প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে, আমি আমার বাসার জন্য রহিম আফরোজের আইপিএস ও ব্যাটারি কিনেছিলাম এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের এলাকায় লোডশেডিং সাধারণত তেমন একটা হয় না। কারণ আমাদের এদিকে প্রচুর মিল কারখানা রয়েছে এবং তারা বিদ্যুৎ অফিসে প্রায় সবসময়ই যোগাযোগ করে। যাতে করে লোডশেডিং কম দেওয়া হয়। তাই অন্যান্য এলাকার তুলনায় আমাদের এদিকে লোডশেডিং সাধারণত কম হয়। তাই আইপিএস তেমন জরুরী ছিলো না কখনোই। তবে আপনারা অনেকেই জানেন যে, গত মাসের ১৪ তারিখে আমার টুইন ছেলে পৃথিবীতে আসে।

তাই তাদের জন্যই মূলত আইপিএস কেনা। কারণ বিদ্যুৎ যদি ৩০ মিনিটের জন্যও না থাকে,তারা গরমে অস্থির হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের শরীর ঘেমে যায় এবং তারা কান্নাকাটি করতে থাকে। তাছাড়া শরীর ঘেমে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে,সিদ্ধান্ত নিলাম আইপিএস কেনার। তো প্রথমেই চলে গিয়েছিলাম হ্যামকো আইপিএস এবং ব্যাটারি কেনার জন্য। সেই দোকান আমাদের মদনপুরেই অবস্থিত। তো সেখানে গিয়ে হ্যামকো কোম্পানি সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির আইপিএস এবং ব্যাটারি দেখলাম। তারপর মোটামুটি সবগুলোর দাম জানার চেষ্টা করলাম। তবে সেখানে রহিম আফরোজের আইপিএস ছিলো না। এরপর আমার পরিচিত ইলেক্ট্রিশিয়ান এর সাথে আলোচনা করলাম। তারপর সে বললো ২০০ এম্পিয়ার হ্যামকো কিংবা লুকাসের ব্যাটারি কিনতে। কিন্তু আইপিএস মেশিনটা না কিনে,আমাদের এখানকার এক অভিজ্ঞ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রয়েছে, তাকে দিয়ে বানিয়ে নিতে।

তাহলে নাকি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। কারণ হ্যামকো আইপিএস এর মধ্যে নাকি এলুমিনিয়াম তার ব্যবহার করা হয়। আর এলুমিনিয়াম তার ব্যবহার করলে নাকি আইপিএস লং লাস্টিং হয় না। আর সেই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নাকি কপার তার দিয়ে আইপিএস বানিয়ে দেয়। তাই সেটা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। তো সেই ইলেকট্রিক মিস্ত্রির সাথে আলোচনা করার পর,তিনি বললেন লুকাস ২০০ এম্পিয়ার ব্যাটারি ২৩,০০০ টাকা এবং আইপিএস মেশিনের দাম ১৪,০০০ টাকা। কিন্তু তিনি আইপিএস মেশিনের ওয়ারেন্টি দিবেন মাত্র ১ বছর। তাই ব্যাপারটা আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনি। তারপর আমি খোঁজ নিয়ে, সন্ধ্যার পর চিটাগাং রোডে চলে গেলাম। সেখানে আমাদের শপিংমলের বিপরীত পাশে রহিম আফরোজ এর ডিলার রয়েছে। সেখানে গিয়ে দামাদামি করে ২০০ এম্পিয়ার লুকাস ব্যাটারি কিনলাম ২৩,০০০ টাকা দিয়ে এবং ১১২৫ ভিএ আর জেড আইপিএস মেশিন কিনলাম ১৬,০০০ টাকা দিয়ে।

সর্বমোট ৩৯,০০০ টাকা দিয়ে ব্যাটারি এবং আইপিএস কিনলাম রহিম আফরোজ এর। কারণ রহিম আফরোজের আইপিএস এবং ব্যাটারি নাকি হ্যামকোর চেয়ে অনেক ভালো। রহিম আফরোজের আইপিএস মেশিন নাকি কপার তার দিয়ে তৈরি। তাছাড়া ব্যাটারির রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি হচ্ছে ১৮ মাসের এবং আইপিএস এর ওয়ারেন্টি হচ্ছে ২৪ মাসের। যাইহোক বিল পে করে,একটি সিএনজি ভাড়া করে আইপিএস এবং ব্যাটারি নিয়ে তখনই ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে নিয়ে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। আর রাতের বেলা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সবকিছু সেট-আপ করে দেয়। তো যেকোনো জিনিস কেনার আগে, অবশ্যই সেটার ব্যাপারে ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। তারপর কেনা উচিত। তাহলে ঠকার সম্ভাবনা কম থাকে। তো আইপিএস বেশ ভালোই চলছে। আশা করি দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবো। যাইহোক এই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।