আমি সুযোগ পেলেই বিদেশে পাড়ি জমাবো কেন।।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

হ্যালো প্রিয় স্টিমিট বাসি। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগের টাইটেল হলো আমি সুযোগ পেলেই কেন বিদেশে পাড়ি জমাবো। এর অবশ্যই কিছু কারন আছে। চলুন তাহলে জানা যাক সেই কারন গুলো।

question-2736480_1280.jpg
Link

আমার জন্ম এই বাংলাদেশে। এই দেশের জলে আর বাতাসে আমি বড় হয়েছি। এই দেশের আকাশ, বাতাস, মানুষ সবই আমার পরিচিত। আমি যখন মাধ্যমিক পাশ করেছিলাম তখনই আমার মামা বিদেশে যাওয়ার জন্য আমাকে একটি ভিসা দিয়েছিলো। তখন আমার পড়াশোনার প্রতি খুবই আগ্রহ ছিল। যার ফলে বিদেশের অফার পেয়েও তখন যায়নি। ২০১৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে তখন বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তখন সিনিয়র ভাইয়েরা বলেছিলো যেহেতো তোমার রেজাল্ট ভালো সাধারন ভিসায় বিদেশ যাওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশে অনার্সে ভর্তি হও আর স্টুডেন্ট ভিসায় বাহিরের কোন রাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করো। তখন সিনিয়র ভাইদের পরামর্শটা ভালো লেগেছিল। কিন্তুু পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমে গেছিলো।

আমার এক ক্লাসমেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে আমার নামে একটি ফরম সংগ্রহ করে। তারপর ভর্তি পরিক্ষার দিন আমাকে নিয়ে যায় পরিক্ষা দিতে। কোন রকম পরিক্ষা দিয়েছিলাম। তারপর সেখানেই ভর্তি হয়ে কিছুদিন পরে ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় আসার পরে জীবনের আসল চিত্র দেখতে পায়। মানুষ টাকা ইনকাম করার জন্য কত পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এই শহরে ইনকামের চেয়ে খরচ বেশি। এখানে ধনীরাই ধনী হচ্ছে আর গরীবরা দিন দিন গরীব হচ্ছে। এই শহরের মানুষের মন-মানুষিকতা অনেক কঠিন। একজনের উপর পা রেখে অন্যজন উপরে উঠতে চায়।

কিছুদিন পরেই স্বাধীনতার ৫২ বছর পালন করা হবে। এই ৫২ বছরে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে অনেক ফ্লাইওভার হয়েছে। কিন্তুু ফ্লাইওভারের নিচে এমন কিছু মানুষ ঘুমায় যারাদের দেখলে মানুষ বলে মনে হয় না। আফ্রিকার জঙ্গলেও এর থেকে ভালো পরিবেশে মানুষ থাকে। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়ে নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। গত শুক্রবারে সাইন্সল্যাব যাওয়ার পথে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে এসব চিত্র দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আজ আমরা চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠায় অথচ দেশের রাজধানীর মানুষের বসবাসের চিত্র দেখলে কান্না চলে আসে। আমার হাতে কোন ক্যামেরা মোবাইল ছিল না। যদি থাকতো তাহলে আপনাদের দেখাতাম। আপনারা যদি কোন সময় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাতায়ত করেন তাহলে চিত্র গুলো স্বচক্ষে দেখতে পারবেন। শুধু এখানে নয় কমলাপুর থেকে ট্রেনে টঙ্গি পর্যন্ত যাওয়ার পথে এরকম হাজার হাজার চিত্র দেখতে পারবেন। এগুলো দেখলে আমার মন কাদেঁ কিন্তুু যারা পরিবর্তন করতে পারবে তাদের মন কাদেঁ না। তারা দেখেও না দেখার মত করে চলে যায়।

আজকে ক্ষমতার জন্য সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে। মিসিল করছে, মিটিং করছে,সমাবেশ করছে,হরতাল করছে অথচ কেউ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করে না। কেউ বাজার নিয়ন্ত্রন করার কথা বলে না বা চেষ্টা করে না। আজকে দেশের ২০ কোটি মানুষ ২০০ ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি। সিন্ডিকেট করে সব কিছু দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে এগুলো সমাধান করার মত কেউ নেই। সবাই ক্ষমতা লোভী। সবাই ক্ষমতা চায়,প্রকৃত পক্ষে কেউ দেশের মানুষের চিন্তা করে না। দেশের সব কিছু অনিয়ন্ত্রিত। কেউ কোন নিয়মের তোয়াক্কা করে না। সবাই ক্ষমতার কাছে মাথা নত করে।

