বৃষ্টিমুখর পরিবেশে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে সকাল থেকেই আমরা বৃষ্টিমুখর পরিবেশ উপভোগ করছি। যদিও বৃষ্টিমুখর পরিবেশ আমার কাছে সব সময়ই ভালো লাগে কিন্তু আজকে তেমন একটা ভালো লাগছে না তার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে এই বৃষ্টিমুখর পরিবেশে আমাকে স্কুলে আসতে হয়েছে। আমরা শিক্ষকেরা স্কুলে আসলেও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি রয়েছে খুবই কম। এমন সময়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে যে সময়ে ছাত্রছাত্রীরা মাত্র স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। তাহলে একবার ভেবে দেখুন এই মুহূর্তে যদি বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় তাহলে তারা কিভাবে স্কুলে উপস্থিত হবে। স্কুলের আসার পরে লক্ষ্য করলাম মাত্র ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী আজকের এই বৃষ্টিমুখর পরিবেশে স্কুলে উপস্থিত হয়েছে। আর যারা এই অবস্থাতেই স্কুলে এসেছে তাদের অবস্থা ও খারাপ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী বৃষ্টির কারণে ভিজে গিয়েছে।
বর্ষাকালের প্রথম দিকে আমরা আমাদের দেশে তেমন কোন বৃষ্টিপাত লক্ষ করছিলাম না কিন্তু বর্ষাকাল শেষ হয়ে যাবার পরেই আমরা আমাদের দেশে বৃষ্টিপাতের বিষয়টা লক্ষ্য করছি। অন্যান্য এলাকাতে বৃষ্টি হলেও আমাদের এলাকাতে কোনোভাবেই যেন বৃষ্টি হচ্ছিল না কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত বৃষ্টির পরিমাণটাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তন হবার কারণেই এই ধরনের সমস্যার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে ঋতুতে যে ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার সেটা আর দেখা যাচ্ছে না।
বৃষ্টির এই দিনে প্রথম থেকে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল না। বৃষ্টির পরিমাণটা অন্যান্য দিলে তুলনায় আজকে একটু বেশি ছিল। আপনারা যদি উপরের ছবিগুলো একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখেন তাহলে দেখতে পারবেন যে স্কুলের খেলার মাঠে কি পরিমানে পানি জমে গিয়েছে শুধুমাত্র আজকের এই বৃষ্টির কারণে। অন্যান্য দিন অল্প সময় বৃষ্টি হলেও আজকের এই বৃষ্টির পরিমাণটা ছিল অনেক বেশি। সম্ভবত প্রায় দুই ঘন্টা একইভাবে বৃষ্টি হয়েছে।
যে মুহূর্তে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখছি সেই মুহূর্তে ও বৃষ্টি হচ্ছে আর এই সময়ে ও আমি স্কুলের অবস্থান করছি। যেহেতু ছাত্রছাত্রী পরিমাণ কম এসেছে তাই ক্লাস নিতে ভালো লাগছে না তাইতো হেড স্যারকে বললাম যে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিতে। স্কুলে আসার কারণে আজকের এই বৃষ্টির দিনটাকে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারলাম না।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যে সময় তারা স্কুলে যাবে সেই সময় থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা বাইরে বের হওয়াটাই কঠিন স্কুল তো দূরের কথা। তারপরে যা উপস্থিত হয়েছে এটাই ভালো। আশা করি দ্রুত বৃষ্টি থেমে যাবে আবার আগের মতো তারা ঠিকভাবে স্কুলে আসতে পারবে।
স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হবার সময়ই বৃষ্টি হয়েছে তাই উপস্থিতি অনেক কম ছিল।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার স্কুলের সময় উপযোগী একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে বৃষ্টির দিনের ছোট্ট ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসতে চায় না। আমিও যখন ছোট ছিলাম শুধুমাত্র সকালবেলায় বৃষ্টি হলে আর স্কুলে যেতাম না এভাবে প্রায় অনেকদিন স্কুল ফাঁকি দিয়েছে। সকাল থেকে প্রায় সারা দিনে বৃষ্টি হচ্ছে তাই ছেলেমেয়েরা হয়তো আজকে স্কুলে যেতে পারেনি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই বছরে এমন বৃষ্টি হচ্ছে তাতে সকালে ছেলেমেয়েদের স্কুলে আসাটা আসলে কষ্টের হয়ে যাচ্ছে।
আপনাদের স্কুলের ফিল্ড দেখে মনে হচ্ছে পানি জমে গিয়েছে। সত্যি আজকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেক বৃষ্টি হয়েছে। প্রথমদিকে ছাত্রছাত্রী আসছিল না পরে যে এসেছে এটাই অনেক। কেননা এত বৃষ্টির মধ্যে ছোট বাচ্চাদের আসতে আরো বেশি সমস্যা।
আসলে খেলার মাঠে অনেক বেশি পরিমাণে পানি জমে ছিল বৃষ্টির কারণে।
আজকে সকালে আমাদের এখানে বেশ বৃষ্টি হয়েছিল। আর এই বৃষ্টির জন্য আমার কাজকর্মে অনেক বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। যাইহোক বৃষ্টির দিন স্কুলে পৌঁছানো হয়েছে ঝামেলার বিষয়। আমাদের সময় রাস্তাঘাটে কাঁদা থাকতো তাই ইচ্ছে থাকলেও যাওয়া হতো না বৃষ্টির কারণে।
ঠিক কথায় এমন বেশি পরিমাণে বৃষ্টি তাও আবার এত সকালে খুব একটা লক্ষ্য করাই যায় না।