পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৬steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year


নমস্কার বন্ধুরা,

পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৫ এর পর....

পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৬


রাতুল নানাভাবে দারোয়ানকে বোঝাতে থাকলো যে বর্তমান সময়ে এসে এসব আর বিশ্বাস করা ঠিক না। সেকথা বলতে বলতেই লিফট গ্রাউন্ড ফ্লোরে পৌঁছে গেলো। দারোয়ান এতক্ষন চুপ করে রাতুলের কথা শুনছিলো তবে কোনো উত্তর দেয়নি। লিফটের দরজা খুলতেই দারোয়ান বেরিয়ে এলো তারপর সে অবশেষে নিজের চুপটি ভাঙলো। খুব শান্ত ভাবে সে রাতুলকে বললো,

-ঠিক আছে স্যার আপনি যখন বিশ্বাসই করবেন না তাহলে আমি আপনাকে জোরে করে বিশ্বাস করাবো না তবে সাবধানে বাড়ি ফিরবেন অনেক রাত হয়ে গেছে তো।

দারোয়ান কথা বলা শেষ করেই মুচকি হেসে হাঁটা দিলো। রাতুল অনেক রাতের কথা শুনে নিজের হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আনমনে লিফটের বোতাম টিপলো। ঘড়িতে তখন বাজে রাত ১০:২০ মিনিট।

ঘড়ি থেকে মুখ তুলে রাতুল ভালোভাবে তাকায়ও নি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফের লিফটের দরজাটা খুলে গেলো। আনমনে সে লিফট থেকে বেরিয়ে এলো। চারিদিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো যে এটা পার্কিংয়ের ফ্লোর নয়। কোথায় এসেছে সেটা ঠাহর করতেও পারলো না ঠিক, ভালোভাবে চারিদিকে দেখতে কিছুটা সময় লেগে গেলো। যখন বুঝতে পারলো যে সে হয়তো ভুল করে পার্কিংয়ের ফ্লোরের আরো এক তলা নীচে নেমে এসেছে সেই মুহূর্তেই লিফটের দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। যদিও ততক্ষনে লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে উপরে চলে গেছে।

lamp-4506537_1280.jpg

কপিরাইট হীন ছবি Pixabay

আদপে রাতুলকে গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে মাত্র আরেক ফ্লোর নামলেই হতো। পার্কিংয়ের জায়গাটা গ্রাউন্ড ফ্লোরের ঠিক একদম নীচেই। লিফটে উঠে মনের ভুলে সে গ্রাউন্ড ফ্লোরের বোতাম না দিয়ে তার নীচের বোতাম দিয়ে ফেলাতেই বিপত্তি। আসলে অন্যদিন যেহেতু রাতে সে একা একাই লিফটে নামে তাই তার একটা বোতাম টিপলেই কাজ হয়ে যায় আজ দুজনে একসাথে নেমেই ভুলটা হয়ে গেছে।

ওদিকে লিফটা একদম উপরের তলায় রওনা দিয়েছে। রাতুলের আর কিছুই করার নেই! বাইরে থেকে লিফটের বোতাম টিপে তাই ফের দাঁড়িয়ে পড়লো। তারপর মনে মনে চিন্তা করলো, সে জিনিস যখন একদম উপরে উঠে ফের নীচে নামবে তখন তো বেশ কিছুটা সময় লাগবেই। আর ভুল করে যখন চলেই এসেছে মাত্র একটা ফ্লোর, সিঁড়ি দিয়েই উঠে যাবে।

pexels-frozenmomentii-12139565.jpg

কপিরাইট হীন ছবি Pexels

সিঁড়িটা লিফটের ঠিক বাম পাশেই। তবে সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাবার আগে রাতুল ফের ফ্লোরের দিকে নজর ফেরালো। পুরো ফ্লোর জুড়ে রয়েছে অনেক গুলো ভাঙা চেয়ার টেবিল সাথে বেশ কিছু পুরোনো প্রিন্টার। রাতুল বুঝতেই পারলো যে বহুতলের নানান অফিসের সমস্ত নষ্ট হওয়া জিনিস পত্রের ঠাঁই এখানেই হয়।

চলবে...



IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Sort:  
 last year 

ইশ,দাদা আপনি এমন এমন জায়গায় শেষ করেন যা পরবর্তী পর্ব না পড়া অব্দি উপায় নেই। কি ভয়ংকর ব্যাপার একবার একে তো একা তারপর আবার একেবারে পার্কিং ফ্লোর এর নিচতলা।বেশ ভয়ংকর। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

 last year 

সেটার জন্যই তো। দেখা হচ্ছে পরের পর্বে। 😆

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65551.56
ETH 2659.92
USDT 1.00
SBD 2.89