একজন পুরুষের জীবন।
আজ - ২৪শে আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কোন এক সময় হয়তো জীবনে অনেক অর্থ পেলেও প্রকৃত সুখটা পাওয়া সম্ভব হবে না। অর্থ এবং সুখ একে অপরের সাথে সম্পর্কিত থাকলেও জীবন সুখী করতে অর্থ বাধ্যতামূলক নয়। অর্থ ছাড়া চাইলেও জীবনে সুখী হওয়া সম্ভব। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে বাস্তবতার কাছে অর্থই সকল কিছু। জীবনে কোন এক পর্যায়ে এসে বুঝতে পারা যাবে যে অর্থের পেছনে আমরা সারা জীবন ছুটে আসছি সেই অর্থ আমরা পেয়েছি ঠিক কিন্তু সে অর্থ গুলো উপভোগ করার সে সময়টুকু আর জীবনে থাকলো না। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে জীবনের প্রয়োজনে অর্থ অর্থের প্রয়জনে জীবন নয়।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের পুরুষের জীবন বড়ই অদ্ভুত। আমাদের পুরুষের জীবন নিয়ে প্রচলিত একটি গল্প আছে। কম বেশি সকালে আমরা এই গল্পের সাথে পরিচিত। তো চলুন আজ সেই গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি -
সৃষ্টিকর্তা গাধাকে সৃষ্টি করার সময় গাধার আয়ু দিয়েছেন ৩০ বছর এবং তাকে বলেছেন, সেই জীবনে পুরো সময়টাই কঠোর পরিশ্রম করবে এবং তার বুদ্ধি থাকবে অনেক কম। কিন্তু গাধা বলছে সে এভাবে এতদিন বাঁচতে চায় না তার আয়ু আরো কমিয়ে দেওয়া হোক। এরপর সৃষ্টিকর্তা কুকুর সৃষ্টি করলেন এবং তাকে বললেন, সে হবে মানুষের সবথেকে বিশ্বস্ত বন্ধু তবে সে মানুষের খাওয়া অবশিষ্ট অংশ খেয়ে বেঁচে থাকবে। তার আয়ু দিলেন ৩০ বছর। কিন্তু কুকুর বলে আমি এতদিন বেঁচে থাকতে চাই না আমার আয়ু আরো কমিয়ে দেওয়া হোক। এরপর সৃষ্টিকর্তা বানর সৃষ্টি করলেন এবং তাকে বলা হলো সে, এই গাছ থেকেও গাছ থেকে ছুটাছুটি করবে এবং মানুষকে আনন্দ দিবে আর তার আয়ু হবে ২০। কিন্তু বানর বলে ২০ বছর বাঁচতে চায় না তারা এরকম আয়ু দশ বছর দেয়া হোক।
এরপর পুরুষ সৃষ্টির সময় সৃষ্টিকর্তা পুরুষের আয়ু দেয় ২০ বছর কিন্তু পুরুষ বলে আমরা এত অল্প সময় ধরে বেঁচে থাকতে চাই না আমি আরো বেশি সময় ধরে বাঁচতে চাই। তাই গাধা, কুকুর ও বানরের ফিরিয়ে দেওয়া সে আয়ুকাল পুরুষদের দিয়ে দেয়া হয়। আর তাই পুরুষ ২০ বছর বাঁচে পুরুষের মতো করে, ১৫ বছর বাঁচে গাধার মতো করে পরিবারের জন্য খেটে পরিবারের বোঝা পিঠে চেপে নিয়ে। আর ১৫ বছর বাঁচে তার ছেলেমেয়েরা যা দেয় তা খেয়ে অনেকটা কুকুরের মত অন্যের দেয়া উচ্ছিষ্ট খেয়ে । আর জীবনের বাকি সময়টায় কাটে বাঁদরের মতো এই এই ছেলের বাড়ি থেকে ওই ছেলের বাড়ি। আর এভাবে একজন পুরুষের জীবনটা কাটে। এতে আসলে একটি গল্প হলেও একজন পুরুষের জীবনে অনেকটাই বাস্তব চিত্র এটি। আমরা পুরুষরা আসলে নিজের জন্য নয় অন্যের জন্যই বাঁচি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আপনি যতটুকু পরিশ্রম করবেন ততটুকুই ফল ভোগ করবেন। পরিশ্রম মানুষের সৌভাগ্যের প্রসূতি। পরিশ্রম না করলে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। আর আমরা যে পরিশ্রম করি এটা শুধু আমাদের ভোগের জন্য। কথায় আছে অর্থ অনর্থের মূল। যেত কথাটি মনীষীরা বলেছে সে তো হয়তো বা সঠিক। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে টাকা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। আপনার লেখা গল্পটি সম্পর্কে আমি অনেক আগেই অবগত। ঠিকই বলেছেন ভাই এটাই হচ্ছে পুরুষের বাস্তব চিত্র।
শেষ বয়সে এসে সবার জীবনে ভোগান্তি বেড়ে যায়। জীবনের মূল্যবান সম্পদ হলো ভালো থাকা। অনেক সময় আমরা অর্থ দিয়ে সুখ কিনতে চাই। কিন্তু শেষ বয়সে এসে আমরা আমাদের আপন মানুষগুলোর ভিন্ন রূপ দেখতে পাই। জীবন মানেই যেনো জটিলতা।
সত্যি কথাই বলেছেন আপনি পুরুষ নিজের জন্য বাঁচেনা অন্যের জন্য বাঁচে। একদিকে যেমন আমাদের সুখের জন্য টাকার প্রয়োজন আবার অন্যদিকে দেখা যায় এই টাকা উপার্জন করতে করতে আমাদের সেই সুখটা হারিয়ে যায়। একটা পুরুষের কষ্ট হলেও সেটি মুখ বুজে সহ্য করতে হয় পরিবারের কাছে এসে হাসিমুখে কথা বলতে হয় এটাই পুরুষ। যাই হোক আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে । সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে জীবন কে ভালো রাখার জন্য সত্যি সত্যি আমরা অর্থের পিছনে ছুটে চলি। কিন্তু সত্যিকারের অর্থে এই অর্থ আমাদের কে কতটা সুখ দিতে পারে। জীবনের এক সময়ে দেখা যায় অর্থ অর্থের জায়গায় পড়ে থাকে আর জীবনের সুখ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে আপনার গল্পটি কিন্তু এর আগে বহুবার শুনেছি। আর যতবার শুনেছি ততবারই পুরুষের প্রতি বিষণ মায়া হয়। আবার পরবর্তীতে মায়া চলে যায়। হি হি হি।
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমাদের জীবন ধারণের জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু অর্থ আমাদের জীবনের সার্বিক সুখ কখনোই বয়ে আনতে পারে না। আপনার এই লেখাগুলো পড়ে আমার সত্যিই অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে, আপনার পোস্টের গল্পটি অত্যন্ত জ্ঞানমূলক একটি গল্প। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।