শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার গল্প
আপনারা সকলে কেমন আছেন ?আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি ।সুস্থ আছি ।আজকে আমি আমার আর একটা নতুন পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হয়েছি।
আপনারা সকলেই জানেন আমি কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম ।যেহেতু আমার শ্বশুর বাড়ির পোস্টগুলি পরপর দেওয়া হয়ে ওঠেনি। পোস্টগুলি দিতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল । শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরেছি বেশ অনেক দিন হয়েছে।যাইহোক শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে কি কি দেখলাম ।সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রায় চার দিন শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম ।অনেকদিন পরে গিয়েছি। আবার ফিরতেও মনটা একটু খারাপ করছিল। বিশেষ করে পরিবারের মানুষ । স্বামীকে ছেড়ে আসা সত্যি খুব কষ্টের ব্যাপার। কিন্তু ফিরতে তো হবেই।
আমাদের বেশিরভাগ কাজই কৃষ্ণনগরে। ঠাকুমা তো আমাদের ভীষণ ভালোবাসে ।তাই বাড়ি আসার সময় ঠাকুরমার মনটা একটু খারাপ। যেহেতু গ্রামে বাড়ি। তাই আসবার সময় অনেক টাটকা সবজি আমরা নিয়ে আসি। ঠাকুমা আমার বর কে বলল গাছ থেকে একটা কাঁঠাল পেরে দিতে ।ও ঠাকুমার কথা মত গাছ থেকে একটা কাঁঠাল পেরে দিল। আমাদের বাড়ি নিয়ে আসবার জন্য। আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা হেটে এসে তবে বাসে উঠতে হয় ।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখলাম সামনের পুকুরে মেশিনে করে জল দিচ্ছে। এত সূর্যের তাপে পুকুরের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। পুকুরে জল না থাকলে মাছ মারা যাবে। তাই অধিকাংশ পুকুরেই স্যালো মেশিনে করে জল দেয়। আমাদের বাড়ির সামনে পুকুরে জল দিচ্ছিল। পুকুরে আরও বেশি জল তাই হাঁস গুলি আনন্দে পুকুরে চড়ে বেড়াচ্ছে। যেহেতু বিকেল বেলা ছিল। আবার কয়েকটি হাঁস দেখলাম বাড়ি ফেরার পথে রওনা দিয়েছে। পশুপাখি দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগে।
কিন্তু বাড়িতে সবাইকে ছেড়ে চলে আসছি মনটা খারাপ ।আবার ভাবছি বাসে করে আসতে হবে আরো শরীরটা খারাপ করছিল। যাই হোক বাসস্টপে কিছুক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের শহরাঞ্চলে পাখি তো দেখাই যায় না। কিন্তু আমরা বাস স্টপে দাঁড়িয়ে থাকা কালীন দেখলাম ।দুটি শালিক পাখি রাস্তার পাশে একটু জল পড়ে আছে সেই জল টাকেই খাচ্ছে। রাস্তায় কত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ি চলছে ।কিন্তু পাখি দুটো ভয় পাচ্ছে না। আমার তো ভালোই লাগছিল। পাখি দুটোকে দেখতে। সচরাচর এই সব পাখি আমাদের শহরে দেখতে পায়না।
কিন্তু কয়েকটা বাস আমরা ছেড়ে দিলাম ।কারণ বাস গুলোই প্রচন্ড ভিড় ছিল। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বাসস্টপ দিয়েই আমাদের চেনা একজন আত্মীয় গাড়ি নিয়ে কৃষ্ণনগরে আসছিল। আমাদের দেখামাত্রই উনি গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমাদের গাড়িতে উঠে আসতে বলে । আমি শশুর ,শাশুড়ি তিনজনেই গাড়িতে উঠে পড়লাম। মনে মনে ভাবলাম ভালোই হলো। বাসে যাওয়ার থেকে অনেক ভালো হলো। মনটা একটু শান্ত হলো। আমি বাসস্টপে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম বাসে করে কি করে আসবো। হয়তো সেদিন গাড়ি করে আসবো বলে। বেশ কয়েকটা বাস ছেড়ে দিয়েছিলাম। কথায় আছে ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্যই করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।
