বনভোজন ২০২৫: পর্ব ৩
নমস্কার বন্ধুরা,
বাগানবাড়ি-কাম-নার্সারিতে প্রবেশ করে সবাই মিলে এক হাঁটাতেই বেশ কিছুটা ভেতর ঢুকে পড়েছিলাম। যেহেতু আমরা প্রায় সবাই জীবনে প্রথম এতো বড়ো কোন নার্সারি দেখতে পেয়েছি সেজন্য মূলত ইচ্ছে এমনই ছিল সবটা একেবারে ঘুরে ফেলা। সেই ভাবনা অনুযায়ী ঘুরছিলামও বটে, নার্সারিটার প্রায় ৩০ শতাংশ অংশ ঘুরেও ফেলেছি কিছু সময়ের মধ্যেই। নার্সারীর আরো ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া হবে তখনই পিছন থেকে ডাক পড়লো যে সকালের জলখাবার তৈরি হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই বেলা এগারোটা পেরিয়ে গেছে এবং সকাল থেকে কিছু পেটেও পড়েনি। স্বভাবতই সবারই খিদায় পেট চুইচাই করছিল। এমন সময়ে যদি খাবারের ডাক আসে তাহলে খেতে না গিয়ে কি আর পারা যায়?
পুকুরের স্নিগ্ধ বাতাস অল্প কিছু সময় গায়ে কিছুটা লাগিয়ে ফিরে এলাম বাগানটার একদম সামনের দিকে বাড়ি সংলগ্ন জায়গাটায়। যেখানে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার মূল ব্যবস্থা হচ্ছিল। সেখানে গিয়ে দেখলাম গরম গরম কড়াইশুঁটির কচুরি ভাজা হচ্ছে। আহা! শীতের সময়ে কড়াইশুঁটির কচুরি পেলে আর কি চাই? প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে পড়লাম। পাঁচ খানা কচুরি আর পেলাম কিছুটা আলুর দম। খাবার হাতে নিয়ে ছুটে গেলাম পুকুরের পাড়ে। পুকুরের শীতল বাতাসে সবাই মিলে চুটিয়ে কচুরি দিয়ে সকালের জলখাবারটা সেরে ফেললাম।
সকালের খাবার খেয়ে ফের বেরিয়ে পড়লাম হাঁটতে। আগেই দেখে এসেছিলাম নার্সারিতে কাগজ ফুলের প্রচুর চারা, সেখানেই ছুটে গেলাম। চারপাশে নানান রং বেরঙের কাগজ ফুল। যেদিকেই তাকাচ্ছিলাম সেদিকে কাগজ ফুলেরই বাহার। তার মধ্যে থেকে অনেক রং চোখে পড়ছিল সেই দেখে নার্সারির একটা অংশে ঢুকে পড়লাম। অল্প জায়গার মধ্যেই দেখি তিন তিনটে রংয়ের গাছ। রানী গোলাপী রঙের কাগজ ফুল, আরেকটা ছিল মৃদু গেরুয়া আর হালকা হলুদ রঙের ফুল। হালকা রোদে সেগুলো ফুল গুলো এত সুন্দর লাগছিল যে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওই অরেঞ্জ কালারের বোগেনভেলিয়াটা আমার চাই। সেই কবে থেকে যে খুঁজে যাচ্ছি কোন ভাবেই পাচ্ছিনা। বনভোজনে গিয়ে কড়াইশুঁটির কচুরি খাচ্ছেন, এরম লোভ দেখালে কিন্তু বিদ্রোহ করবো। আপনি যে মারাত্মক ভোজন রসিক মানুষ তা আপনার ব্লগগুলো পড়লেই বুঝতে পারি।
পিকনিকে গিয়ে তো দেখছি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করার পাশাপাশি, মজাদার খাবার খেয়েছিলেন দাদা। তাছাড়া নার্সারি থেকে ফুলের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।