ক্রিয়েটিভ রাইটিং গল্প || একতরফা ভালোবাসায় আরও বেশি কষ্ট পেতে হয় (১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। আসলে বিভিন্ন ধরনের গল্প লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে কাল্পনিক গল্প লেখার চেয়ে, বাস্তব গল্প গুলো শেয়ার করতে আমার বেশি ভালো লাগে। অর্থাৎ আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনা গুলোকে, গল্প আকারে তুলে ধরতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এতে করে অনেকে বাস্তব জীবন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারে। আজকে আমি যে ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,সেটা দীর্ঘদিন আগের ঘটনা। অর্থাৎ আমার এক ফ্রেন্ড একটি মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসতো,কিন্তু সেই মেয়ে আমার ফ্রেন্ডকে ভালোবাসতো না। অর্থাৎ সেটা ছিলো একতরফা ভালোবাসা।
মূলত সম্পূর্ণ ঘটনা বেশ কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আমার সেই ফ্রেন্ডের নাম হচ্ছে শিহাব এবং আমার ফ্রেন্ড যে মেয়েকে ভালোবাসতো সেই মেয়ের নাম হচ্ছে সুমি। আমরা তখন দশম শ্রেণিতে পড়তাম এবং সুমি নবম শ্রেণিতে পড়তো। আমরা একই স্কুলে পড়তাম বলে প্রতিদিনই দেখা হতো আমাদের। তো আমার ফ্রেন্ড একদিন আমাদের কয়েকজন ক্লাসমেট এর সামনে বললো যে, সুমিকে সে খুব পছন্দ করে অর্থাৎ ভালোবাসে। তখন সবাই বললো সুমিকে তো আমাদের স্কুলের অনেকেই খুব পছন্দ করে। কারণ সুমি দেখতে যেমন সুন্দর ছিলো, তেমনি তার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডও খুব ভালো ছিলো। তাছাড়া শিহাবও দেখতে বেশ ভালো ছিলো এবং তাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডও খুব ভালো ছিলো। সুমির বাসা স্কুল থেকে মোটামুটি কাছাকাছি অবস্থিত ছিলো।
কিন্তু আমাদের বাসা স্কুল থেকে একটু দূরে অবস্থিত ছিলো। তো শিহাব প্রায়ই সুমির সাথে কথা বলার সুযোগ খুঁজতে থাকতো। বিশেষ করে টিফিনের সময় কথা বলতে চাইতো। কিন্তু সুমি আবার শিহাবের সাথে কথা বলতে চাইতো না। কিন্তু সুমির ভাবভঙ্গি দেখলে কেনো জানি মনে হতো, সে শিহাবকে কিছুটা হলেও পছন্দ করে। যদিও আমরা সেটা নিশ্চিত ছিলাম না। কারণ সুমি মুখ ফুটে কিছু বলতো না। একদিন টিফিনের সময় শিহাব অনেক কষ্টে সুমির সাথে একটু কথা বলে। তখন সুমি বলে যে, আমি কখনোই কারো সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াবো না। কারণ সে তার পরিবারকে ভীষণ ভয় পায়। মূলত সুমির বড় দুই ভাই ছিলো এবং সেই দুই ভাই সুমিকে অনেকটা চোখে চোখে রাখতো।
তাই সুমির ধারণা ছিলো সে যদি কারো সাথে সম্পর্কে জড়ায়,তাহলে তার দুই ভাই জেনে ফেলবে এবং তাকে প্রচুর মারধর করবে। তারপর সুমি ক্লাসরুমে চলে যায়। কিন্তু শিহাব তো সুমির সাথে কথা বলার পর থেকে,আরও বেশি বেশি কথা বলার জন্য পাগল হয়ে যায়। কিন্তু সুমি আর কথা বলতে চায় না। কারণ সে জানে যে স্কুলেও যদি কথা বলে,তবুও তার দুই ভাইয়ের কানে সেটা চলে যাবে। কারণ সুমির বাসার আশেপাশের অনেকেই সেই স্কুলে যেতো। তো শিহাব আবারও একদিন সুমির সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। এতে করে সুমির মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারণ সুমি খুব ভালোভাবেই বুঝিয়ে সবকিছু শিহাবকে বলেছিল। তারপর সুমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে শিহাবের নামে বিচার দেয়। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৮.২.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া একতরফা ভালোবাসা গুলো সব সময় কষ্ট দিয়ে থাকে। যেমন আপনার বন্ধু সিয়াম এর ঘটনাটি পড়ে বুঝা যাচ্ছে। তবে আমার মতে কাউকে ভালোবাসা অপরাধ না। যদি লোকটিকে না ডিস্টার্ব করে। হয়তো বা সুমির মনে শিহাবের জন্য ভালোবাসা নেই। আবার অনেক সময় দেখা যায় অপছন্দের লোককে ভালোবেসে ফেলে। দেখি আপনার পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষা রইলাম।
