জেনারেল রাইটিং পোস্ট || সন্তানের কাছে মা বাবা যখন বোঝা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,সন্তানের কাছে মা বাবা যখন বোঝা। আমরা সবাই জানি মা বাবা আমাদের কতোটা আপন। এককথায় বলতে গেলে, মা বাবার চেয়ে আপন কেউ পৃথিবীতে আর নেই। কারণ মা বাবা আমাদেরকে জন্মের পর থেকে কতোটা কষ্ট করে লালন পালন করে থাকে,সেটা আমাদের কারোরই অজানা নয়। অনেক সময় মা বাবা নিজে না খেয়ে, সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কি বা হতে পারে। তাছাড়া আমরা অসুস্থ হলে,মা বাবা রাত জেগে আমাদের সেবা যত্ন করে থাকেন।
যাতে করে আমরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাই। এতকিছু করার পর আমরা যদি মা বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে যত্ন না করি এবং তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব না নেই, তাহলে এর চেয়ে খারাপ কিছু আর হতে পারে না। কারণ তারা বৃদ্ধ বয়সে আমাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যান এবং সেটা একেবারে স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। যাইহোক আমাদের মহল্লার একজন বয়স্ক লোক,উনার দুই ছেলেকে ছোট থেকে ভালোভাবে পড়াশোনা করান এবং দুই ছেলেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠান। সেই লোকের শুধুমাত্র দুটি ছেলে রয়েছে এবং উনার কোনো মেয়ে নেই। মূলত সেই লোকটা ব্যবসা করতো, কিন্তু তিনি খুব বেশি যে টাকা পয়সার মালিক,ব্যাপারটা তেমন নয়। কিন্তু উনার স্বপ্ন ছিলো ছেলে দুটিকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। তাই তিনি মূলত দুই সন্তানকে ইউরোপে পাঠায় পড়াশোনা করতে।
এতে করে উনার কিছু জমিজমা বিক্রি করতে হয়েছে। তাছাড়া কিছু টাকা ঋণ করতেও হয়েছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে উনার ছেলেদের পড়াশোনার খরচ বাবদ,বিদেশে টাকা পয়সাও পাঠাতেন। কারণ শুরুর দিকে উনার ছেলেরা চাকরি করার সময় পেতো না। অর্থাৎ সারাক্ষণ পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। যদিও এতে করে সেই লোক এবং উনার স্ত্রী কে কিছুটা কষ্টে জীবনযাপন করতে হতো। কারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের কাছে তো আর অঢেল টাকা পয়সা থাকে না। তবুও তারা দু'জন দুই ছেলের জন্য সবকিছু মেনে নিয়েছে। তারা ভেবেছিল তাদের দুই সন্তান পড়াশোনা শেষ করে যখন ভালো চাকরি করবে, তখন তাদের আর কোনো কষ্ট থাকবে না। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা ভুল প্রমাণিত হয়। তাদের দুই ছেলে সেখানে বিয়ে করে এবং ইউরোপে সেটেল্ড হয়ে যায়। এমনকি তারা তাদের মা বাবাকে দেখতে বাংলাদেশে তেমন আসেও না।
এমনকি মা বাবার জন্য নিয়মিত টাকা পয়সাও পাঠায় না। টাকা পয়সার কথা বললেই বিভিন্ন ধরনের ক্রাইসিস দেখায়। তো সেই লোকটা বাধ্য হয়ে, উনার বাসার সামনে ছোট্ট একটি মুদি দোকান দিয়েছে এবং সেই দোকান চালিয়ে যা ইনকাম হয়,সেই টাকা দিয়ে উনাদের দুজনের সংসার চলে। উনার দুই ছেলে যে এভাবে বেঈমানী করবে নিজের মা বাবার সাথে, সেটা তারা একবারও কল্পনা করেনি। সবাই সেই লোকের জন্য আফসোস করে। আসলে এমন সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাও অনেক ভালো। কথায় আছে না,দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। হঠাৎ করে এই কথাগুলো মনে হলো,তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে কথাগুলো শেয়ার করা যাক। যাইহোক মা বাবা বেঁচে থাকতে, তাদের দিকে সবাই খেয়াল রাখুন। তাহলে তারা মন থেকে আমাদেরকে দোয়া করবেন এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৭.৭.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1942188737636823496?t=QitOjsZt0fY3LcosSza5Ug&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1942189450190311876?t=I6UKEGJxlDSZn00X_xIFVw&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1942189928827547950?t=jltno-lTgCzteI_2XxC8WQ&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.