টুকিটাকি ফুড ফটোগ্রাফি ।।
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার অনুভূতি-
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই....। আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু টুকিটাকি ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আমি এর আগে শুধু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করি নাই। এই বিষয়টা আজকেই আমার প্রথম। আশা করছি সবার সাপোর্ট পাবো।
পৃথিবীতে কোন জীব জন্তুু খাবার ছাড়া বাচঁতে পারে না। যাদের জীবন আছে সবারই খাদ্য গ্রহন করতে হয়। শুধু যে একবার খাবার গ্রহন করে তা নয়,প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে। যখন যে খাবার গ্রহন করা হয়, কিছু সময় পর সেই খাবার হজম হয়ে বের হয়ে যায়। যার ফলে মানুষ সহ সমস্ত প্রাণী দুই থেকে পাঁচবার খাবার গ্রহন করে থাকে। স্থান কাল পাত্র বেঁধে সেটা কম বেশি হতে পারে। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই এই নিয়ম চলে আসতেছে। হয়তো ভবিষ্যতে এভাবেই চলতে থাকবে। এছাড়া বেচেঁ থাকার মত আর কোন পদ্ধতি দেখছি না।
খাবারের মধ্যে আবার অনেক প্রকার ভাগ রয়েছে। পৃথিবীতে একেক ধরনের মানুষ একেক ধরনের খাবার খায়। যে সকল মানুষ যে খাবারটা যেভাবে খেয়ে হজম করতে পারে তারা সে ভাবেই খেয়ে থাকে। জিহ্বার স্বাদ বা রুচির উপর নির্ভর করে মানুষের খাবারের বৈশিষ্ট। কিছু খাবার প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী হয় আবার কিছু খাবার মানুষ নিজে তৈরী করে খায়। কিছু মানুষ নিয়ম কানুন মেনে খাবার তৈরী করে আবার কিছু মানুষ নিজের ইচ্ছা মত খাবার তৈরী করে। মূলকথা হলো যে যেভাবে ইচ্ছা খাবার খেতে পারে,সেভাবেই তৈরী করে। কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এখন আমি কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি যে গুলো মানুষ নিজে তৈরী করেছে।
এটাকে কেউ বলে চেলা মাছ কেউ বলে কাটারি মাছ। আমাদের তিতাস নদীতে এই মাছটা প্রায় সময় দেখা যায়। ধনিয়া পাতা আর কাচাঁ মরিচ দিয়ে তত্তরা রান্না করলে খেতে দারুন লাগে। বর্ষা আসলে এই মাছ গুলো চোখে পড়ে। নতুন পানির মাছ।
খাবারের ধরন- চেলা মাছ তত্তরা।
সময়-৩ টা ৩০ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৪-০৮-২০২৩
স্থান-ভাদুঘর,সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এগুলোর নাম তো আর বলা লাগবে না, চিকেন রোস্ট। এখানে ফুল মুরগটা চার ভাগ করে রান্না করা হয়েছে। শশুরের মুরগির ব্যবসা হওয়ার কারনে ফুল মুরগিই ভুনা করে দেয়। নিজের শক্তি কম খরচ করার জন্য কেটে পিচ পিচ করে রান্না করতে বলি।
খাবারের ধরন- চিকেন রোস্ট।
সময়-৩ টা ৩২ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৪-০৮-২০২৩
স্থান-ভাদুঘর,সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এটি হলো চাপিলা মাছ। ডুবো তেলে করকরা ভাজি করে খেতে ধারুন লাগে। এগুলোকে আবার কেউ জাটকা মাছ বলে ভুল করবেন না। আমার এক ছোট ভাইতো হাসিঁ দিয়ে বলে দিয়েছে এগুলো জাটকা,হা হা হা। এগুলোও বর্ষার নতুন পানির সাথে আগমন ঘটে। তবে ছয় মাসের মত বাজারে তাদের দেখা মেলে।
খাবারের ধরন- চাপিলা মাছ ভাজা।
সময়-৩ টা ৩২ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৪-০৮-২০২৩
স্থান-ভাদুঘর,সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এগুলো হলো দেশি মুরগির মাংস। আমি দেশি,বিদেশি,পল্ট্রি, পাকিস্তানি,খামারি সব ধরনের হাসঁ মুরগির মাংসই খেতে পারি। আমার কোন কিছুতে বাধাঁ নিষেধ নেই। ডাক্তার কি বললো সেটা খাওয়ার পরে চিন্তা করি। খাওয়ার বৈধতা আছে এমন যে কোন মাংস রান্না করে দিতে পারলে খাওয়ার দিক দিয়ে কোন কৃপনতা করি না,হে হে হে।
খাবারের ধরন- মুরগের ঝাল মাংস
সময়-৩ টা ৩০ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৪-০৮-২০২৩
স্থান-ভাদুঘর,সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মুগ ডাল দিয়ে মাছের মুন্ড। আহ ! সে যেন এক অমৃত খাবার। আমার মনে হয় একশো জনে একশো জনই মুগডাল দিয়ে মাছের মুন্ড পছন্দ করে। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক রেসিপিও দেখেছি। আমি আবার খুব ছোট থেকেই মাছের মুন্ড খুব পছন্দ করি। আমার আম্মা সেটা খুব ভাল করেই জানে। যার ফলে ঘরে যে কোন বড় মাছ আসলে,মাছের মাথাটা আমার ভাগ্যেই থাকে।
খাবারের ধরন- মুগ ডাল
সময়-৩ টা ৩৪ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৪-০৮-২০২৩
স্থান-ভাদুঘর,সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
