অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৬
নমস্কার বন্ধুরা,
অন্ধকারের আশ্চর্য: পর্ব ৫ এর পর...
ক্ষেতের আলে দুজনে বসতেই ঠান্ডা আরো বেশি করে লাগা শুরু করলো। বসেই নানা বিষয় নিয়ে গল্প শুরু করে দিলো। দুজনে গল্প করতে করতে সুকেশ হঠাৎ সুদীপ্তকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার তাগিদে বলে উঠলো, ধরো যদি এখন হঠাৎ এখানে শিয়াল চলে আসে তখন তুমি কি করবে? সুদীপ্ত শিয়ালের কথা শুনে প্রাথমিকভাবে একটু ভয় পেয়ে গেলেও বললো হাতে তার যে লাঠিটা রয়েছে সেটা কি মশা মারতে এনেছে? লাঠি দিয়েই শিয়াল পিটিয়ে তাড়িয়ে দেবো। সে কথা শুনে সুকেশ হোহো করে হেসে উঠলো।
কথায় কথায় মাঝখান থেকে কখন যে প্রায় ৩০ মিনিট সময় পেরিয়ে গেছে তারা বুঝতেও পারেনি। আসলে গ্রামটা এমনিই অনেকটা ভেতর দিকে তার উপরে আজ মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা সাথে শীতের রাত তাই মেশিনের ভট ভট আওয়াজ ছাড়া কোথাও থেকে কোনো রকম আওয়াজ আসছে না। সময়ের আন্দাজ টাও সে কারণেই হয়নি। তাছাড়া নানান গল্প করতে করতে কখন যে রাত্রি নটা বেজে গেছে দুজনে বুঝতেও পারেনি। বাড়ি থেকে ফোন আসায় সময়ের হুঁশটা হলো।
ফোন পেয়ে সাথে সুদীপ্ত সুকেশকে ঘরে ফেরার আর্জি জানিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। সুকেশ শেষবারের মতন মটর সেচ মেশিনটার দিকে টর্চের আলোটা বাড়িয়ে দিয়ে দুজনে ফের গ্রামের উদ্দেশ্যে হাটা দিয়ে দিলো।
দুজনে অল্প এগোতেই দড়াম করে কিছু একটা জোরে আওয়াজ হলো। মোটরের আওয়াজ ছাপিয়ে আওয়াজটা দুজনের কানে এলো। আকস্মিক অচেনা আওয়াজে দুজনেই একটু ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। চারপাশে এতটাই অন্ধকার যে দুজন দুজনের মুখ চাইবে সেরকম পরিস্থিতি নেই তবুও দুজনে ঠাহর করতে পারল যে একে অপরের দিকে মুখের দিকে তাকিয়ে। অন্ধকারে দুজনে নিঃশব্দে একে অপরকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করছে। নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে সুকেশ বলল যে চলো একবার মেশিনটা দেখে আসি, মেশিন টা ঠিক চলছে কিনা। সুদীপ্ত রাজি হয়ে গেলো আর দুজনেই ফিরে চললো সেচ মেশিনটার কাছে।
মেশিনের কাছে পৌঁছে টর্চের আলোতে দেখতে পেলো মেশিন আগের মতই নাচানাচি করে আওয়াজ করছে। কি মনে হল সুদীপ্তর যে জলের দিকে টর্চের আলোটা ধরল। জলটা তখনও বেশ নড়াচাড়া করছে। দুজনেই ভাবলো যে জলে হয়তো কোনো মাছ বড় মাছ হঠাৎ করে লাফিয়ে উঠেছে তাই এরকম। দুজনেই তাই ফের গ্রামের পথে হাঁটে শুরু করলো। আবার দুজন যখন কিছুটা দূর এগিয়ে গিয়েছে সেই সময়ই আবার সেই আওয়াজ, দড়াম...
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হায় হায় দাদা কি করলেন এমন জায়গায় থামিয়ে দিলেন। এখন তো বেশ জানতে ইচেছ হচ্ছে জলের মধ্যে কি ছিলো। এত অন্ধকার রাতে কি নড়াচড়া করছিল জলের মধ্যে। আমার কিন্তু বেশ ভয় ভয় কাজ করছে দাদা। আগামী পর্ব দেখার তর তো আর সইছে সা ।
প্রিয় দাদা, আপনার লেখা অন্ধকারের আশ্চর্য গল্পের ষষ্ঠ পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। শিয়ালের কথা বলে সুদীপ্তকে ভয় দেখানোর বিষয়টা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। যাহোক আপনার গল্পে দড়াম করে শব্দটা কোথা থেকে হল এবং কে করলো--- সেটা জানার জন্য আপনার গল্পের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।