আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ : পর্ব ৮
নমস্কার বন্ধুরা,
কলকাতা বইমেলা প্রতি বছরই পৃথিবীর নানান লেখক ও লেখিকাদের সংবর্ধনা দিয়ে দুটি হল উৎসর্গ করে। সেই বিষয়টি ফুটে উঠেছে হল নাম্বার ১-এ। যেটি এবছর সমরেশ মজুমদার- কে উৎসর্গ করা হয়েছে। আর বইমেলার আরেকটি হল নাম্বার ২ যা উৎসর্গ করা হয়েছে প্রখ্যাত ইংরেজি উপন্যাসিক এবং সাহিত্য সমালোচক এ এস বায়াট-কে। তার লেখা উপন্যাস সর্বজন বিদিত। "পসেশন" উপন্যাস লিখে তিনি বুকার পুরস্কার জেতেন যেটি পরে সিনেমা আকারেও তৈরি হয়। উপন্যাসের পাশাপাশি এই সাহিত্যিক অনেক ছোট গল্প রচনা করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি অনেক ছোটদের বইপত্র লিখে রেখেছেন। ২০২৩ সালে এই প্রখ্যাত সাহিত্যিক আমাদের ছেড়ে যান। আর তাকে উৎসর্গ করেই করা হয়েছে বইমেলার দ্বিতীয় নাম্বার হলটি।
দ্বিতীয় হলে ঢোকার সময় ভিড় খুবই কমই দেখেছিলাম। এক নাম্বার হলে যতটা পরিমাণে ভিড় ছিল ২ নাম্বার হলে তার অনেকটাই কম। আমার হল নাম্বার ২ য়ে ঢোকার মূল কারণ ছিল দু তিনটে প্রকাশনী। সেই প্রকাশনীর মধ্যে একটি হলো ক্রসওয়ার্ল্ড। মেট্রো শহরের বাসিন্দারা বর্তমানে ক্রসওয়ার্ল্ড প্রকাশণীর সাথে সুপরিচিত হয়ে গেছে। যারা বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে নাড়াচাড়া করতে পছন্দ করেন। সেটার প্রমান পেলাম ক্রসওয়ার্ডের স্টলে ঢোকার পরে। ঠাসা ক্রসওয়ার্ডে কম বয়সী পাঠকদের ভিড় এতটাই যে ঢোকার জন্য রীতিমতো চাপাচাপি করতে হলো। আর সেখানে ভিড় হওয়ার কথা কারণ তারা ফিকশন, নন ফিকশন থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের বই পত্র ই প্রকাশ করে থাকে। যেটা ৮ থেকে ৮০ প্রায় প্রত্যেক বয়সের মানুষকেই তাদের প্রকাশনীর টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য করে।
ভিড়ের মধ্যে কোন মতে সামনে এগোতে থাকলাম আর ক্রসওয়ার্ডের বিভিন্ন কালেকশন দেখতে থাকলাম। তাদের কাছে ইংরেজি সাহিত্যের ক্লাসিক বই পত্রর যেমন ছিল তেমনি কনটেম্পোরারি লেখারও সম্ভার প্রচুর। নানান বইপত্র দেখছি এই সময়েই তাদের একটি বই আমার নজরে এলো যা বুক শেলফে দেখে অল্প হেসে ফেললাম। কারণ বই পড়ে যে ক্যারাটে শেখা যায় সেটা জানলে বা শুনলে যেকেউই মুচকি হেসে উঠবে।
এসবের পাশাপাশি তাদের কাছে বিভিন্ন নামী লেখকের মটিভেশনাল বইয়ের সম্ভার ছিলো। যেটি বর্তমানে তাদের একটি দারুণ সেগমেন্ট। যেখানে ভারতের বিভিন্ন লেখক তাদের বইপত্র ক্রসওয়ার্ড প্রকাশনীর মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। তারা সম্প্রতি বাংলা বইয়ের প্রকাশনীও শুরু করেছে। যেটা সত্যি এক অন্যরকম স্বাদ এনে দিয়েছে। বাংলা বইয়ের কালেকশনে মুস্তাফা সিরাজের কর্নেল সমগ্রটা দেখে অল্প নেওয়ার ইচ্ছে জাগলেও এতগুলো বই একসাথে আমার পক্ষে টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই শেষমেষ হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের অ্যাডভেঞ্চার সমগ্রটা হাতে তুলে বেরিয়ে পড়লাম। পরের স্টলের উদ্দেশ্যে।