যাইহোক গাড়িতে আস্তে আস্তে দেখলাম সূর্য তখন পশ্চিম দিকে অস্ত গেছে। এরকম পড়ন্ত বিকেল বেলা দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে। গাড়িতে আস্তে আস্তে চোখে পড়ল দুই পাশে সবুজ ক্ষেত। চারপাশটা সবুজে মোরা।গাড়ি করে আস্তে গিয়ে কতকিছুই না দেখা যায়। কিন্তু বাসে করে আসবার সময় আমি চারিদিকে ভালো করে কিছুই দেখিনা। কারণ বাসে উঠলে মনে হয় কখন নামবো বাস থেকে। গাড়ি করে আসবার মতো শান্তি বাসে নেই। আমরা যে দিন বাড়ি ফিরেছি সে দিন বুধবার ছিল।কত জায়গায় সে দিন হাট বসেছে। আমরা যেদিন বাড়ি ফিরছিলাম। পরের দিন ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমা। তাই কতজন দেখছি গাড়ি ভাড়া করে বাজনা বাজিয়ে পুজো দিতে যাচ্ছে।এইসব দেখতে দেখতেই খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেলাম।
তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেলে ও। যেখানে আমরা বাস থেকে নামি ।সেখান থেকে দু তিন মিনিট আমাদের পায়ে হেঁটে ভিতর দিকে আসতে হয় ।তবে আমাদের বাড়ি। গাড়িতে আরাম করে এসেছি। বাড়ি থেকে যেহেতু অনেক জিনিসপত্র নিয়ে এনেছিলাম। সেগুলো আনতে খুব কষ্ট হয়েছিল। তাতে আবার অনেকদিন ঘরগুলো বন্ধ ছিল ।এসে প্রত্যেকটা ঘর খোলা পরিষ্কার করা সত্যিই খুব কষ্টের। কোনরকমে ঘর খুলে ঘর গুলো পরিষ্কার করা হলো ।তারপরে আবার রাতের খাবার ব্যবস্থা। আজ এই পর্যন্তই থাক আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। পরের দিন আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো।
প্রিয় বন্ধু আমি অনেক ভালো আছি, শশুর বাড়ি থেকে ফেরার অনেক দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন দীর্ঘ চার দিন সেখানে অবস্থান করছেন এবং সেখানকার অনেক কিছুই ইতিমধ্য আপনি শেয়ার করছেন।
শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে অনেকটাই খারাপ লাগারই কথা কেননা চারদিন সেখানে থাকছেন প্রতিটি মানুষের প্রতি মায়া জন্মে গিয়েছে তবে আপনাকে ফিরতে হবে কেননা আপনাদের বেশিরভাগ কাজই কৃষ্ণনগরে। স্বামীকে ছেড়ে আসতে আসলেই সবার একটু কষ্ট লাগে।
আসার পথে দেখতে পেলেন যে সূর্য অস্ত্র যাওয়ার সুন্দর দৃশ্য ফাঁকা মাঠের শেষ প্রান্তে সূর্য অস্তে যাচ্ছে দৃশ্যটি খুব সুন্দর ধারণ করছেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন। প্রিয় মানুষদের ছেড়ে আসতে একটু কষ্টই হয়। তবে স্বামীকে ছেড়ে আসতে সবার খারাপ লাগে। পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য সব সময় আপনার সাফল্য কামনা করি। ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন মেয়েদের স্বামীকে ছেড়ে কোথাও গেলে কষ্ট হবারই কথা তাইতো স্বাভাবিক হয়। আর গ্রামে তো আমরা সকলেই জানি সকল টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায় এখান থেকে আপনি আপনাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে এটা আরো ভালো কথা।
আমাদেরও দুইটি শিং মাছের পুকুরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিয়ে থাকি এবং আমাদের বড় বিলে রাত দশটা থেকে সারারাত পানি দিয়ে থাকে একটি দিলে পানি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। মাছ মরার আশঙ্কা কম থাকে।
