মিষ্টি কুমড়োর সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি।।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি খুবই আনকমন একটি রেসিপি। এই রেসিপিটা আমি এই প্রথম খেলাম। দেখতে যেমন দারুন ছিল ঠিক খেতে ততটাই সুস্বাদু হয়েছে।
মিষ্টি কুমড়ো আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি। আমি অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে মিষ্টি কুমড়ো কিনে নিয়ে আসি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করে মিষ্টি কুমড়ো। আমি সাধারনত এক কেজি করেই নেয়। যেহেতো আমরা বাসায় মাত্র দুইজন মানুষ এক কেজি নিলেই হয়ে যায়। কিছু দিন আগে গেলাম এক কিলো কুমড়ো কিনতে। দোকানদার বলে কুমড়ো কেটে বিক্রয় করি না। নিলে একটি ফুল কুমড়োই নিতে হবে। কি আর করবো, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে তো জনগন জিম্মী। তাই ছোট একটি কুমড়ো নিলাম দুই কেজি হলো। ৫০ টাকা দিলাম মানে না। পরে আবার দশটা দিলাম।
বাসায় আনার পরে বউ অর্ধেকটা দিয়ে ভাজি করে বাকিটা ফ্রিজে রেখে দিয়েছে। গত কাল সন্ধায় বাসায় যাওয়ার পরে বললো আমার জন্য বসে আছে একটি রেসিপি করবে। আমি বললাম ঠিক আছে চলো তাহলে শুরু করি। তারপর দুই জন মিলে দারুন একটি ভর্তা রেসিপি তৈরী করলাম। রেসিপিটি এত সুস্বাদু হবে চিন্তা করি নাই। খাওয়ার পরে খুবই ভাল লেগেছে। এখন চিন্তা করতেছি আজকেও বাসায় যাওয়ার সময় আরেকটি মিষ্টি কুমড়ো নিয়ে যাবো ভর্তা খাওয়ার জন্য। আপনারা যদি সুস্বাদু মিষ্টি কুমড়ো ভর্তা খেতে চান তাহলে এই ব্লগটি ফলো করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় উপকরন-
মিষ্টি কুমড়ো | এক চতুর্থাংশ |
---|---|
পেঁয়াজ | একটি |
কাঁচা লঙ্কা | তিনটি |
শুকনো লঙ্কা | তিনটি |
রসুনের কোয়া | তিনটি |
ধনিয়া পাতার গাছ | চারটি |
সরিষার তেল | পরিমান মত |
সয়াবিন তেল | পরিমান মত |
নুন | স্বাদ মত |
সব উপকরন কেটে কুটে রেডি করে কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমান মত তৈল দিয়ে দিলাম। তারপর তৈল গরম হলে রসুনের কোয়া,শুকনো লংঙ্কা,কাঁচা লঙ্কা গুলো তেলে মধ্যে ছেড়ে দিলাম। তেলে দেওয়ার পরে চেৎ চেৎ আওয়াজ হতে লাগলো,হা হা হা।
দ্বিতীয় ধাপ-
দ্বিতীয় ধাপে রসুন আর লঙ্কা গুলো তুলে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর পেয়াজ গুলো ভাল ভাবে ভাজি করলাম। কারন ভাল করে লাল লাল করে ভাজি না করলে ভর্তার সাথে খেয়ে মজা পাওয়া যাবে না।
তৃতীয় ধাপ-
এবার ভাজি করা পেঁয়াজ গুলো তুলে কেটে রাখা মিষ্টি কুমড়োর চিড় গুলোর মধ্যে হালকা লবন মাখিয়ে ধীরে ধীরে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ-
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে মিষ্টি কুমড়ো গুলো খুব সুন্দর ভাবে ভাজা ভাজা হয়ে যাচ্ছে। একটু সময় নিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই ভাজার কাজটা সম্পূর্ণ করলাম। কি যে লোভনীয় ঘ্রান বুঝানো অসম্ভব।
পঞ্চম ধাপ-
পঞ্চম ধাপে এসে আগুনের কাজ শেষ। এখন হাতের ক্যালমা শুরু। ভেজে রাখা লঙ্কা,রসুন আর ধনিয়া পাতা গুলো কেটে কুচি কুচি করে নিলাম। সাথে আরো কিছু কাঁচা পেঁয়াজ কুচি করে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ-
এবার লঙ্কা,রসুন, ধনিয়া পাতা আর লবন সব কিছু এক সাথে মিক্স করে নিলাম। তারপর সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপ-
এইবার শেষ পর্যায় চলে এসেছে, তেলে ভেজে রাখা মিষ্টি কুমড়ো গুলো দিয়ে দিলাম। কুমড়োর মধ্যেও মোটামুটি ভালোই তেল আছে। ভাজি ভাজি করার কারনে চপ চপ করতেছে।
অষ্টম ধাপ-
এইযে সেই কাংখিত মুহূর্ত চলে আসলো। সবকিছু মিক্স করে ভর্তা বানিয়ে ফেললাম। লোভনীয় একটি কালার এসেছে। যেমন চেয়েছিলাম তার থেকেও বেশি সুন্দর কালার এসেছে। খুবই চমৎকার লাগতেছে। এবার খাওয়ার পালা অহ সরি আগে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করে নেয়।
পরিবেশন-
বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটা কেমন হলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি আপনাদের নিকট অনেক ভাল লাগবে। আর একটি রিকুষ্টে থাকবে, রেসিপিটা একবার বাসায় বানিয়ে খাবেন,তাহলে আজীবন মনে থাকবে। আর কথা বাড়াবো না। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | মিষ্টি কুমড়োর সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি।। |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০২-০৯-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। মিষ্টি কুমড়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু মিষ্টি কুমড়ো আমার স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারি। ধন্যবাদ।
আমিও সেটাই মনে করি বাংলাদেশের বিক্রেতাদের কাছে ক্রেতারা বরাবরই জিম্মি থাকে কারণ তাদের কারো কারো ব্যবহার একদমই অন্যরকম। যাইহোক দুজনে মিলে অনেক মজাদার একটি মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার এই ভর্তা রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল, মজাদার এই মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
যখন মন চাই তখনই তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখার মত কেউ নেই। ধন্যবাদ।
যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। গরম গরম ভাতের সাথে লেবু দিয়ে ভর্তা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা আমিও কয়েকবার করেছিলাম খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু গরম গরম ভাতের সাথে মিষ্টি কুমড়ো ভর্তা দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কাছে জনগণ জিম্মি কারণ খাদ্য মূল্যের এত ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ জনগণ খুবই নিরাশ। তবে যাই হোক ভাইয়া, আপনি মিষ্টি কুমড়ার ভর্তার খুবই অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জী ভাইয়া বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারনে জনগন দিশেহারা। ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়া ভর্তা খেতে ভালই লাগে। আজকে আপনি মজাদার মিষ্টি কুমড়া ভর্তা করেছেন যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে মিষ্টি কুমড়া ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
মিষ্টি কুমড়ো ভাজি,ভর্তা,তরকারি অনেক ভাবেই খাওয়া যায়। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমি আপনার রেসিপি দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি আচার এর রেসিপি তৈরি করেছেন। পরে আপনার টাইটেল পড়ে অবাক হলাম। মিষ্টি কুমড়ো এভাবে ভর্তা করা যায় তার আগে জানা ছিল না। নতুন করে মিষ্টি কুমড়ো ভর্তা করা শিখে নিলাম। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে।
জী আপু আমিও এই প্রথম এই রেসিপিটা তৈরী করেছি। খাওয়ার সময় খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
মিষ্টি কুমড়ো প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। আর মানুষের দেহের জন্য খুবই একটা উপকারী তরকারি। ভাই আপনি আজকে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা করেছেন। যদিও আমার আজ পর্যন্ত মিষ্টি কুমড়া ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার ভর্তার প্রক্রিয়াটি দেখে মনে আছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া একবার বাসায় রেসিপিটা তৈরী করে দেখবেন। অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়া ভাজি করে অনেক খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে ভর্তা করিনি। আপনার ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক দুজন মিলে বেশ মজার একটা রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু মিষ্টি কুমড়ো ভর্তাও খাওয়া যায়। একবার রেসিপিটা তৈরী করে দেখবেন। ধন্যবাদ।
মিষ্টি কুমড়োর তরকারি অনেক খেয়েছি কিন্তু কখনো মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে ভর্তাটি খেতে অনেক টেস্টি হবে। আপনি খুবই চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জী ভাইয়া খুবই টেষ্টি হয়েছিল। চিন্তা করছি আবার তৈরী করবো। ধন্যবাদ।