প্রতিযোগিতা-কদম পিঠা রেসিপি|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। শীতকাল মানেই মজার মজার পিঠার আয়োজন। শীতের শুরুতেই দারুন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। শীতের শুরুতে নতুন ধানের আগমনে ঘরে ঘরে উৎসব শুরু হয়। আর নতুন ধান পেয়ে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে ওঠে। তাইতো ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। একেবারে সময়োপযোগী একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যদিও এবার ভেবেছিলাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব না। তবে শেষ পর্যায়ে মনে হল নিজের মত করে ছোট্ট কিছু তৈরি করি। আসলে আমার কাছে মনে হয় বিজয়ী হওয়ার থেকে অংশগ্রহণ করাটাই অনেক বেশি ভালো লাগার বিষয়। যাই হোক জানি না আমার তৈরি করা রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লাগবে। তবে কদম পিঠা খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।
কদম পিঠা রেসিপি:
মজার মজার সব পিঠা তৈরি করতে ভালো লাগে। তবে সময়ের কারণে হয়তো সেভাবে পিঠা তৈরি করা হয়ে ওঠে না। এবার যেহেতু পরীক্ষার কারণে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছি। তাই রেসিপি তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কয়েকদিন আগে এই পিঠা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু শেষে যখন উপস্থাপনের জন্য ছবি তুলতে যাবো তখনই হঠাৎ করে প্লেট হাত থেকে পড়ে গিয়ে সবগুলো পিঠা ভেঙে গিয়েছিল। তাই ভেবেছিলাম এবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব না। আজকে সকাল বেলায় কেন জানি মনে হল আবারো অল্প কিছু পিঠা তৈরি করি আর উপস্থাপন করি। একদিকে যেমন আবারো খেতে পারবো অন্যদিকে অসম্পূর্ণ অংশটা উপস্থাপন করতে পারব। তাইতো নতুন করে আবারো পিঠা তৈরি করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। কদম পিঠা খেতে দারুণ হয়েছিল। গুড় এবং নারিকেলের সমন্বয়ে এই পিঠা খাবার মজাই আলাদা। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই পিঠা তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
চালের গুঁড়া | ২০০ গ্রাম |
চালের গুঁড়া | পরিমানমত |
নারিকেল | ১০০ গ্রাম |
গুড় | পরিমান মত |
হলুদের গুঁড়া | পরিমানমত |
লবণ | পরিমাণমত |
কদম পিঠা রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
কদম পিঠা রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি সুন্দরভাবে কিছু নারকেল প্রস্তুত করে নিয়েছি। যদিও নারিকেল গুলো আরেকটু পাতলা ভাবে কেটে দিলে ভালো। তবে যতটুকু পেরেছি পাতলা করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এরপর একটি কড়াইয়ের মধ্যে দিয়েছি ও গুড় দিয়েছি।
ধাপ-২
নারকেল এবং গুড়ের মিশ্রণ সুন্দর করে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে।
ধাপ-৩
নারকেল এবং গুড়ের মিশ্রণ সুন্দরভাবে প্রস্তুত হয়ে গেলে এবার কড়াইয়ে পানি দিয়েছি এবং গরম করার জন্য দিয়েছি। এরপর সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়েছি। অন্যদিকে রাইস কুকারে বেশি করে পানি দিয়েছি এবং উপরে ছিদ্র ছিদ্র অংশের বাটিটি দিয়েছি। যাতে করে পিঠা তৈরি করতে সুবিধা হয়।
ধাপ-৪
এবার চালের গুঁড়া গুলো সুন্দর করে ডো তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৫
এবার ঠান্ডা করে নেয়ার চেষ্টা করেছি এবং ছোট ছোট গোল গোল করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৬
এবার পিঠা তৈরি করার জন্য গোল গোল অংশগুলোর মাঝখানে গুড় এবং নারিকেলের মিশ্রণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৭
এবার চালগুলো পিঠার উপর দেওয়ার জন্য সুন্দর করে কোট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৮
পিঠাগুলো তৈরি হয়ে গেলে এবার সামান্য পরিমাণে হলুদের গুঁড়ো দিয়েছি। যাতে করে কদম ফুলের মতো দেখতে লাগে। এরপর ভাপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছি।
ধাপ-৯
ধীরে ধীরে রাইস কুকারের উপরের অংশে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ঢাকনা দিয়ে সুন্দরভাবে ঢেকে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা খুলে এপাশ ওপাশ নাড়াচাড়া করে দিয়েছি। যাতে করে চালগুলো সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয় এবং খেতে ভালো লাগে।
উপস্থাপনা:
