শীতের দিনে অ্যাসেম্বলি ক্লাসের কার্যক্রম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা যারা আমার পোস্ট নিয়মিত পড়েছেন তারা হয়তোবা জানেন যে আমাদের স্কুল অন্যান্য স্কুলে থেকে তুলার মূলক ভাবে আলাদা। বর্তমান সময়ে স্কুল প্রতিষ্ঠানে যে কার্যক্রম গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেই কার্যক্রম গুলোই আমরা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা হয়তোবা লক্ষ্য করে দেখেছেন বর্তমান সময়ে স্কুলগুলো এসেম্বলি ক্লাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বললেই চলে। কিন্তু আমরা এই কাজটাকেই প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছি যেন আমরা অন্যান্য স্কুল থেকে নিজেদেরকে আলাদাভাবে প্রমাণ করতে পারি।
পূর্বে আমরা এই ধরনের কার্যক্রম প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করতাম কিন্তু এখন সেগুলো আর লক্ষ্য করা যায় না। যদিও হাই স্কুল এবং কলেজে ক্রীড়া শিক্ষক থাকে তাই তারা চাইলেই এই ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে কিন্তু তারা এখন অবহেলার কারণে এই ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করায় না ছাত্রছাত্রীদেরকে। এক কথায় বলা যায় যে শিক্ষক ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে সে বসে বসেই সময় কাটিয়ে দেয়।
অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানেই কাজ বন্ধ করে দিলেও আমরা কিন্তু বন্ধ করে দেয় নি আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। গরমের দিনে যদিও এই কার্যক্রম চালানো আমাদের জন্য অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছিল তারপরও আমরা আমাদের কার্যক্রম স্বল্পপরিসরে হলে চালিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখনই শীতকাল চলে এসেছে আর শীতকালে এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়টা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আবার শীতের দিনে যখন শরীর ঠান্ডার কারণে সংকোচিত হয়ে যায় তখন এই কাজটা করার পরে শরীরের অনেক উপকারে আসে। আর আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি শীতের দিনে কেউ ব্যায়াম করতে চায় না তাই এই কাজটা করার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খুব সহজেই সকলের ব্যায়াম করিয়ে নেওয়ার মতো সুযোগ থাকে।
শরীরের জন্য ব্যায়াম কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়তোবা আপনারা সকলেই ভালোভাবে জানেন। আর ছোট ছেলে মেয়েরা ব্যায়াম করতে কোনভাবে চায় না তাই এই কার্যক্রমটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্কুল থেকে গ্রহণ করা এই ধরনের ভিন্ন রকমের কার্যক্রম আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনার স্কুলের বাচ্চাদেরকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর নিজের স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। স্কুল জীবনে এরকম সময় আমরা অনেক কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এখনকার সময়ের স্কুল গুলোতে আর তেমন একটা অ্যাসেম্বলি করানো হয় না। তবে, আপনারা এখন পর্যন্ত আপনাদের স্কুলের মধ্যে অ্যাসেম্বলি চলমান রেখেছেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে অ্যাসেম্বলি করা একজন বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী। তবে, দিন দিন আমাদের আশেপাশের প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে অ্যাসেম্বলি উঠে যাচ্ছে। এটা আসলে খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার।
অনেক ভালো লাগলো অনেক দিন পর স্কুলের এমন কার্যক্রম দেখতে পেরে। এখনই উপযুক্ত সময় এসেম্বলি ক্লাস করানোর। বাচ্চাদের যেমন শরীর ভালো থাকলে তেমনি লেখাপড়ায় মনোযোগ আসবে।