ডিম দিয়ে পেঁয়াজ পাতা ভাজি রেসিপি।।
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করবো।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি মজার রেসিপি শেয়ার করবো। রেসিপিটি তৈরী করেছি গত কাল সন্ধার সময়। চলুন বিস্তারিত বর্ণনা করি।
আজকের রেসিপিটা পেঁয়াজের পাতা আর ডিম দিয়ে তৈরী করেছি। পেঁয়াজের পাতাকে কেউ বলে পেঁয়াজের ফুল কেউ বলে পেঁয়াজের কলি আবার কেউ কেউ পেঁয়াজের টুই বলে থাকে। তবে যে যে নামই বলুক না কেন খেতে কিন্তু ধারুন লাগে। পেঁয়াজের পাতা দিয়ে মাছ ভুনা করা যায়, পেঁয়াজের পাতার সাথে বেসন দিয়ে বড়া বানানো যায় আবার ডিম দিয়েও ভুনা করা যায়। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই খাওয়া যায়।
পেঁয়াজের পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শরীরের কোষকলার প্রদাহ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন 'সি'। এগুলোর পাশাপাশি পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আর্থ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়, বিপাকে সহায়তা করে, চোখের অসুখের জন্য ভালো, ত্বকের কুঞ্চন প্রতিরোধ করে ও রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নিয়মিত পেঁয়াজ পাতা খাওয়া যেতে পারে।
এখন আমি রেসিপিটি তৈরী করার মূল প্রক্রিয়া গুলো শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
পেঁয়াজ পাতা | ৫০০ গ্রাম |
---|---|
ডিম | দুইটি |
টমেটো | দুইটি |
পেয়াজ,রসুন কুচি | পরিমান মত |
কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
লবন | পরিমান মত |
তেল | পরিমান মত |
হলুদ | পরিমান মত |
জিরার গুড়া | পরিমান মত |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মত |
ডিম দিয়ে পেঁয়াজ পাতা ভাজি তৈরী করার ধাপ সমূহ:
প্রথমে চুলাতে কড়াই বসিয়ে পরিমান মত তৈল দিয়ে দিলাম। তারপর তৈল গরম হলে কুচি কুচি করা পেঁয়াজ রসুন গুলো দিয়ে দিলাম।
তারপর পেঁয়াজ গুলো হলুদ কালার হয়ে আসলে কাঁচা মরিচ,হলুদ,জিরার গুড়া দিয়ে দিলাম। সব মসলা ভাল ভাবে মিশিয়ে দুটি ডিম ভেঙ্গে দিয়ে দিলাম।
তারপর ডিম টা ভাল ভাবে নেড়ে চেড়ে কুচি কুচি করা পেঁয়াজ পাতা গুলো দিয়ে দিলাম।
তারপর ডিমের সাথে পেঁয়াজ পাতা গুলো ভাল ভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিলাম। আমি কিন্তুু লবনও দেয়নি আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকেও দেয়নি। যদি এখন লবন দেয় অথবা ঢেকে দেয় তাহলে পানি চলে আসবে। সর্বশেষে লবন দিবো।
সর্বশেষ পেঁয়াজ পাতা গুলো হয়ে গেলে টমেটো গুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে পরিমান মত লবন দিয়ে অল্প কিছুক্ষন রেখে আগুন বন্ধ করে দিলাম।
অবশেষে সুন্দর একটি নাস্তার প্লেটে করে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করলাম। পরিবেশন করার জন্য লেবু ,গাজর আর কাঁচা মরিচ ব্যবহার করলাম।
আশা করি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পেয়াঁজের পাতা ভাজি আমার এমনিতেই প্রিয়! খেতে মজাই লাগে! সাথে ডিম দিলে অন্যরকম স্বাদ লাগবে। তবে ডিম দিয়ে খাওয়া হয়নি! আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখিয়েছেন রেসিপিটা 🌼
জী ভাইয়া ডিম দেওয়ার কারনে পেয়াঁজের পাতা ভাজিটা ধারুন মজা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার একটি রেসিপি আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম ভাইয়া। পেঁয়াজ কলি ও ডিম দিয়ে এত সুন্দর রেসিপি এর আগে কখনো তৈরি করিনি। সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। আমি এভাবে বাসায় একদিন তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে
