স্পোর্টস পোস্ট // গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৬-০২-২০২৫)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি স্পোর্টস পোস্ট // গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলা। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে বিদেশ বাড়ি প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনেক কষ্টের। সারাদিন কাজ শেষ করে এসে যখন রান্না করে খাওয়া লাগে এটাই হচ্ছে সব থেকে বেশি কষ্টের আসলে আমি কয়েকদিন এসে মানুষের এইরকম কাজকর্মগুলো আমি লক্ষ্য করেছি। তবে আমি নতুন এসে সিঙ্গাপুর শহর ঘুরে দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ দারুন লাগছে আমি এখন পর্যন্ত এখানে এসে কোন কাজ করিনি শুধুমাত্র ঘুরে দেখতেছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ডিসিশন কি নিতে পারি। আশা করি এখানে কয়েক বছর থেকে তারপরে দেশের বাড়ির উদ্দেশ্যে আবারো রওনা দিতে হবে। সব মিলিয়ে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করছি এবং প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকতে পারছি এটাই আমার কাছে সব থেকে বড় পাওয়া। তবে চলুন আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........
আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আজকে আমাদের পাশের গ্রাম চাঁদপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল। আসলে ফাইনাল খেলা দেখার জন্য আমরা দুপুরবেলায় ফুটবল মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রায় প্রত্যেক বছর ফাইনাল খেলার দিন অনেক ভালো ভালো প্লেয়ার আসে এবং প্রচুর মানুষের সমাগম হয় খেলা দেখার জন্য। আসলে আমি চেষ্টা করি আমাদের গ্রাম অঞ্চলের খেলা গুলো দেখার জন্য। আসলে আমার কাছে গ্রাম অঞ্চলের যে কোন খেলায় দেখতে বেশ ভালো লাগে এবং খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। ফাইনাল খেলার প্রথমেই সেখানে জমকালো আয়োজন দেখে সত্যি আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখানে খুবই দুর্দান্তভাবে প্লেয়ারদের সম্মান দেওয়া হয়েছিল। আসলে এখানে বাইরে থেকে বিদেশি প্লেয়ার ছিল না কিন্তু তাও খেলায় বেশ দারুন উত্তেজনাকর মুহূর্ত ছিল। খেলার প্রথম দিকে আতশবাজি ফুটিয়ে প্লেয়ারদের মাঠের মধ্যে নামিয়েছিল এবং সেখানে অনেক ধরনের আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল মাঠের সকল দর্শক সহ প্লেয়াররা।
আসলে প্রথম থেকেই খেলার শুরুতে বেশ দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছিল দুই দল। সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে যে কোন খেলায় যদি দুর্দান্তভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সত্যি বেশ ভালো লাগে। আসলে প্রত্যেকবার ফাইনাল খেলাতে ফিল্ডে প্রচুর লোক হয় মানুষ খেলা দেখতে পারে না এজন্য এবার আমি অনেক সকাল-সকাল গিয়েছিলাম খেলা দেখার জন্য গিয়ে মাঠের সামনে বসে ছিলাম। এবং সেখানে বসেই আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করেছিলাম বেশ কিছু ছবি। একদিকে অংশগ্রহণ করেছিল ভাংবাড়িয়া ফুটবল একাদশ অপরদিকে অংশগ্রহণ করেছিল যুগিন্দি ফুটবল একাদশ। দুই দল প্রথম থেকে বেশ ভালো খেলা উপহার দিয়েছিল। কিন্তু যুগিন্দি ফুটবল একাদশের প্লেয়ার বেশ দারুন খেলা উপহার দিয়েছিল কিন্তু হাফ টাইম এর আগে তারা নিজেরাই একটি গোল খেয়ে ব্যাগ ফুটে চলে যায় এটা আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল। আসলে ভালো খেলা খেলেও এক গোল খেয়ে অর্ধেক খেলা সমাপ্ত করেছিল। খেলার মাঝ পথে একটু গ্যাঞ্জাম হতে গিয়েছিল তবে সেখানে রেফারি মহোদয় দুই দলের প্লেয়ার কে তার মুখের বাঁশি এবং হাতের কার্ডের মাধ্যমে থামিয়ে দিতে সক্ষম হইছিল সত্যি এখানে বেশ ভালো লেগেছিল।
হাফ টাইমের পর যখন খেলা শুরু হয় তখন যুগিন্দি ফুটবল একাদশ আবারও বেশ দারুণ খেলা উপহার দিতে থাকে। সত্যি দুই দলের খেলা আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল। খেলা শেষ মুহূর্তে এসে মনে হল যুগিন্দি ফুটবল একাদশ গোল দিয়ে আবারও সমতায় ফিরবে। কিন্তু অবশেষে ভাংবাড়িয়া ফুটবল একাদশের প্লেয়ার দূর থেকে একটি শট নিয়ে আবারো গোল করে দিয়েছিল। অবশেষে ভাংবাড়িয়া ফুটবল একাদশ দুই শূন্য গোলের লিড পেয়ে যায় খেলার মাঝে। অবশেষে খেলার শেষ মুহূর্তে ২-০ গোলে পরাজয় বরণ করে যুগিন্দি ফুটবল একাদশ । এদিকে আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়ে ভাংবাড়িয়া ফুটবল একাদশ। খেলার প্রথম পুরস্কার ছিল এক লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল সত্তর হাজার টাকা। সত্যি সব মিলিয়ে খেলা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/kibreay001/status/1887352307089875422?t=nP9SeY-4hMy5_gEekTQrwA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একটা সময় ফুটবল অনেক খেলতাম আর ফুটবল আমার খুব জনপ্রিয় একটি খেলা। তবে এখন ফুটবল খেলা তো দূরে থাক দেখাও হয় না তেমন, ওই যে ব্যস্ততার কারণে। যাইহোক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে ব্যস্ততার কারণে মানুষ অনেক কিছুই ভুলে থাকে। তবে সময় সুযোগ পেলে খেলা দেখবেন মন মাইন্ড ভালো থাকবে ভাই।
আমাদের দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ফুটবল খুবই জনপ্রিয়। খেলা হলে মাঠে মানুষ কে জায়গা দেওয়া যায় না। ভাংবাড়িয়া দারুণ একটা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এবং প্রতিযোগিতার পুরষ্কারের অ্যামাউন্ট তো বেশ বড় ছিল দেখছি। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে আপনি সিঙ্গাপুর আছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সিঙ্গাপুরে এখন সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং আপনার কাছে ভালো লাগছে সেটা নিয়ে খুবই ভালো লাগলো। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এ ধরনের খেলা গুলো দেখতে খুবই মজা হয়। খুবই মিস করি এখন আমাদের গ্রামের এসব খেলা আগেই ছোটবেলায় এ ধরনের খেলা হলে দেখতে যেতাম। আপনি পোষ্টের মাধ্যমে এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।