মামার সাথে মেলা দেখতে যাওয়ার মূহুর্ত
আপনার সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন ।আমিও ভালো আছি ।সুস্থ আছি। কিছু দিন আগের পোস্টে আমি আপনাদের কাছে কৃষ্ণনগর বারো দোল মেলা সম্পর্কে বলেছিলাম। আজকে অন্য একটি মেলার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
মেলা দেখতে যেতে ছোট থেকে বড় সবারই ভালো লাগে ।কিন্তু বাড়িতে ছোটরা বেশি বায়না করে মেলা দেখতে যাওয়ার জন্য। বর বাড়ি থাকে না। তাই ওর সাথে কোথাও ঘোরার সুযোগ আমার হয়ে ওঠে না। আর বাড়িতে থাকলেও এসব পছন্দ করে না। কিন্তু আমার একটু ঘুরতে ভালো লাগে। ছোট থেকে মামাদের সাথে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়িয়েছি। আজ ও মামাদের সাথে বেশিরভাগ জায়গায় যায়।
বড়ো মামার একটা মেয়ে আছে ।মামার মেয়ে ক'দিন ধরেই বলছে আমাকে। দিদি বাবাকে বল আমাদের মেলায় নিয়ে যেতে। ও জানে যে আমি বললেই মামা ঠিক রাজি হয়ে যাবে। আমি বললাম কেন তুই বল ।ও বলছে আমার কথা শুনবে না ।বাবা তোর কথাই শুনবে।আমি মামাকে বলা মাত্রই মামা রাজি হয়ে গেল। কিন্তু এত গরমে সেজেগুজে যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু মেলা বলে কথা যেতে তো হবেই। সেদিন ছিল মেলার শেষ দিন। ছোট থেকেই দেখে আসছি বারো দোল মেলার পরেই ওই মেলাটি হয়।
মেলাটি একটি স্কুলের মাঠে হয়। ওই স্কুলে আমিও ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছি। মেলাটির নাম নেতাজী মেলা। এই মেলা যখনই বসে প্রত্যেকবার ঝড়, বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার ঝড়-বৃষ্টি এক দিনের জন্যও হয়নি। ঝড় বৃষ্টি হলেই মেলার দিন বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু এবার ঝড় বৃষ্টি হয়নি ।তাই মেলা যে তারিখ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। সেই তারিখ পর্যন্তই হয়েছে। এই মেলাতে খুব একটা ভিড় হয় না। কারণ চারপাশের কিছু মানুষজন ওই মেলাতে যাই।
এই মেলাটি বারো দোল মেলার মতো অত বড় মেলা নয়। ছোটখাটো একটি মেলা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বসে। আমি যেহেতু বারো দোল মেলা থেকে অনেক কিছু কিনেছি ।তাই এই মেলা থেকে কিছু কেনা হয়নি। যাবার সময় মামী বলেছিল কয়েকটা চায়ের কাপ কিনতে ।তাই মামির জন্য কয়েকটা কাপ কিনেছিলাম। আর বুনু সাথে গিয়েছে তাকে তো একটা খেলনা কিনে দিতেই হবে ।আমার বুনু যে মেলাতে যাই ।সেই মেলাতেই একটা করে বুলবুলি নেয়। আমি সঠিক জানিনা খেলনা টার নাম কি। তবে ও বলে ওটা বুলবুলি। কারণ ওটা ফু দিয়ে ওড়ালেই সাবানের ফেনার মত ওড়ে।
ওতো খেলনা টা পাওয়া মাত্রই মেলার মধ্যে ওড়ানো শুরু করে দিল। মামাতো মেলা থেকে কিছু খায় না। কারণ মামা বাইরের জিনিস খাওয়া পছন্দ করে না। আমি আর বুনু একটু ফুচকা খেয়ে নিলাম ।আর সাথে নিয়ে নিলাম আইসক্রিম বাড়ি এসে খাবো। মামা বাড়ির জন্য একটু জিলাপি নিলো। এবার বাড়ি আসার পালা। মেলার বাইরে এসে দেখলাম মেলার বাইরেটা বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছে। পার্কের মত লাগছে। সব জায়গায় এখন বেশ উন্নত করে ফেলছে।
সেদিন মেলাতে খুব একটা ভিড় ছিল না। আমাদের বাড়ি থেকে মেলাতে যেতে প্রায় দশ মিনিট লাগে। কারণ আমরা হেঁটে গিয়েছিলাম ।