চাঁদনী রাতের গল্প।
চাঁদনী রাতের গল্পে আপনাকে স্বাগতম |
---|
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আমি মুহাঃ আল মামুন। আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে যেই বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি তা হলো একটি গল্প। দোয়া করবেন যেন সুন্দর ভাবে লিখতে পারি। চলুন শুরু করা যাক।
![]() |
---|
চাঁদনী রাতের গল্প |
---|
জোছনা বিধৌত স্নিগ্ধ রাত। একাকী বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আছি। আকাশ দেখছি। তারাকাশূন্য আকাশ। এক প্রান্তে উদিত আলোয় ধুওয়া আধ ফালি চাঁদ।আলো ঝরানো। জোসনা ছড়ানো। দেখতে কী সুন্দর যে লাগছে! যেন প্রাসাদের অলিন্দে উঁকি দেয়া অনিন্দ্য সুন্দরী এক বধুয়া। যার ললাট থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে থোকায় থোকায় আলোকরশ্মি যার মুক্তা ঝরা হাসির দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীময়।
আলোয় আলোয় ভরে উঠছে উঁচু-নিচু মরু বিয়াবান, আবাদ-অনাবাদ সব অঞ্চল। রুপোলি ঐ চাঁদটির দিকে তাকিয়ে আছি মুগ্ধনয়নে, বিমুগ্ধ দর্শক হয়ে। ভাবছি, আলাহর কী অপরুপ এক সৃষ্টি। যার রূপ বৈচিত্র নিয়ে কত কবি কবিতার পশরা সাজিয়েছে। কত গদ্যকার শব্দের পিঠে শব্দজুড়ে গদ্যের মালা গেঁথেছে। এই চাঁদনি রাতে বসেই কত প্রেমিক-প্রেমিকা গেয়েছেন ভালোবাসার গান।
এমনই এক চাঁদনী রাতের গল্প মনে পড়ে গেল।অনেকদিন আগের, নববী জীবনের গল্প। এর চোখের পাতায় ভাসছে- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ঘরের চাঁদনি রাতের জোছনা-স্নাত এক টুকরো আলোকময় দৃশ্য। আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় নবীজি এ বসে বসে নিজের জুতা সেলাই করছেন। সামনে বসা উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রা. ।মাথার ওপর পনের তারিখের আলোঝলমলে পূর্ণ চাঁদ।
খেজুর পাতার ফাঁক বেয়ে দুজনের ওপর ঠিকরে পড়েছে সেই চাঁদের রুপোলী রশ্মি।সেই রশ্মিতে দ্যুতিময় পুরো ঘর।হঠাৎ আম্মাজান আয়েশা রা.এর চোখ পড়ল, নবীজি সৌভাগ্যভরা কপালে।তিনি দেখলেন, নবীজি এর কপালে জমা বিন্দু বিন্দু ঘামের কণা রুপোলী চাঁদের রুপোলী আলোয় মুক্তার দানার মত ঝলমল করছে। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলেন তিনি দীর্ঘক্ষণ।
সম্মোহিত হয়ে রইলেন প্রিয়তমের সৌভাগ্য-দর্শনে । আহ! জোছনামাখা চাঁদনি রাতের কী এক সুরভিত সময়। হঠাৎ নবীজি ও চোখ তুলে তাকালে, চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় রবি-রাঙা হয়ে চোখ নিচে নামিয়ে নিলেন আম্মাজান আয়েশা রা.।বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নবীজি বললেন, 'কী ব্যাপার! ওভাবে তাকিয়ে কী দেখছো, হুম?'
নবীজির ডাকা হুমায়রা অর্থাৎ গোলাপি চিবুকের নারীটি আরও গাঢ় গোলাপিবর্ণ ধারণ করে লাজবরণ মুখে বললেন,যদি কবি আবু বুকাইর আল হুসালি আপনাকে দেখতেন, তাহলে তিনি জানতে পারতেন, তাঁর কবিতা কেবল আপনাকে উদ্দেশ্য করেই লিখেছেন। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কী লিখেছে?
উত্তরে আম্মাজান আয়েশা রা. বললেন-
"যদি তুমি উদ্ভাসিত চাঁদের দিকে তাকাও, দেখবে সেটি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। আর আলোকিত করছে জগতের সবকিছু, সবার চোখকে!"
সাথে সাথে নবীজি আম্মাজান আয়েশা রা. এর কপাল ও কপোলে ভালোবাসার চুম্বন এঁকে দিয়ে উচ্ছ্বাসিত মনে বললেন, " আলাহর কসম!হে আয়েশা! তুমিও আমার কাছে সেই চাঁদের মতোই,অথবা তারচে'ও বেশি কিছু।"
কেমন লাগলো বন্ধুরা, অবশ্যই কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ রইলো। আজকে এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এবং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর চাঁদনী রাতের যে উপস্থাপন করেছেন সত্যিই মুগ্ধকর ভাবে আপনার লেখনী দ্বারা সকলকেই মুগ্ধ করে দিয়েছেন আপনার সেই শব্দচায়ন গুলো সত্যিই অনেক প্রশংসারযোগ্য ❤️🥰❤️
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। সুন্দর মন্তব্য ও উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
!upvote 25
Congratulations!
You are one of the most engaged Steemians this week, see our report
Delegate SP to @steem-seven or vote for @seven.wit as witness and support our work.
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 25%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!