এটা শুনে ভালো লাগলো আপনি ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছেছেন অনেক কষ্ট করে কাজগুলো করেছে।
আপনার পোস্টটি পড়লে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
হ্যাঁ গ্রামে সকল সবজি টাটকা পাওয়া যায়। আমরা যখন গ্রামে যাই। কিংবা কেউ যখন গ্রাম থেকে আমাদের বাড়িতে আসে। তখন সবাই ব্যাগ ভর্তি করে টাটকা সবজি নিয়ে আসে। সেদিন আমরা ভালোভাবেই বাড়ি পৌঁছে ছিলাম। পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কমেন্ট পড়ে গ্রামের শাকসবজি খেতে খুব মন চায় কি আর করার গ্রামের সবজি আমরা বাসি সবজি খেয়ে এখন আর টাটকা শুনলেই সবার জন্য আমাদের মনে খুব আশঙ্কা জাগাই। আমরা সকলেই জানি টাটকা সবজি খেলে শরীর এবং স্বাস্থ্য দোনোটাই ভালো থাকে।
ধন্যবাদ আমার কমেন্ট পড়ে এত সুন্দর একটি রিপ্লাই দেওয়ার জন্য
বাড়ি থেকে আত্মীয়-স্বজনদের রেখে আসতে মন চায় না। আপনার ঠাকুমা আসার সময় আপনাকে একটি কাঁঠাল দিয়ে দিয়েছেন। গ্রামে গেলে এই ফ্রেশ শাক-সবজি ফলমূল নিয়ে আসা যায়। গ্রামের প্রকৃতি অসাধারণ। আসলেই সৃষ্টিকর্তা যা করেন মঙলের জন্যই করেন। ভীড়ের কারণে বাস ছেড়ে দিয়েছিলেন। অথচ পরিচিত একজনের গাড়িতে আরাম করে বাড়ি এসেছেন। আমাদের একারণে সবসময় ধৈর্য্য ধারণ করা উচিত। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ভালো থাকবেন।
সত্যি বাড়ি থেকে আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে আসতে মন চায় না। কিন্তু কি করব ফিরে তো আসতেই হবে। গ্রামে গেলে আমরা আসার সময় বেশ কিছু টাটকা সবজি নিয়ে আসি। আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
গ্রামে স্বামীকে রেখে একা চলে আসাটা কস্টের এটা বুঝতে পারি।তার ওপর ঠাকুমার মতো মানুষগুলোও থাকেন। তাদের ছেড়ে আসতে খারাপই লাগে।
গ্রামে গেলে আমিও আপনার মতো করেই শাকসবজি নিয়ে আসি।ঢাকাতে এত টাটকা জিনিস পাওয়াও যায় না সাথে দামও আকাশ ছোঁয়া।
পুকুরে যে পানি দিতে হয় এই বিষয়টা আমার আগে জানা ছিলো না।
কয়েকদিন বাড়ির বাইরে থাকলে ফেরত এসে সব পরিস্কার করাটা আসলেই বিরক্তিকর।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে গ্রাম থেকে ফেরত আসার গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন। স্বামীকে একা রেখে চলে আসাটা সত্যিই খুব কষ্ট। আসলে ঠাকুরমার অনেক বয়স হয়েছে উনাকে ছেড়ে থাকতে ভালো লাগে না। ঠিকই বলেছেন আমাদের এখানেও শাকসবজির খুব দাম। হ্যাঁ দিদি পুকুরের জল শুকিয়ে গেলে পুকুরে জল দিতে হয়। আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাসের মধ্যে অতিরিক্ত ভিড় থাকলে সেখানে বসে শান্তি পাওয়া যায় না। আপনারা বাস মিস করে বেশ ভালোই করেছেন। তবে শেষ মুহূর্তে এসে একটা বাস পেয়ে গেছেন। যেটা দিয়ে আপনি আপনার শ্বশুর বাড়িতে ফিরে এসেছেন। সূর্যাস্ত ডুবে যাওয়ার মুহূর্তটা সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর, যেটা দেখতে বেশি ভালই লাগে। বিশেষ করে আপনার সেই ফোটোগ্রাফিটা অসাধারণ হয়েছে। বাড়িতে অনেক কিছু নিয়ে আসতে হয়েছে, তাই আপনি গাড়ি করে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ধন্যবাদ শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসার মুহূর্ত এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।