🍲সজনে পাতা,থানকুনি পাতা,পাদরা পাতা এবং মসুরের ডাল দিয়ে চপ তৈরির রেসিপি🍲
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে,আমি মাঝে মধ্যে বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। কয়েকদিন আগে আমি সজনে পাতা,থানকুনি পাতা,পাদরা পাতা এবং মসুরের ডাল দিয়ে চপ তৈরি করেছিলাম। চপ খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। বিকেল বা সন্ধ্যার নাস্তায় এমন রেসিপি খেতে দারুণ লাগে। সজনে পাতা, থানকুনি পাতা এবং পাদরা পাতা আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। এর আগে আমি এই পাতা গুলো দিয়ে আলাদা ভাবে চপ তৈরি করে খেয়েছিলাম। তবে তিন ধরনের পাতা একসাথে দিয়ে চপ তৈরি করায় খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। রেসিপিটা তৈরি করতে আমার স্ত্রী আমাকে কিছুটা হেল্প করেছিল। আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
সজনে পাতা,থানকুনি পাতা,পাদরা পাতা এবং মসুরের ডাল দিয়ে চপ তৈরির রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সজনে পাতা | পরিমাণ মতো |
থানকুনি পাতা | পরিমাণ মতো |
পাদরা পাতা | পরিমাণ মতো |
মসুরের ডাল | ১৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ | ৩টা |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
আদা বাটা | পরিমাণ মতো |
রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রধান উপকরণ
🍲প্রথম ধাপ🍲
প্রথমে মসুরের ডাল গুলো অল্প কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
সজনে পাতা, থানকুনি পাতা, পাদরা পাতা এবং ধনিয়া পাতা গুলো অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
পেঁয়াজ কুঁচি করে কেটে,তার সাথে পরিমাণ মতো মরিচের গুঁড়া,আদা রসুন বাটা এবং লবণ একসাথে দিয়ে ভর্তার মতো করে নিলাম। মরিচের গুঁড়া একটু বেশি দিয়েছি ঝাল ঝাল করে খাওয়ার জন্য।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
এরপর ব্লেন্ডার করা পাতা এবং মসুরের ডালের সাথে পেঁয়াজ ভর্তা ভালোভাবে মিক্সড করে চপ তৈরি করে নিলাম।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
তারপর কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে চপগুলো ভেজে নিলাম।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
চপ গুলো ভাজা হয়ে গেলে প্লেটে উঠিয়ে রাখলাম। এভাবে সবগুলো চপ ভেজে নিলাম।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর সন্ধ্যার নাস্তায় টমেটো সস এবং পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৫.৬.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
বাহ! আপনি তো দারুন একটি চপ তৈরি করলেন অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে এই চপ রেসিপিটি। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে আপনার চপ রেসিপিটি খেতে অনেক দুর্দান্ত হবে ভাইয়া। আপনার রেসিপিটি দেখে তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, চপ গুলো খেতে এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল। আপনার কাছে রেসিপিটা খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম আপু। রেসিপিটা অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সজনে পাতা,থানকুনি পাতা,পাদরা পাতা এবং মসুরের ডাল দিয়ে চপ তৈরির রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লাগছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কাছে রেসিপির পরিবেশন খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Twitter Link
আপনি তো দেখছি অনেক রকমের পাতার সহযোগে খুবই মজাদার চপ রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। যদিও এতগুলো পাতার সহযোগে তৈরি করা এই চপ আগে কখনো খাওয়া হয়নি, তবে আপনার রেসিপিটা দেখে ইচ্ছে করছে খেতে। সস দেওয়ার কারনে আরো বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে। এরকম মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
ভাই চপগুলো খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছিল। এই রেসিপিটা অবশ্যই বাসায় খেয়ে দেখবেন। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি চপ বানানোর জন্য যে পাতাগুলো ব্যবহার করেছেন প্রত্যেকটা পাতায় ঔষধি এবং উপকারি পাতা। বিভিন্ন পাতা দিয়ে মুসুরের ডাল দিয়ে আপনি যে চপ তৈরি করেছেন এটা দেখে লোভ সামলানো বড় দায়। তবে এইসব পাতা গুলো দিয়ে এভাবে চপ তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। এত চমৎকার একটি চপের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাই,এই পাতাগুলোর অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। চপ খেতে দারুণ লেগেছিল। এভাবে চপ তৈরি করে বাসায় খেয়ে দেখবেন ভাই। এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুবই ইউনিক একটা চপ রেসিপি তৈরি করেছেন দেখছি। তিনটি পাতার সহযোগে এবং মসুর ডাল দিয়ে এই চপ রেসিপি টা তৈরি করেছেন। এই চপ রেসিপিটার কথা আগে কখনোই শোনা হয়নি এবং খাওয়াতো একেবারেই না। মনে হচ্ছে সস দিয়ে খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমি এমনিতে যে কোন কিছুর চপ খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি, তবে এটি কখনো খাওয়া হয়নি। আমি ভাবছি এই রেসিপিটা তৈরি করব। এই চপের টেস্ট তো একবার করতেই হচ্ছে।
যেকোনো ধরনের চপ খেতে আমারও খুব ভালো লাগে আপু। অবশ্যই এই রেসিপিটা একদিন ট্রাই করবেন আপু। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাদরা পাতা আমি চিনি না। কখনও দেখেনি। অন্য দুটো পাতা চিনি। আপনি তিন ধরনের পাতা দিয়ে বেশ সুন্দর করে একটি চপ তৈরি করেছেন । কখনো এভাবে পেস্ট করে বানায়নি । দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
গুগলে সার্চ দিলে পাদরা পাতা দেখতে পাবেন আপু। যাইহোক চপ গুলো খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু লেগেছিল। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সজনে পাতার অনেক ঔষধি গুন আছে। যদিও এভাবে কখনো চপ তৈরি করে খাইনি। তবে মনে হচ্ছে এই নতুন ধরনের চপ খেতে অনেক ভালো লাগবে। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শুধু সজনে পাতা না আপু,এই তিনটি পাতার ই অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। রেসিপিটা খেতে সত্যিই দারুণ লেগেছিল। এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সজনে পাতা,থানকুনি পাতা,পাদরা পাতা এবং মসুরের ডাল দিয়ে চপ তৈরির রেসিপিটি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি। আপনি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দরভাবে ছয়টি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এই রেসিপিটা আমিও প্রথম বার খেয়েছি। সেই হিসেবে রেসিপিটা আমার কাছেও খুব ইউনিক লেগেছে। এমন চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।