নাটক রিভিউ || ফিরে দেখা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে ফিরে দেখা। এই নাটকটি ৩/৪ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | ফিরে দেখা |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | মহিদুল মহিম |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান,তানজিম সাইয়ারা তটিনী,মাহমুদুল ইসলাম মিঠু,ফরহাদ লিমন,সাবিহা জামান এবং আরও অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ২৬শে মে ২০২৫ |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ৯ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়,তটিনীর বিয়ে হচ্ছে অন্য একজনের সাথে এবং জোভান সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তটিনীর সামনে গিয়ে, তটিনীর সাথে কথা বলে। যাতে করে তটিনী বিয়েটা না করে। অর্থাৎ জোভানের সাথে তখন পালিয়ে যায়। এরপর নাটকের কাহিনী অতীতে ফিরে যায়। জোভানের ছোটবেলার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তাই জোভানের বন্ধুর ভীষণ মন খারাপ এবং সে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে চেয়েছিল। তো জোভান তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে,তার মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করে। তারপর তাকে বলে, যে রিসোর্টে তার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হচ্ছে, সেখান থেকে তাকে তুলে আনবে লোকজনের মাধ্যমে। তো জোভান তিনটি লোক পাঠায় তার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডকে তুলে আনার জন্য। কিন্তু রিসোর্ট থেকে তারা ভুল করে তটিনীকে তুলে আনে। অর্থাৎ তটিনী এবং জোভানের বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের বিয়ের অনুষ্ঠান পাশাপাশি রিসোর্টে হচ্ছিলো।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তাই তারা ভুল করে তটিনীকে তুলে আনে। যাইহোক জোভানকে দেখে তো তটিনী প্রচুর রাগ করে। কারণ জোভান তটিনীকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। তটিনী জোভানকে ছাড়া কাউকেই বিয়ে করবে না বলেছিল। কিন্তু জোভান তটিনীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ তাদের প্রেমের সম্পর্কের মাঝখানে তটিনীর হাত ছেড়ে দেয়। তো তটিনী জেদ করে তার বাবার পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাইহোক তটিনীকে তুলে আনার পর,বেশ কয়েকদিন জোভানের সাথে কথা বলেনি তটিনী। কিন্তু জোভান তটিনীকে বিভিন্নভাবে ইমপ্রেস করে এবং তটিনী এক পর্যায়ে পিছনের সব কথা ভুলে যায় এবং জোভানকে আবারও ভালোবাসতে শুরু করে। তো তটিনী যখন জোভানকে বললো, তার বাবার সাথে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে,তখন জোভান তার আসল রূপ দেখায় তটিনীকে। আসলে জোভান তটিনীর বাবার উপর জেদ করে, তটিনীর সাথে এমনটা করে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
যাতে করে তটিনীর বাবার মান সম্মান নষ্ট হয়। কিন্তু তটিনীকে জোভান সত্যি সত্যিই অনেক ভালোবাসে। তবে জেদের বশে জোভান সেটা ভুলে গিয়েছে। আসলে অনেক আগে জোভান যখন তটিনীর বাবার সাথে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে যায়, তখন জোভানকে তটিনীর বাবা চরম অপমান করে। এমনকি জোভানের মা বাবাকে জড়িয়েও বকাবকি করে। তাই জোভানের বুকে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠে। যাইহোক জোভান তটিনীকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। তবে তটিনী জোভানকে বলে,সারাজীবন জোভান তটিনীকে মিস করবে। কিন্তু তটিনীকে সে আর কখনোই খুঁজে পাবে না। তো তটিনী তার বাসায় ফিরে যায় এবং তার বাবার পছন্দের পাত্রের সাথে বিয়ে করতে রাজি হয়। তো সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে জোভান হাজির হয় এবং তটিনীকে নিয়ে পালাতে চায়। কিন্তু তটিনী জোভানের কথায় রাজি হয় না। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে অতিরিক্ত জেদ মানুষকে অনেক সময় ধ্বংস করে দেয়। এই নাটকে সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। তটিনীর বাবা জোভানকে অপমান করার কারণে, জোভান তটিনীর বাবার উপর জেদ করে, তটিনীকে তুলে আনার পর বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। নিঃসন্দেহে এটা সে ভুল করেছে। কারণ তার উচিত ছিলো, তার ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে নেওয়া। কিন্তু সে অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমনটা করেছে। তবে জোভান পরবর্তীতে তার শাস্তি পেয়ে গিয়েছে। কারণ তটিনী অন্য কাউকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে যায়। তাছাড়া তটিনীর বাবাও প্রচুর অহংকারী। তটিনীর বাবা জোভানকে অপমান করেছে ভালো কথা,কিন্তু জোভানের মা বাবাকে জড়িয়ে, বাজে বাজে কথা বলা একেবারেই উচিত হয়নি। কারণ জোভানের মা বাবা তো কোনো দোষ করেনি। তাহলে তারা কেনো কথা শুনবে। তাছাড়া প্রেম ভালোবাসা দোষের কিছু না। কিন্তু তটিনীর বাবা টাকার গরমে,জোভানের পরিবারকে চরম অপমান করে। তটিনীকে তুলে আনার পর, সেই অহংকার একেবারে চুরমার হয়ে যায়। সুতরাং কোনো কিছু নিয়ে অহংকার করা মোটেই উচিত নয়। সবমিলিয়ে নাটকটি বেশ উপভোগ করেছি। তটিনী এবং জোভান বেশ ভালো অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৩০.৫.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1928337820965277980?t=VrvFS18Sj7QqXdMXN5dGtQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1928338967507685611?t=bD2O-cZHIIK7F50-ECD_wg&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1928339638541832309?t=KZRLyxLBdkTDtdC5YFO1TA&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1928456614194942367?t=lKI4EX33FQhuXQUQBdKUbw&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াও আজকে আপনি আমাদের মাঝে ফিরে দেখা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি। আসলে আমি তেমন একটা নাটক দেখি না, তবে সময় পেলেই নাটক রিভিউ পড়ার চেষ্টা করি। আপনার এই নাটকটি পড়ে মনে হলো যে এই নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর। এতো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই নাটকের কাহিনী আসলেই খুব সুন্দর। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। আজকে আপনি দারুন একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ রিভিউ টা শেয়ার করার জন্য।
নাটক সুন্দর না হলে একেবারেই দেখতে ইচ্ছে করে না। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই নাটকটার কাহিনী অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এই নাটকটার মধ্যে অনেক সুন্দর একটা বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে আপনি নাটকটার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে কাহিনী টাকে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চেষ্টা করেছি দারুণভাবে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমারও নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। সবসময় সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।জোভানের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তবে এই নাটকটি আমার এখনো দেখা হয়নি ভাইয়া।আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জোভানের নাটক দেখতে আমারও খুব ভালো লাগে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে আজকের সুন্দর নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালোই লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের এই নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে৷ এখানে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার মধ্য দিয়ে নাটকটি যেন একেবারে চোখের সামনে ভেসে আসছে৷ আমি অবশ্যই সময় করে নাটকটি পুরোপুরি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন। প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।