ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (অষ্টাদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের সপ্তদশ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে অষ্টাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম,আমি সুগন্ধা বীচে সূর্যোদয়ের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করে,তারপর হোটেলে ফিরলাম। হোটেলে গিয়ে দেখি আমার ওয়াইফ তখনও ঘুমাচ্ছে। আমিও ৩০ মিনিটের মতো রেস্ট নিলাম এবং তারপর আমার ওয়াইফকে ঘুম থেকে ডেকে উঠানোর চেষ্টা করলাম। কারণ রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা করে,তারপর লাগেজ গুছিয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করে ডলফিন মোড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।
কারণ বেলা ১১টার সময় আমাদেরকে বাসে উঠতে হবে বাসায় যাওয়ার জন্য। তবে আমার ওয়াইফ তো ঘুম থেকে উঠছিলো না। কারণ আমরা অনেক রাত করে ঘুমিয়েছিলাম। তারপর আমি চিন্তা করলাম আমি রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা করে, তারপর ওয়াইফ এর জন্য নাস্তা পার্সেল করে নিয়ে আসবো। তো আমার ওয়াইফকে এটা বলে আমি হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম। যে কয়েকদিন কক্সবাজার ছিলাম প্রতিদিন সকালেই ভেবেছিলাম চিকেন স্যুপ দিয়ে তন্দুর রুটি খাবো। কারণ সকালের নাস্তায় চিকেন স্যুপ খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। তবে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা হয়নি বিধায়, চিকেন স্যুপ পাইনি। কারণ চিকেন স্যুপ নাকি সকাল সকাল শেষ হয়ে যায়।
যাইহোক সেদিন বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে খোঁজ করার পরেও চিকেন স্যুপ পেলাম না। রেস্টুরেন্টে জিজ্ঞেস করার পর বললো যে চিকেন স্যুপ নাকি খুব কম চলে। তাই অনেক রেস্টুরেন্টে চিকেন স্যুপ তৈরি করে না। তারপর একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বললো, নিরিবিলি রেস্তোরাঁ তে গিয়ে দেখতে। কারণ সেই রেস্তোরাঁয় নাকি সকালে সবসময়ই চিকেন স্যুপ পাওয়া যায়। যাইহোক আমি সাথে সাথে চলে গেলাম নিরিবিলি রেস্তোরাঁয়। তো যাওয়ার পর মেন্যু কার্ড দেখে চিকেন স্যুপ এবং তন্দুর রুটি অর্ডার দিলাম। তারপর অল্প সময়ের মধ্যেই কাঙ্খিত খাবার চলে আসলো টেবিলে। প্রথমে তন্দুর রুটি দিয়ে চিকেন স্যুপ খেয়ে, তারপর পরোটা দিয়ে চিকেন স্যুপ খেলাম। চিকেন স্যুপের স্বাদ ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তাছাড়া নিরিবিলি রেস্তোরাঁর পরিবেশটাও খুব সুন্দর।
যাইহোক আমার ওয়াইফ এর জন্য নাস্তা পার্সেল নিয়ে এক কাপ চা খেয়ে, বিল মিটিয়ে নিরিবিলি রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে হোটেলে ফিরে গেলাম। তারপর আমার ওয়াইফকে ঘুম থেকে উঠতে বললাম। কিন্তু সে তখনও ঘুমাচ্ছে। আমি তো ভোরে ঘুম থেকে উঠে সুগন্ধা বীচে গিয়ে সূর্যোদয় দেখলাম, তারপর বীচে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, তারপর নাস্তা করে হোটেলে ফিরলাম। কিন্তু আমার ওয়াইফের তো তখনও ঘুম কাটছে না চোখ থেকে। আসলে মেয়েরা মনে হয় একটু বেশিই ঘুমায়। যদিও সব মেয়েদের কথা তো আর আমি জানি না হা হা হা। যাইহোক অনেক কষ্টে আমার ওয়াইফকে ঘুম থেকে উঠিয়ে, ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে বললাম। তারপর সে নাস্তা করা শুরু করলো। যাইহোক এরপর আমরা কক্সবাজার ট্যুরে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২২.৯.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণের পোস্টগুলো আমি দেখে থাকি। অনেক অনেক ভালো লাগে আপনাদের এই ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট গুলো দেখতে। আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে খুব সুন্দর ভিডিও ধারণ করে থাকেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। এদিকে কক্সবাজার ভ্রমণের একাধিক পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর একটা পর্ব দেখতে পারলাম বেশ ভালো লাগলো।
চেষ্টা করছি এবারের কক্সবাজার ট্যুর নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ভাই আপনি আজকে কক্সবাজারের ভ্রমণের খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমার অনেক ইচ্ছা আছে কক্সবাজার ভ্রমণ করা। আপনি ওয়াইফের সাথে ভ্রমন করে এখানে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। যা আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে প্রিয়জনকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রিয়জনকে ঘিরে সবকিছু। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের ভ্রমণ বিষয়ক নতুন একটি পোস্ট দেখে। আশা করি আপনারা বেশ সুন্দর সময় কাটিয়ে ছিলেন। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা কক্সবাজার গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
কি যে বলেন ভাইয়া মেয়েরা খুবই কম ঘুমায়। ছেলেরাই তুলনামূলক একটু বেশি ঘুমায়। তবে এটা ঠিক মাঝে মাঝে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। ভাবিকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
আমি তো একেবারে কম ঘুমাই আপু। তাই আমার ওয়াইফ মনে হয় বেশি ঘুমায় হা হা হা। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।