আপু ফ্রেন্ডের নাম সিয়াম না শিহাব। যাইহোক গল্পটা পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পড়ালেখা বাদ দিয়ে প্রেম প্রেম খেলা হচ্ছে তাই না,হাহাহা। আপনার বন্ধু শিহাব যে মেয়েকে ভালোবাসতো তার ফ্যামিলির ভয় মেয়েটা কথা বলত না। আসলে বেশিরভাগ সম্পর্ক গুলো এমন হয়। একতরফা ভালোবাসা দেখা যায়। আবার অন্যদের ক্ষেত্রে ভালোবাসা থাকলেও কোন না কোন বাধা ঠিকই থাকে। পরবর্তীতে কি কি হল সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
এটা ঠিক মেয়েটা তার পরিবারকে অনেক ভয় পেতো। পরবর্তীতে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন আপু। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম অনেক বাঁধার কারণে কিছু ভালোবাসা অপূর্ণ থেকে যায়
একেবারে যথার্থ বলেছেন আপু। বিশেষ করে অনেক মেয়েরা নিজের পরিবারকে ভয় পায় বলে মনের কথা খুলে বলতে পারে না।
এক তরফা ভালোবাসায় এমনই হয়। একপক্ষ ভালোবেসে যায় নীরবে আরেকপক্ষ কিছুই বলে না। সুমি তার ভাইদের কারণে কিছু বলতে পারছে না। এদিকে শিহাব পাগল হয়ে যাচ্ছে কথা বলার জন্য। দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়।
ঠিক বলেছেন ভাই,একতরফা ভালোবাসায় আসলেই এমন হয়। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকের পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বাস্তবিক অর্থে অনেক সম্পর্কেই দেখা যায় একতরফা ভালোবাসা কিংবা পারিবারিক বাধার কারণে দূরত্ব তৈরি হয়।ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পোস্ট পড়তে পারবো।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। গল্পটা পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বন্ধু শিহাবের খুব সুন্দর একটি প্রেমের গল্প শেয়ার করেছেন যা পড়ে ভালো লাগলো। তবে আমার মতে সুমি মেয়েটি যেহেতু তার ভাইদের ভয়ে প্রেমের দিকে পা বাড়াতে চায় না এটা কিন্তু তার ভালো দিক। কারণ এতে করে মেয়েটি কখনও খারাপ পথে পা বাড়াতে পারবে না। ভালোবাসা খারাপ নয় কিন্তু সব ভালোবাসার সম্পর্ক যে ভালো হয় তাও কিন্তু নয়। সুমি যখন শিহাব কে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছে এতে শিহাবের উচিত ছিল পিছিয়ে যাওয়ার। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
আসলে শিহাব তো নাছোরবান্দা এবং সে সুমিকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। সেজন্য সে সুমিকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই একতরফা ভালবাসায় যে কষ্ট থাকে সেটি মুখে বলে প্রকাশ করার মতো নয়৷ আপনার বন্ধু শিহাব এর এরকম একটি কষ্টের কথা আজকে আপনি শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালই লাগছে৷ আসলে ওই মেয়েটির পারিবারিক শিক্ষার কারণেই হয়তো সেই প্রেমের দিকে পা বাড়াতে চায়নি৷ হয়তো তার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে অথবা ভয়ের কারণবশত সে আর প্রেমের দিকে পা বাড়ায় নি৷ যাই হোক দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয়৷
আমার বন্ধু শিহাব সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছিল। আসলে একতরফা ভালোবাসায় কষ্ট বেশিই পেতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।