আর হেঁটে এসেছিলাম। মেলা থেকে ফেরার পথে দেখলাম একটা বাড়ির গাছে অসাধারণ ফুল ফুটে রয়েছে। রাতের বেলায় ফুলগুলো দেখতে সত্যি সুন্দর লাগছে। আজ এ পর্যন্তই থাক আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আপনার মেলায় যাওয়ার আনন্দঘন মুহূর্ত পড়ার পর সত্যি কথা বলতে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কিন্তু বড় হওয়ার পর থেকে আর কখনো মেলায় যাওয়া হয়নি। কেননা আমাদের এখানে বলা হয় মেলায় যাওয়াটা একেবারেই উচিত নয়। সেটা ছোট হোক কিংবা বড়। মেলা মানেই হচ্ছে অন্যরকম একটা আনন্দ। অনেক ধরনের জিনিস খাওয়া দাওয়া করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স মেলার মধ্যে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ মেলায় ঘুরতে যাওয়ার আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি আপনার এর আগের কমেন্টে শুনেছিলাম যে আপনাদের মেলাতে যাওয়া নিষিদ্ধ। তবে হ্যাঁ মেলাতে গেলে একটু অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়। অনেক ধরনের জিনিসপত্র ,খাওয়া-দাওয়া তো আছেই। ধন্যবাদ আমার পোষ্টটিতে কমেন্ট করার জন্য।
আপনি সত্যিই বলেছেন ছোট থেকে বড় সকলেই মেলা দেখতে পছন্দ করে। তবে আগের দিনে মেলার একটি আনন্দ আমরা পেয়েছি বর্তমান সময়ে এসে আমাদের সন্তানরা সেই আনন্দ পাচ্ছে না ।
আমরা ছোটবেলায় মেলাতে পুতুল নাচ দেখতাম, যাত্রাপালা দেখতাম ,ম্যাজিক শো দেখতাম ,সার্কাস দেখতাম কিন্তু বর্তমান সময়ে এসব কিছু দেখা যায় না বললেই চলে। বর্তমান সময় বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল , জুয়েলারি মেয়েদের প্রসাধনী , বাচ্চাদের খেলনা পাওয়া যায়, পাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেখা যায় ।
অতীতের মেলায় হয়তো থ্রিডি প্রযুক্তি ছিল না তারপরও মামার হাত ধরে ছোটবেলা মেলাতে যাওয়ার অন্যরকম একটা আনন্দের ছিল । বরিশালে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার দৌড় হত। আপনিও মেলাতে মামার সাথে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন ।
আমার কষ্টের বিষয় হল ,আমার সবথেকে প্রিয় ছিল আমার বড় মামা ।তাকে আমি হারিয়েছি প্রায় দুই বছর হলো। এখন আর মামা বাড়ি থেকে কেউ আমাকে ফোন করে বলে না কেমন আছিস? মামা তুমি যেখানেই থাকো ভালো থাকো এবং ঈশ্বর তোমাকে স্বর্গ সুখে রাখুক !
আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি আমার নিজের জীবনে হারিয়ে গিয়েছিলাম। কিছু মনে করবেন না। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা ।
আগেকার দিনের মতো এখন যাত্রাপালা হয় না। তবে বারো দোল মেলাতে পুতুল নাচ সার্কাস এসব গুলো এখনো হয়। আপনি যেগুলো বলছেন সেগুলো হয়তো আমি কোনদিনই দেখিনি। সত্যিই নিজের কাছের মানুষ গুলোকে হারানো খুবই কষ্টের ব্যাপার। আপনার কমেন্ট পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো।
দিদি মেলায় গিয়ে আপনার আনন্দের মহুর্তগুলি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। মেলায় ঘুরতে যেতে কার না ভালো লাগে বলুন। ছোট থেকে বড় সকলেই মেলায় যেতে পছন্দ করে। আমিও এর বাইরে নই। তবে আমার শহরে এবার যে মেলা বসেছে সেটি বন্যার কারণে স্থগিত হয়েছে। কেননা অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আমাদের এখানে বন্যা দেখা দিয়েছে।
যাইহোক মেলায় গিয়ে আপনার সেরা মহুর্তগুলী আমাদের সাথে ভাগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। আর মেলায় ঘুরতে যাওয়া সবসময় আনন্দের হয়ে থাকে। ভালো থাকবেন দিদি। প্রতিবার যেন মেলায় ঘুরতে যেতে পারেন সেই কামনা করছি।
আপনাদের ওদিকে ওদের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা গেছে। কিন্তু আমাদের দিকে বৃষ্টির দেখায় নেই। মানুষ গরমে অস্থির হয়ে পড়ছে। আপনার কমেন্ট পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো।
বাহ! মামার সাথে মেলায় ঘুরতে গিয়ে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি মামা ভাগ্নির কেন জানি একটা আলাদা টান থেকেই যায়। আপনার মামার মেয়ে ভালো করেই জানবো তার কথায় তার বাবা রাজি হবে না। এজন্য আপনাকে দিয়েই কাজটা চালিয়েছে 😁।যাক মজা করে বললাম।
তবে আপনার মেলার ছবিগুলো দেখে মনে হল বেশ বড়ই মেলা।
মেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।