেন।
পৃথিবীতে যদি কোন বিরক্তিকর কাজ থাকে তাহলে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কারো জন্য দীর্ঘ সময় যাবত অপেক্ষা করা । আপনি আড়াই ঘণ্টা একটা পার্সেলের জন্য অপেক্ষা করেছেন বিষয়টা আসলেই বেদনাদায়ক। আর যদি আপন মানুষের দেখা হওয়ার কথা বলি সেটার অনুভূতি আসলে কেউই প্রকাশ করতে পারবে না। আপনার বিরক্তিকর সকালের অনুভূতিগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার প্রশ্নের উত্তর বলব এরকম অপেক্ষার প্রহরগুলো অনেক বিরক্তিকর। বিশেষ করে ওই সময়টায় মনে হয় যেন এক একটা মিনিট এক একটা ঘন্টা। আসলে এয়ারপোর্টে জায়গাটাই এরকম একটি সমস্যা সব সময় রয়েছে প্রতিটা মানুষ এখানে এসে খুবই বিরক্তির সাথে সময় পার করে থাকে। তবে বাইরে থেকে আসার মানুষগুলোর মুখ দেখে সকল কষ্ট ভুলে গিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে এবং তাদেরকে নিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরে যায়। আর আপনি যে কলার দাম বললেন কি করবেন বর্তমান যে পরিস্থিতি আর বিশেষ করে এটা হচ্ছে ঢাকা শহর এখানে তো একটু বেশিদাম দিয়েই খেতে হবে তা না হলে এত চমৎকার শহর কিভাবে হবে। হাহাহা.....
আসলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করাটা সত্যি বিরক্তকর। আর তা যদি একেবারে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে তাহলে তো আরো বেশি বিরক্তকর। আবার দেখলাম সকাল থেকে কিছুই খাননি। যখন কিছু খেতে গেলেন তখন একটা কলার দাম ১৫ টাকা। আসলে ঠিক বলেছেন আমরা যে দামে খেতে অভ্যস্ত তার থেকে বেশি দাম দিয়ে খেতে ভীষণ কষ্ট লাগে। কিন্তু পরিস্থিতিটাই এরকম এক একটা জায়গায় এত বেশি দাম সেটা হয়তো আমাদের নাগালের বাইরে। আর সত্যিই রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করাটা ও ভীষণ কষ্টকর। শেষমেষ লোকটি সাড়ে ১১ টায় এসে পৌছালো এটাই অনেক।
আপনি একটি পার্সেল নেওয়ার জন্য এতটা অপেক্ষা করেছেন ভাইয়া এটা আসলেই বেশ বিরক্তিকর।বিমানবন্দরে একটি কলার দাম 15 টাকা এটা জেনে আমিও অবাক হলাম।অনেকদিন পর চেনা মুখগুলো দেখলে আসলেই আনন্দ হয়।কিন্তু আপনারা গরমে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন এবং পার্সেল গুলো পেয়ে যে তাকে সাহায্যও করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।