||বিপদ যেন পিছু ছাড়ে না||
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন আমি নিয়মিত পোস্ট করছি না ।মন না ভালো থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা ।আপনারা হয়তো জানেন আমাদের বাড়িতে গুরু পালন করা হয়। যে সব গরু পালন করা হয় সেসব গরুকে আমি দেখাশোনা করি এবং তাদেরকে খাবার খেতে দেই। বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি পালন করতে আমার অনেক ভালো লাগে ।তাই আমি আমাদের বাড়িতে গরু, ছাগল পালন করে থাকি। যখন গরু ছাগলগুলোকে খাবার খেতে দিই তখন আমার অনেক ভালো লাগে ।সারাদিন এসবের পিছনে আমার দিন চলে যায় ।তবুও আমার একটুও বিরক্ত মনে হয় না ।মনে হয় গরু-ছাগল বাড়িতে থাকলে বাড়িতে অনেক সৌন্দর্য বাড়ে। আমাদের বাড়িতে বড় একটা গাভী ছিল সেই গাভী গর্ভবতী ছিল তাকে আমি অনেক লালন পালন করতাম। মনে হতো যখন গাভীর বাচ্চা হবে তখন অনেক ভালো লাগবে। কেননা এর আগেও আমাদের একটা গাভীর অনেক সুন্দর একটা লাল বাচ্চা হয়েছিল ।সেই বাচ্চাটা আসলেই অনেক ভালো ছিল ।আমি যেদিকে যেতাম আমার পিছু পিছু যেতো। দেখে মনে হতো না যে এটা গরু ।ছোট বাচ্চাদের যেমন ভালবাসলে তারা পিছু ছাড়ে না আমি গরুর বাচ্চাটিকে অনেক লালন পালন করতাম তাই বাচ্চাটি আমার পিছু ছাড়তো না।
আমাদের অন্য একটা গাভীর বাচ্চা হওয়ার সময় হয়েছিল। দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো কিছুদিনের মধ্যে হবে বাচ্চা। ১৫ তারিখ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গরুটা বাচ্চা হওয়ার জন্য অনেক ছটফট করছে। তখন আমি দেখে অনেক ভয় পেয়ে যাই ।তখন বুঝতে পারলাম হয়তো আজকে গরুর বাচ্চা হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে ফোন দিলাম ডাক্তার এসে বলল এখনো বাচ্চা হওয়ার সময় হয়নি ।তখন ডাক্তার বলল আমি বিকেলে এসে দেখে যাব বিকেলে এসে ডাক্তার দেখে বলে এখনো বাচ্চা হওয়ার সময় হয়নি। বাচ্চা হওয়ার সময় হলে গরুর বাচ্চার পা বের হয়ে আসবে ।তখন অনেক টেনশনে পড়ে যায় ।তখন ডাক্তারকে বলি এবার কি করতে হবে আমাদের ।তখন ডাক্তার বলে কালকে সকালে যদি বাচ্চা না হয় তাহলে আমি গরুকে ইনজেকশন দিব। ইনজেকশনের ফলে বাচ্চা হয়ে যাবে ।সারাদিন চলে যাওয়ার পর রাতে দেখি কখন গরুর বাচ্চা হবে। গুরুর কষ্ট দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছিল তাই রাতে একটুও ঘুমাতে পারিনি ।সারারাত বসে বসে দেখছিলাম যেন কোন অসুবিধা না হয় ।রাত দুইটার দিকে দেখি গোয়ালে অনেক রক্ত। তখন আমি ভাবলাম হয়তো বাচ্চার কোন সমস্যা হয়েছে। তা না হলে তো এত রক্ত ভাঙ্গার কথা না ।তখন ডাক্তারের কাছে আবারো ফোন দেওয়া হয়। ডাক্তার বলে সকালে এসে আমি গরুর ইনজেকশন দিব ।
আবার সকালে উঠে প্রায় ছয়টার দিক আবারো গরু অনেক ছটফট করে ।বাচ্চা হওয়ার জন্য তবুও বাচ্চা হয় না ।তারপর ডাক্তার এসে ইনজেকশন দেয় ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চা হয়ে যায়। কিন্তু বাচ্চাটা মারা গিয়েছে ।যখন দেখি অনেক সুন্দর লাল টুকটুকে একটা বাচ্চা হয়েছে তখন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু অনেকক্ষণ সময় নেওয়ার কারণে বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। বাচ্চাটা মারা যাওয়ার পর তার মা এখনো সুস্থ হয়নি। বাঁচা হওয়ার সময় গুরু অনেক আঘাত পেয়েছিল কেননা ডাক্তার অনেক কষ্ট করে বাচ্চাটা বের করেছিল ।আঘাত পাওয়ার কারণে গরু অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল ।প্রায় তিন দিন গরু কিছু খেয়েছিল না তারপর অল্প একটু ঘাস খাওয়ার পর গরুর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে গরু আবারও অনেক অসুস্থ হয়ে যায় ।অনেক টেনশন হচ্ছিল গরুর জন্য। এই কয়টা দিন ওষুধের পর ওষুধ খেয়ে যাচ্ছে তবুও যেন গরু সুস্থ হচ্ছে না ।আজকে আবারও অনেকগুলো ওষুধ কিনে আনা হল গরুর জন্য আশা করি ওষুধ গুলো খাওয়ানোর পর আল্লাহর রহমতে গরুটা সুস্থ হয়ে যাবে ।অনেক সময় যত্ন করলেও অনেক পশুপাখি সুস্থ হয়ে যায় ।এমনিতেও আমি গরুকে অনেক যত্ন করে থাকি। আবারো একটু বেশি করে যত্ন করছি যেন খুব তাড়াতাড়ি গরুটা সুস্থ হয়ে যায়।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
ব্লগার | @mdemaislam00 |
---|---|
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
শ্রেণী | গল্প |
![]() |
---|
আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে খুবই মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমাদের বাড়িতেও গরু রয়েছে। আর সেই গরুটাও অন্তঃসত্ত্বা। মানুষের কষ্ট হলে যেমন সিজার করে নেয় গুরুত্ব আর সেরকম অবস্থা নেই। তাই এখনো প্রাকৃতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে জন্ম মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে হয়। একটা বাচ্চাকে জন্ম দিতে গেলে প্রসব যন্ত্রণা যে কতখানি তা কেবল মায়েরাই জানে। সে মানুষই হোক বা গরু বা কোন প্রাণী। গরুটি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় এই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মতামতের জন্য।
আমাদের বাড়িতেও একই অবস্থা লেগে রয়েছে। বিপদের মাঝখানে রয়েছি আমরা সবাই। আসলে কথায় আছে না বিপদ আসলে চারিদিক থেকে আসে। আমাদের ফ্যামিলি তো ঠিক তাই হয়ে গেছে। দোয়া করি গৃহপালিত পশুর জন্য। যেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
দোয়া করি খুব শীঘ্রই যেন আপনারা বিপদমুক্ত হন আপু।