জেনারেল রাইটিং-ধর্ষকের নিষ্ঠুর মানসিকতা||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। মাঝে মাঝে কিছু কিছু বিষয় নিয়ে লিখতে গিয়েও খারাপ লাগে। আসলে বর্তমান সময়ে ধর্ষণ এতটা বেড়ে গেছে যে নারী শিশু কিংবা বৃদ্ধ কেউ ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। ধর্ষকের নিষ্ঠুর মানসিকতা নিয়ে আজকে আমি কিছু কথা লিখবো। আশা করছি আমার লেখাগুলো সবার ভালো লাগবে।
ধর্ষকের নিষ্ঠুর মানসিকতা:
.jpg)
Source
আমার মনে হয় ধর্ষক হলো সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ। আসলে ধর্ষককে কখনো মানুষের সাথে তুলনা করা যায় না। তারা আসলে মানবিকতাহীন। তাদের নিষ্ঠুর আচরণ একজন মানুষকে কতটা কষ্ট দেয় তারা যদি সেটা বুঝতে পারত তাহলে হয়তো এই জঘন্য কাজটি করত না। ধর্ষকের নিষ্ঠুর মানসিকতা একটি জীবনকে শেষ করে দেয়। একটি ফুলের মত জীবন শেষ হয়ে যায়। ধর্ষকের এই নিষ্ঠুর মানসিকতার কবলে শেষ হয়ে যায় ফুলের মতো তাজা প্রাণ।
বর্তমান সময়ে ধর্ষণের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। ছোট বড় কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। আসলে আমাদের চারপাশে এমন কিছু নিচু মানসিকতার লোক ঘুরে বেড়ায় যাদের কে উপর থেকে দেখলে কখনো চিনতে পারা যায় না। তাদের মানসিকতা সম্পর্কে জানতে পারা যায় না। মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায় সব জানোয়ারগুলো। তাদের আসল চেহারা আমরা সহজে চিনতে পারিনা। তাইতো তাদেরকে আপন মনে করি। তাদেরকে আপন মনে করে তাদের সাথেই বসবাস করি।
আসলে কার মনের ভেতর কি জঘন্য চিন্তা ঘুরছে এটা উপর থেকে কখনো বোঝা যায় না। তাদের জঘন্য মানসিকতা কখনো বোঝা যায় না। ধর্ষকের নিম্ন মানসিকতা একটি জীবনকে শেষ করে দেয়। একটি জীবনের গল্পকে থামিয়ে দেয়। জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায় ধর্ষণের বিভিন্ন সংবাদ। এইতো কিছুদিন আগের কথা ছোট আছিয়া ধর্ষণের শিকার হলো তারই নিকট আত্মীয় দ্বারা। আসলে মেয়েরা কোথায় যে নিরাপদ সেটা অনেক সময় ভেবেই পাওয়া যায় না।
নিজের কাছের মানুষদের দ্বারাই যদি কোন মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয় এর চেয়ে লজ্জাজনক আসলে কিছুই নেই। মেয়েটি হয়তো জানতোই না তার সেই আপন মানুষটিও তাকে কুনজরে দেখে। মেয়েটি হয়তো কখনো জানতেই পারেনি সেই আপন মানুষটি তার জীবনটাকে শেষ করে দিবে। কিংবা ফুলের মত মেয়েটিকে একেবারে নিস্তব্ধ করে দিবে। মানুষের মুখোশ ধারণ করা সেই মানুষের চেহারাগুলো মুখোশের আড়ালে যদি লুকানো না থাকতো তাহলে অজস্র মেয়েরা নিজেদের রক্ষা করতে পারতো।
বর্তমান সময়ে ধর্ষণের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যখন এই খবরগুলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে তখন আমরা আফসোস করি। কিন্তু কোন একটা সময় গিয়ে হয়তো আমাদের কোন পরিচিত কেউ এই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। তাই এখন থেকেই সচেতন হওয়া উচিত এবং ধর্ষকের যেন শাস্তি হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। ধর্ষকের যদি কঠোর শাস্তি হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের নিজেদের কাছের মানুষগুলো রক্ষা পাবে। এখনই সময় রুখে দাঁড়ানোর। তাই সবার উচিত সোচ্চার হওয়া।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ এবং এটি সমাজের জন্য একটি গভীর ক্ষতিকর সমস্যা। ধর্ষকের মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করা এবং এই অপরাধের মূল কারণগুলি বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারি।ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষা ও সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে নৈতিকতা, মানবাধিকার এবং নারী-পুরুষের সমান মর্যাদা সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সম্মান ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেওয়া উচিত।
বর্তমান সময়ে এই সমস্যা অনেক বেড়ে গেছে। আসলে এটা খুবই খারাপ একটি কাজ আর জঘন্য কাজ।
ধর্ষণের যে আসলেই কি কারণ তা আমি নিজেও ভেবে পাই না জানেন আপু। অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি মাঝে মাঝে মনে হয়েছে যে সমস্ত ছেলেরা ধর্ষকের মানসিকতা মনের মধ্যে বসে রাখে তারা নিজেদের ঠিক কি মনে করে। ছোট শিশুদের যখন ধর্ষণ করে বারবার ভাবি এদের রুচি হয় কিভাবে। একটা ছোট্ট শিশুর কে বা কোন বয়স্ক বৃদ্ধকে কিভাবে এরকম করতে পারে। যৌন অত্যাচার সে কি খুব সভ্য! সমাজ ক্রমশ অশিক্ষায় ভরে উঠেছে এ প্রমাণিত।
যারা মানসিকভাবে অসুস্থ তারাই আসলে এই ধরনের কাজ করে। তাদের বিবেক বলতে কিছুই থাকে না আপু।
আপু বেশ মর্মান্তিক ঘটনা । আর এই রকম মর্মান্তিক ঘটনার জন্য নিজেকে বেশ অসহায় মনে হয়। কোন দেশে আমরা বসবাস করছি। বিশ্বের অন্য কোন দেশে হয়তো এমন ঘটনা নেই। যাই হোক পোস্টে মা্ধ্যমে এমন ঘটনা শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু ধর্ষণ খুবই খারাপ। আর বর্তমান সময়ের এই সংবাদগুলো সবাইকেই অনেক বেশি কষ্ট দেয়।
ধর্ষণের মতো খারাপ কাজ পৃথিবীতে নেই বলে আমি মনে করি৷ আর কিছু কিছু মানুষ তাদের মনের মধ্যে এরকম একটা মনোভাব তৈরি করে ফেলেছে যে মেয়েদেরকে দেখলে যেন তাদের যে ধর্ষণ করার মানসিকতা রয়েছে তা বৃদ্ধি পেয়ে যেতে থাকে৷ আর তারা সেই ক্ষেত্রে মেয়েদের একটা ভোগ্যপণ্য মনে করতে থাকে৷ তারা একটা জিনিস ভাবে না যে সেই মানুষটি আসলে বড় কিনা ছোট৷ তার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য সে সবকিছু করতে পারে৷ আর এই মনোভাবের কারণেই সমাজ প্রতিনিয়ত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আর এরকম ঘটনাগুলো আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি৷
বর্তমানে আমাদের দেশে ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনা গুলো প্রায়ই ঘটছে। যারা ধর্ষণ করে, তাদের চেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ পৃথিবীতে আর নেই। তাই তাদেরকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া উচিত। তাহলে কেউ ভয়ে আর ধর্ষণ করার সাহস পাবে না। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।