জী আপু বাসায় ট্রাই করবেন। খেতে অনেক স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের বাসায় পেঁয়াজের কলি বলে।তরকারিতে দিয়ে খেতে ভালোই লাগে,অথবা টমেটো দিয়ে ভুনা করলে খেতে বেশ ভালো লাগে,তবে কখনও ডিম দিয়ে ভাজি খাওয়া হয়নি।পরিবেশন বেশ ভালো ছিলো।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
জী আপু প্রথমে ভেবেছিলাম টমেটো দিয়ে ভুনা করবো পরে ডিম এড করে দিলাম। ধন্যবাদ আপু।
পেঁয়াজ পাতা ভাজি কখনো খাওয়া হয়নি। পেঁয়াজ পাতার যে এত পুষ্টিগুণ আছে তা জানা ছিল না। আসলে ডিম দিয়ে অনেক কিছুই রান্না করা যায়। তবে পেয়াজ পাতার ভাজি রেসিপি তৈরি করার আইডিয়া কখনো মাথায় আসেনি। একদিন অবশ্যই ডিম দিয়ে এভাবে পেঁয়াজ পাতার ভাজি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ভিন্ন ধরনের এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু পেঁয়াজ পাতার সাথে ডিম দিলে খেতে ধারুন লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আসলে পেঁয়াজ পাতার ভাজি আমার কাছে এমনিতেই অনেক ভালো লাগে ৷ ডিম টাও বেশ পছন্দের ৷ যাই হোক পেঁয়াজ পাতা আর ডিমের সমন্বয় মজাদার একটি ভাজি রেসিপি করেছেন ৷ খেতে যে খুবই মজার হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
জী ভাইয়া খেতে খুবই মজার হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার তো মনে হচ্ছে এটা একটা ইউনিক রেসিপি। পেঁয়াজের কলি ভাজি করে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে ডিম দিয়ে ভাজি করে খেয়ে দেখিনি। ভাবছি এভাবে একবার রান্না করে খাবো। বেশ সুন্দর উপস্থাপনা ছিল ভাইয়া।
জী আপু এভাবে একবার ট্রাই করে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু।
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এই পেঁয়াজ পাতার বিভিন্ন নাম রয়েছে ।যেমন আমি একে পেঁয়াজের ফুল বলে থাকি । আমিও আজকে এটি রান্না করেছি তবে আমি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছি । আপনার মত কখনো ডিম দিয়ে রান্না করা হয়নি । আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো । নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম । কোন একদিন বাড়িতে তৈরি করে দেখব । খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন । ভালো লাগলো ধন্যবাদ ।
আপু আমিও একদিন পেঁয়াজের ফুলের সাথে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে দেখবো। ধন্যবাদ আপু।
কিসের কি নাম এগুলো তো চিন্তা করি না খাবার মজার হলে হইছে আমার কাছে।পেঁয়াজ ফুলের অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখতেছি এখানে।তবে আপনিও দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ।আপনি অনেক মজার করে ডিম টমেটো দিয়ে পেঁয়াজ ফুল ভাজি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে।ধন্যবাদ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু রান্না করার নির্ধারিত কোন নিয়ম নেই। যে যেভাবে পারে সেভাবেই খায়। ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এখানে আমরা এটাকে পেঁয়াজের কলি বলে থাকি। পেঁয়াজের কলি ও ডিম দিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। তবে রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগবে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই ইউনিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া বিভিন্ন জাগায় বিভিন্ন নামে ডাকে। পেঁয়াজের কলি নামটা অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া।