সব শেষে রয়েছে মাছের বর্তা। যে কোন মাছের বর্তা আমার খুব প্রিয়। পেঁয়াজ,কাচাঁ মরিচ দিয়ে ভাল ভাবে বর্তা করতে পারলে গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে। আমি মাঝে মাঝে হোটেল থেকে মাছের বর্তা কিনে নিয়ে খায়। তবে আমার দুর্বলতা হলো আমি নিজে কোন মাছের বর্তা করতে পারি না।
খাবারের ধরন- মাছের বর্তা
সময়-৩ টা ২৮ মিনিট
ক্যামেরা-রেডমি নোট-৮
তারিখ-০৪-০৮-২০২৩
স্থান-ভাদুঘর,সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বন্ধুরা আজকে অনেক খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। সব গুলো খাবার আমার এক সাথে এক বেলাতেই খাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ছিল। গত শুক্রবারে শশুর বাড়িতে জুম্মার নামাজ পড়ে খুব মজা করেই এই খাবার গুলো পেটে চালান দিয়েছিলাম। “শশুর বাড়ি মধুর হাড়ি” বলে কথা,হা হা হা। যায়হোক আর দীর্ঘায়িত করবো না। এখনই বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল দেখা হবে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
টুকিটাকি ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট করলেন।খাবারগুলো দেখে একেবারে জিহ্বে জল এসে পরার মত অবস্থা 🤤।ফটোগ্রাফি গুলো খুবই অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ভাইয়া লোভনীয় খাবার দেখলে তো জিহ্বে জল আসবেই ,হে হে হে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ ভাইয়া আপনি দেখছি বেশ দারুণ আর লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে লোভ সামলানো কষ্টকর।আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে আর লোভনীয় লেগেছে মাছের ভর্তা।শশুর বাড়ি দুইদিন মধুর হাঁড়ি তারপর হিহি😜।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া ভাদুঘর কোথায় এইটা এখনো না জানা আমি🙄🙄☹️☹️।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাদুঘর খাদেম পাড়া আপু...। আপনি কোথায় থাকেন। আইরিন আপুর সাথেই না কি...।
ভাইয়া আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। প্রতিটি খাবারই লোভনীয় ছিল। সত্যি ভাইয়া খাবার ছাড়া কোন প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না।তবে মাছের ভর্তা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় কিছু খাবার আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাছের বর্তা আমার খুবই প্রিয়। তাই মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। ধন্যবাদ।
ভাই আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। এই ধরনের খাবার দেখলে কারিনা খেতে ইচ্ছে করে। প্রতিটি খাবার আমার অনেক ফেভারিট, শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া খাবার গুলো খুবই লোভনীয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করতে হয় নাকি । দেখলেই খিদে লেগে যায়। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফিগুলো। আর শ্বশুরের ব্যবসার মুরগী একা খেলেই হবে ? আমাদেরও খেতে দেন। ধনযবাদ ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু দাওয়াত রইল, যে কোন সময় চলে আসবেন। ধন্যবাদ।
লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বিকেল বেলায় এমনিতেই খিদা লেগেছে আর এত লোভনীয় খাবার দেখলে তো বেশি খিদা লেগে যাবে। বিশেষ করে চিকেন রোস্ট দেখে তো আমি কোন ভাবে লোভ সামলাতে পারছি না।
জী ভাইয়া বিকাল বেলা একটু বেশিই খিদা লাগে। আর খাবারের ছবি দেখলে মনকে মানানো অনেক কঠিন। ধন্যবাদ।
ফুড ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুখে জল চলে আসে। আজকে আমাদের মাঝে মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। যা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
জী ভাইয়া খাওয়ার আগেই ক্লিক করে নিয়েছি,কারন পরে তো শেষ হয়ে যাবে,হি হি হি। ধন্যবাদ।
শরীরকে সচল রাখতে হলে এবং সুস্থ রাখতে হলে আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন। এছাড়াও শুধু খাবার খেলে হবে না স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ভালোভাবে পরিশ্রম করার জন্য। আপনি বেশ মজার মজার ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছেনা। ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।
ফুড ফটোগ্রাফি দেখলেই কেমন যেন আমার শুধু খেতে ইচ্ছে করে। আপনি খুবই লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। বর্ণনা গুলো কিন্তু অসাধারণ হয়েছে সব মিলিয়ে দারুন।
জী ভাইয়া খাবার গুলো সত্যিই লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।