রেসিপি : ফ্যাসা মাছের ঝাল // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
কয়েকদিন আগে পিসেমশাই নতুন একধরনের মাছ কিনে এনেছিলেন। মাছটার নাম আমার বেশ অদ্ভুত লেগেছিলো, ফ্যাসা। নাম শুনে আমার একদমই ভক্তি আসেনি, খাওয়া তো দূরের কথা। তবে আমার মতের পরিবর্তন সেদিন দুপুর বেলাতেই হলো যখন আমি ফ্যাসা মাছের ভাজা খেলাম। আহা। নদীর মাছের স্বাদই আলাদা। দেখতে ছোটো হলে কি হবে স্বাদ অতুলনীয়। সেদিন থেকেই চিন্তা করে রেখেছিলাম ফ্যাসা মাছের ঝাল খাবো।
শুক্রবার নিরামিষ ছিলো তাই শনিবারে আমিষ রান্নার সুযোগ পেয়েই ফ্যাসা মাছের ঝাল রান্না করে ফেললাম। যাক আর সময় নষ্ট না করে সোজা চলে যাবো মূল রান্নায়।
- ফ্যাসা মাছ
- কালো জিরে
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- নুন
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- কাঁচা লঙ্কা
- সর্ষের তেল
ধাপ ১
- ফ্যাসা মাছ ধুঁয়ে নিয়ে নুন এবং হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রেখে দেবো।
ধাপ ২
- উচ্চ আঁচে ওভেন জ্বালিয়ে নিয়ে একটা কড়াইতে কিছুটা তেল দিয়ে দেবো গরম হতে দেবো।
ধাপ ৩
- তেল গরম হতেই নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখা ফ্যাসা মাছ গুলো কে কড়াইতে দিয়ে আঁচ কমিয়ে অল্প আঁচে মাছ ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৪
- মাছ গুলোকে ভেজে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো।
ধাপ ৫
- মাছ ভাজার বাকি তেলে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাটা এবং স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৬
- পেঁয়াজ ও রসুন ভালোভাবে ভাজা হতেই হাপ কাপ জল দিয়ে জিরে গুঁড়ো এবং লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পেঁয়াজ গুলোকে কষতে দেবো।
ধাপ ৭
- মশলা কষে গেলে ফ্যাসা মাছ গুলো দিয়ে দেবো।
ধাপ ৮
- মাছ গুলো ভালোভাবে মশলার সাথে মাখিয়ে নিয়ে দুকাপ জল ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ঝোল ফুটতে দেবো।
ধাপ ৯
- উচ্চ আঁচে ঝোল ফুটতে দেবো।
ধাপ ১০
- মিনিট দশেক উচ্চ আঁচে জল ফুটে যেতেই আমাদের ফ্যাসা মাছের ঝাল তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ পেজ & ডিসকর্ড||
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
দাদা রান্নাটা একদম অস্থির হয়েছে। তরকারির রং দেখেই বোঝা যায় তরকারিটা কেমন হয়। শুকনা মরিচের গুঁড়ো দেখে মনে হচ্ছে ঝালটা মনে হয় একটু বেশি হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে খুব মজার ও সুস্বাদু হয়েছে রান্নাটা। ফ্যাসা মাছ আমি কখনো খাইনি কিন্তু তোমার রান্না টা দেখে মনে হচ্ছে আমার খুব শীঘ্রই এটা খেয়ে দেখা দরকার খুব মজার মনে হয় হবার কথা এভাবে রান্না করলে। ধন্যবাদ দাদা তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আমাদের এদিকেও এই মাছগুলোকে ফ্যাসা মাছ ই বলে। তবে আঞ্চলিক ভাষায় ফাইস্যা বলে থাকে সবাই।মাছগুলো আমার অনেক প্রিয়।
নদীর মাছ মানে স্বাদ হতেই হবে।তাছাড়া মাছগুলো দেখতে ইলিশে খয়রা মাছের মতো ।আপনার রেসিপিটা খুব সুন্দর হয়েছে।মাছ ভাজি আমার ও খুব প্রিয় পেঁয়াজ কুচি দিয়ে।ধন্যবাদ দাদা।
ফ্যাসা মাছের ঝাল কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে তো শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করে খাবো তবে দাদা আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ফ্যাসা মাছের ঝাল রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
ফ্যাসা মাছ আমি খেয়েছি অনেক বার। তবে আমাদের এখানে এটা অন্য একটা নামে পরিচিত। মাছটা খেতে অনেক সুস্বাদু। আপনার রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ফেসা মাছ বেশ মজা লাগে। কিছু দিন আগে এই মাছ খেয়েছি এবং সেটা শেয়ার করেছিলাম।ফেসা মাছ নদীর মাছ হওয়ায় এই মাছের স্বাদ অন্য মাছের চেয়ে একটু বেশি। সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা 💚
ফ্যাসা মাছ নতুন একটি নাম শুনলাম এবং রেসিপিটির সাথেও নতুন ভাবে পরিচিত হলাম।খুবই দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি দাদা রেসিপিতে আপনি দিন দিন সেরা হয়ে যাচ্ছেন।শুভ কামনা রইলো দাদা।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি দাদা, ফ্যাসা মাছ আমি আজকে প্রথম দেখলাম। এর আগে আমি কখনো এই মাছ দেখি নি।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে রান্না করে তার পুরোটা ধাপ সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। তরকারির কালার দেখতে লোভনীয় হয়েছে 🥰
ওয়াও দাদা অসাধারণ একটি মাছের রেসিপি আপনি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার রেসিপিটি দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে বিশেষ করে আপনার উপস্থাপন টা বেশ ভালো লেগেছে
ফ্যাসা মাছের ঝোল দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে। কারণ দেখেই মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপনার উপস্থাপন দেখে রেসিপি তৈরি করা শিখতে পেরেছি। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।