দাদা নমস্কার,
আজকের ব্লগে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা অষ্টম তম পর্বে দারুন কিছু দেখলাম ৷ আসলে বই মেলা মানে হলো লেখক লেখিকাদের সংবর্ধনা যেখানে তাদের লেখা বই গুলো প্রকাশ পায় ৷ যা হোক ইংরেজি উপন্যাসিক এবং সাহিত্য সমালোচক এ এস বায়াট-কেইংরেজি উপন্যাসিক এবং সাহিত্য সমালোচক এ এস বায়াট- এর নাম শুনেছি ৷ কিন্তু তিনি যে এত বড় লেখক জানতাম না ৷ আজকে আপনার পোষ্ট হতে জানলাম ৷ সবমিলে বইমেলার ঘোরাঘুরি করার অভিজ্ঞতা অনুভূতি পরে ভালো লাগলো ৷
আমি তার লেখা বই নিয়ে যে সিনেমাটি বানিয়েছে তা দেখেছি। সেই থেকেই অল্প জানতাম। আর বইমেলায় গিয়ে বেশ কিছুটা জানতে পারলাম।
এ এস বায়াট অনেক বড় মাপের একজন লেখক। উনার নামে বইমেলার ২ নম্বর হল উৎসর্গ করা হয়েছে,এটা দেখে আসলেই ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক ২ নম্বর হলের ভিতরের স্টলে তো দেখছি প্রচুর ভিড়। এতো ধরনের বই দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। বইমেলায় ঘুরাঘুরি করে তো বেশ ভালোই বই সংগ্রহ করেছেন দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ নামী বইয়ের সমালোচক হিসেবে তাকে সবাই জানে। তবে তিনি বেশ ভালো বই লিখেওছেন।
একে একে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আটটি পর্ব শেষ হয়ে গেল, তবে আজকের আট নাম্বার পর্বে দেখতে পেলাম দ্বিতীয় নাম্বার হলটি বিখ্যাত উপন্যাসিক এ এস বায়াট এর জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। আসলেই অনেক ভালো লাগলো। হলের ভিতরে ক্রসওয়ার্ড স্টল এর সামনে তো আসলেই অনেক ভিড় দেখা যাচ্ছে দাদা। বই বই পড়ে ক্যারাটে শেখা যায়। এটা শুনে তো আসলে একটু অবাক হয়ে গেলাম আমি দাদা। আপনি তো অনেক বই ও কিনেছিলেন বইমেলা থেকে এবং বইমেলা কিছু দৃশ্য এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা থেকে আমরা উপকৃত হতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এরকম শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
আমার জন্যও বইমেলা ঘুরতে যাওয়ার জায়গার থেকে বেশি শিক্ষনীয় জায়গা বলেই বেশি মনে হয়।
ক্রসওয়ার্ডের এই সেকশনটায় আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল কারণ আমার এক বন্ধু গেছিল সেখানে বই কিনতে এবং এই জায়গার কথা আমায় বলেছিল। যাইহোক দাদা, হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্তের অ্যাডভেঞ্চার সমগ্রটা কিন্তু অনেক ভালো যতদূর শুনেছি। বইটা তোমার পড়া হয়ে গেলে আমাকে কিছুদিনের জন্য ধার দিও দাদা। হা হা হা...😂😂
আমি সেটা পড়িনি তাই কিনতেই হলো আরকি নইলে তো পিডিএফ দিয়েই কাজ চালিয়ে দিতাম। হিঃ হিঃ।
নিয়ে যেও ভাই তুমি ওয়েটিং লিস্টে ৩ নাম্বারে আছো 😁
ওয়েটিং লিস্টের তিন নাম্বারে আছি বুঝলাম দাদা, তবে এটা পেতে কতদিন সময় লাগবে তাই বলো? হিহি🤭🤭