পিঠা উৎসবে কাটানো কিছু মুহূর্ত। 10% beneficiary to @shy-fox
আমি যেখানেই যাই চেষ্টা করি পরিবার নিয়ে যেতে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আমি অফিস থেকে এসে তারপর বের হয়েছি। রাস্তায় জ্যাম থাকাতে উৎসবে গিয়ে পৌছালাম ৭:৩০ পর। অনুষ্ঠান চলে ৯:০০ টা পর্যন্ত। গিয়ে এত পিঠার দোকান দেখে আমার মাথা ঘুরে যাওয়ার মত অবস্থা।
এত মানুষের ভিড় দেখে সামনে এগুবো কিনা ভাবছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে হাটতে শুরু করলাম আর পিঠা দেখছিলাম। একটি করে দোকানে ঢুকছি আর পিঠা দেখছিলাম। সব পিঠা ত চেনা যায়না। আমি কিছু পিঠার ছবি শেয়ার করছি।
এই পিঠা সবাই চিনবেন । এই পিঠার নাম পাটিসাপটা। আমি খেয়েছি কিন্তু ভাল লাগেনি। ভিতরে ক্ষীরের পরিবর্তে পায়েস এর মত দিয়ে রেখেছে। তবে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে ।
এটি হচ্ছে কালাই বা মাস কালাই রুটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। সাধারণ রুটির মতই শুধু মাস কালাই এড করতে হয়।
এটি হচ্ছে পুলি পিঠা। এই পিঠা মিষ্টি এবং ঝাল দুইভাবেই পাওয়া যায়। এখানে পিঠাগুলো অনেক সুন্দর লাগছে।
এটি একটি সবজি পাকোড়া । এটি যদিও পিঠার মধ্যে পড়ে কি না জানি না তারপরও আমার পছন্দের তাই খেয়েছি। মোটামুটি ভাল ছিল।
এই পিঠার নাম মিষ্টি মালপোয়া। এটি খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। যে দোকান থেকে খেয়েছি তাদেরটা ও ভাল ছিল।
এই পিঠা আমাদের কুমিল্লার ঐদিকে পাককান পিঠা বলে। এই পিঠা বানাতে অনেক সময় এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন।
এটি হচ্ছে একটি ডোনাট এর ছবি। একটু ভিন্নভাবে তৈরি করেছে।
এটি হচ্ছে দুধ চিতই। এই দুধ চিতই খেতেও খুব ভাল লাগে। পছন্দের পিঠা তাই কিনেছিলাম। এতক্ষণ আমি শেয়ার করেছি যেগুলো আমি চিনি এবং আমি যেসব পিঠা খেয়েছি। এখন কিছু গ্রুপ পিঠার ছবি শেয়ার করছি।
এখানে আপনারা অনেক রকমের পিঠা দেখতে পারবেন। আমি সব পিঠা চিনিনা। এই উৎসবে আমার সবচেয়ে ইউনিক লেগেছে ৮৩ পয়সার দোকান। এই দোকানের স্পেশালিটি হচ্ছে প্রতি গ্রাম ৮৩ পয়সা দাম। মানে হচ্ছে প্রায় ২০ টি আইটেম নিয়ে একটি দোকান। যে যা ইচ্ছা একটি প্লেট এ নিয়ে পারবে। তারপর টোটাল প্লেট ওয়েট দিয়ে যত গ্রাম হবে তার সাথে ৮৩ গুন দিয়ে যা আসে তাই দাম। ভাল লেগেছে দোকানটি আমার কাছে। আমি ৭ টি আইটেম নিয়েছিলাম। দাম এসেছিল ২৩০ টাকা। দোকানের ছবি তুলতে মনে ছিল না তাই শেয়ার করতে পারিনি। তবে আপনারা যদি যান অবশ্যই সেই দোকানে যাবেন।
এই প্রোগ্রামের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাই ত শিল্পকলা একাডেমী তে অনুষ্ঠান হবে আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না তা কি হয়? নাচ দেখেছি, গান শুনেছি কিছুক্ষণ।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | পিঠা উৎসব |
What3words location | https://what3words.com/pumpkin.seatbelt.vesting |
ক্রেডিট | @miratek |
সব মিলিয়ে আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন বা ঢাকায় আসতে পারবেন তারা ঘুরে যেতে পারেন ভাল লাগবে। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
ভাবছিলাম আজকে একটু সকাল সকাল ঘুমিয়ে যাব কিন্তু পিঠা উৎসবের পোস্ট দেখে তো মন খারাপ হয়ে গেল এত রাতে পিঠা কোথায় পাব!পিঠা উৎসবে গেলে অনেক ভালো লাগে কারণ পরিচিত অপরিচিত অনেক পিঠা দেখা যায় এবং মজার মজার পিঠা খাওয়া যায় ঘুরে ঘুরে।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অনেক ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। পিঠা উৎসবের প্রতিটি পিঠা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আশাকরি খেতেও সবগুলো অনেক সুস্বাদু হবে। মাঝে মাঝে এরকম পিঠা উৎসবে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে আপনি বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন এবং পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেছেন তা আপনা৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি ভাইয়া।অসাধারণ কিছু মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া সকাল সকাল এতো পিঠা চোখের সামনে থাকলে আর কিছু লাগে না । এখনি মনে হচ্ছে যদি কিছু পিঠা নিয়ে খেতে পারতাম। যাইহোক ভাইয়া পিঠা উৎসবে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর যেকোনো উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না থাকলে ভালো লাগে না।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও ভাবছিলাম এখানে একবার যাব কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না।
তবে আপনার ফটোগ্রাফি এবং লেখনী পড়ে খুব ভালো লাগলো যেতে না পারলেও মোটামুটি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারলাম।
তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে বিশেষ করে পিঠা খুব লোভ হচ্ছে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি গেলে মনে হচ্ছে ভালোই মজা হবে। ঋ
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমার খুব শখ এইভাবে পিঠা মেলার উৎসবে গিয়ে এইরকম সুন্দর সুন্দর পিঠা তৈরির দৃশ্যগুলো উপভোগ করার পাশাপাশি খাওয়ার । সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল প্রত্যেকটা পিঠা তৈরি শীতের মৌসুম মানে পিঠাপুলির উৎসব অনেক ভালো লাগলো।।
ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
এখন তো মানুষ পিঠা বানানো ভুৃলেই গেছে। আগে গ্রামে শীতের সময় অনেক ধরনের পিঠা তৈরি হত কিন্তু এখন এই প্রবনতা অনেক কমে গেছে। মেলা ছাড়া এমন পিঠা এখন দেখাই যায়না। ধন্যবাদ দারুন কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
পিঠা উৎসব মানে আনন্দ। এটা হচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি। তবে এখন এই সংস্কৃতি একদম বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আপনি ব্যস্ততার মাঝেও পিঠার উৎসব দেখার জন্য একাডেমী মাঠে গেলেন। পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে পরিবেশটা অনেক চমৎকার ছিল। খুব সুন্দর করে পিঠার উৎসব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।