কয়কদিন যাবৎ ঢাকা শহরের অবস্থা খুবই খারাপ। এক হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আবার রাজনৈতিক সহিংসতা। গত কাল অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে। কেউ ছাড় দিতে রাজি নয়। কেউ ক্ষমতা ছাড়বে না আবার কেউ ক্ষমতায় থাকতে দিবে না। সামনে আসতেছে বাংলাদেশের দ্বাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত দুই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সবারই জানা আছে। এখন সামনে নির্বাচন উপলক্ষে কি ঘটতে যাচ্ছে কেউ জানে না। ক্ষমতায় যে কোন এক দল যাবে কিন্তুু নিম্ন আয়ের মানুষর ভাগ্যে কি আছে সেটা কেউ জানে না। কি আসছে আমাদের ভাগ্যে.....।

feedback-1977987_1280.jpg
Link

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

image.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqrigHRpcui9esXgmzET2bzsQeMg4RmCSqymiE62YF9FX9CSeYHcZbStqFqiFen18HjyXNbtXG.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7J8W9NZEbNsUTLEMkrtgqwUMHmRbAh6UqX4xVw4ivcS7bbpBquT2w2543nYruerj3XBGzuKvCPijibJe6h1hHzcjF.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 10 months ago 

একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই, সবাই আছে যার যার স্বার্থ নিয়ে। কেউ ভাবে না সাধারণ মানুষদের কথা। অনেক নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষেরা তিনবেলা ভালোভাবে খাবার পর্যন্ত খেতে পারে না এখন। আগে যেখানে ১০০০ টাকা দিয়ে মানুষ ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারতো,বর্তমানে হাজার টাকার বাজার করলে ব্যাগের এক কোণাও ভরে না। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে শুয়ে থাকা মানুষগুলোকে প্রায়ই দেখি,আসলেই খুব খারাপ লাগে। দেশের পরিস্থিতি আসলেই খুব খারাপ। আল্লাহ ভালো জানে কি আছে সাধারণ মানুষদের কপালে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 10 months ago 

জী ভাইয়া এগুলো মুদ্রাস্ফীতির প্রবলেম। কিন্তুু আমাদের দেশের কাকা বাবুরা সেটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে দেখলাম ভাইয়া। নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টটা তুলে ধরেছেন আপনি। আপনি যদি প্রথমে বিদেশ চলে যেতেন ভাইয়া। তাহলে বাংলাদেশে আর এত কিছু ফেস করতে লাগতো না।মানুষ বলে না যে পড়াশোনা করে ভালো কিছু হবে কিন্তু এই বাংলাদেশে পড়াশোনা করে কিছুই সম্ভব না। টাকা যদি না থাকে ভাইয়। কোনভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে নাই প্রতিষ্ঠিত হবার। চাকরি করতে গেলে অভিজ্ঞতা লাগবে। এই লাগবে সেই লাগবে। ঢাকার এমন একটা পরিস্থিতি ভাইয়া। আমি একমাস ছিলাম তো আমিও কয়েকটা ওভার ব্রিজের নিচে দেখতে পারছিলাম। যে এতটা দরিদ্র এতটা অনাহারে নোংরা পরিবেশে মানুষ বাস করছে আবার এমনও লোক আছে দশ তালা ২০ তলায় এসি রুমে দিন কাটাচ্ছে আহারে মানুষ। সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে দেশে কি ঘটতে যাচ্ছে কিছুই বলার নাই। দিনশেষে নিম্ন আয়ের মানুষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা কি খাবে। যারা বড়লোক তারা দিন দিন বড়লোক হয়ে যাচ্ছে আর যারা গরীব তারা দিন দিন গরীব হয়ে যাচ্ছে কথাটির সাথে আমি একমত। দেখা যাক কি একটা অবস্থা হয়। আজকে একটা পুলিশকে মেরে ফেলেছে। তাদেরে তো আমাদের মত পরিবার আছে। তারা কি দোষ করছে ? ভাই আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করতে আর এভাবে চলতে থাকলে ভাইয়া জীবন আসলে অনেক কঠিন হয়ে যাবে এবং আপনি পড়াশোনা করে বিদেশ যদি চলে দিতেন ভাই তাহলে আর বাংলাদেশের এসব ফেস করা লাগতো না এবং অবশ্যই যেন আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। বিদেশ যেতে পারেন দোয়া করি।

 10 months ago 

জী ভাইয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ফ্লাইওভারের উপরে আর নিচে আসল চেহেরা ভাসে। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 59347.70
ETH 2534.40
USDT 1.00
SBD 2.47