কদম ভাপা পিঠা খেতে দারুণ হয়েছিল। অবশ্যই একবার কদম ভাপা পিঠা রেসিপি তৈরি করে খেয়ে ফেলবেন। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। যদিও প্রথম যেদিন তৈরি করেছিলাম সেদিন উপস্থাপন করার জন্য ছবি তুলতে পারিনি। তাই নতুন করে আজকে আবারো তৈরি করেছি এবং অবশেষে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি সত্যিই অনেক লজ্জিত। আশা করছি সবাই ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য খুবই চমৎকার কদম পিঠা তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। পিঠার নামের সাথে চেহারার যেন পুরোপুরি মিল রয়েছে। পিঠাগুলো দেখে তো প্রথমে আমি মনে করেছিলাম কদম ফুল।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এই পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করেছি ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামতের জন্য।
প্রথমবার তৈরি করা পিঠা দিয়ে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করতে পারেননি জেনে বেশ খারাপ লাগলো। শত ব্যস্ততার মাঝেও যে অংশগ্রহন করেছেন সেটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার কদম্ফুল পিঠাটি।অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
সত্যিই আপু প্রথমবার ফটোগ্রাফি না করতে পেরে ভীষণ খারাপ লেগেছে। তাই তো চেয়েছিলাম এবার আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব না। অবশেষে করে ফেললাম আপু।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। শীতের সময় পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। মজাদার কদম পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি, আপনার পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এ কদম পিঠা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি আপু শীতের সময় মজার মজার পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। তাইতো আমিও পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। একবার অবশ্যই এভাবে পিঠা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এতো ব্যস্ততার মাঝেও চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। কদম পিঠা গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু লেগেছে। অনেকেই দেখছি কদম পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছে। এই পিঠা আমার কখনো খাওয়া হয়নি। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
এবার ইচ্ছে ছিল না প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার। তবে নিজের মতো করে পিঠা তৈরি করে অংশগ্রহণ করে ফেলেছি ভাইয়া। অবশ্যই একবার বাসায় এই পিঠা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
কদম পিঠা আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদ হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু আপনি একবার অবশ্যই কদম পিঠা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। কদম পিঠা রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হইছে। পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনার পিঠা তৈরি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আমার তৈরি করা পিঠা দেখে আপনার খেতে ইচ্ছে করছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। চেষ্টা করেছি সুন্দর করে পিঠে তৈরি করে উপস্থাপন করার। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কদম পিঠা দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন অভিনন্দন আপনাকে আপু। এই কদম পিঠা নিয়ে দেখি অনেকেই পোস্ট করেছেন। আগে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। নতুন রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শিখে নিলাম আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আমার তৈরি করা পিঠা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
অনেক মজার পিঠা তৈরি করেছেন আপু। এই পিঠা দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়। অনেকে শেয়ার করলো কদম ফুল পিঠার রেসিপি। বেশ ভালো লেগেছে সবার রেসিপি গুলো। আপনি আজকে কদম পিঠার রেসিপি শেয়ার করে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার তৈরি করা পিঠা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। মন্তব্য প্রকাশের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। কদম ফুল পিঠার নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠা দেখতে লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনি একদিন অবশ্যই এভাবে কদম পিঠা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
একদমই অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এই রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব ভালোভাবে আপনি এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন৷ এটি তৈরি করতে আপনি অনেক কষ্ট করেছেন এবং অনেক সময় দিয়েছেন যা এটি তৈরির ধাপগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য৷
আমার রেসিপি দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া এই খাবারটি তৈরি করতে একটু সময় লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।