বাস্তব গল্প- বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না।।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। যদি আপনারা গল্পটি পড়েন তাহলে হৃদয় নাড়িয়ে দিবে।

অলি মিয়ার বসয় ৭০ বছর ছুঁই ছুঁই। সে বর্তমানে নবীনগর উপজেলার কুড়িঁঘর গ্রামে বাস করে। সে যে বাড়িতে থাকে সেটা তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি। অলি মিয়া একসময় একটি স্কুলের হেডমাস্টার ছিল। চাকরি থেকে রিটায়ার্ড নিয়ে ছেলে মেয়ের মন রক্ষার্থে ঢাকার মগবাজারে একটি ভাড়া বাড়িতে উঠেছিল। তবে বর্তমানে তার ছেলে বাংলাদেশে নেই। অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই বিয়ে শাদি করে সেটেল হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে এসে বাবাকে দেখে যায়। ছেলে তার বাবাকে অস্ট্রেলিয়াতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তুু অলি মিয়া মাতৃভূমি ছেড়ে,নিজের মাটি ছেড়ে বিদেশে যাবে না। সে এই দেশে জন্মগ্রহন করেছে, এই দেশেই মৃত্যু বরণ করতে চায়।

অলি মিয়ার মেয়ে একজন ডাক্তার। ভালো ছেলে দেখে মেয়েকে উচ্চ ঘরে বিয়েও দিয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে অলি মিয়া ইট পাথরের শহর ছেড়ে জন্মভূমি গ্রামে চলে এসেছিল। মেয়েও শ্বশুর বাড়ি থেকে মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে এসে বাবাকে দেখে যায়। মেয়ে তার বাবাকে তার সাথে শহরে রাখতে চেষ্টা করেছে। কিন্তুু তার বাবা এই ভূমি ছেড়ে যেতে রাজি নয়। এই গ্রামের প্রতি কেন যেন তার একটা টান আছে। সে দিনের অধিকাংশ সময় গ্রামের কবরস্থানের পাশে থাকে। কবরস্থানের আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে,একটি কবরের পাশে গিয়ে কান্না কাটি করে। অলিমিয়ার মেয়ে জানতে চাই কেন সে এই গ্রামে পড়ে থাকতে চাই। কি আছে এই গ্রামে। তারপর অলি মিয়া মূল বিষয়টা তার মেয়ের কাছে খুলে বলে।

মতিন মিয়া আর অলি মিয়া একই সাথে এই গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করতো। দুইজনে একসাথে এই গ্রামের হাইস্কুলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে ঢাকা শহরে যায়। দুই জনে শহরে গিয়ে নতুন জীবন করে। দুই বন্ধু প্রতিজ্ঞা করে শহরের যে কোন বিপদ বা সমস্যা এক সাথে মোকাবেলা করবে। যা কিছু ভাগ্যে জুটে দুই জনে সমান ভাগ করে খাবে। খেয়ে না খেয়ে তারা তাদের নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লাগলো। দিনের বেলা ক্লাশ করে আর সন্ধার পড়ে দুই বন্ধু মিলে ঢাকার ফুটপাতে বিভিন্ন জিনিষ বিক্রয় করে। পত্রিকা বিক্রয় দিয়ে তাদের ব্যবসা শুরু করে। বাচ্ছাদের,খেলনা কাপড়,খাবার সহ যখন যেটার মৌসুম এসেছে তখন সেটা বিক্রয় করেই তাদের পড়াশোনার খরচ যোগান দিয়েছে। দুই জনের বাবাই গ্রামের গরীব কৃষক ছিল। তাই ঢাকা শহরে ছেলেদের পড়াশোনার জন্য তেমন খরচ পাঠাতে পারতো না। তাই কষ্ঠ করে নিজেদের সব কিছু ম্যানেজ করতে হতো। যখন গ্রামে যেতো দুই জনে একসাথে যাওয়া আসা করতো।

অবেশেষে এক সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার চান্স পায়। দুই জনেই অনেক খুশি,দেশের সব থেকে বড় প্রতিষ্ঠানে তারা পড়া শোনা করার মত ভাগ্য হয়েছে। দুইজনেই সলিমুল্লাহ হলে সিট পেয়েছে। দুই বন্ধুর জীবন খুব সুন্দর ভাবেই চলতেছিল। ১৯৭১ সালে তাদের ভার্সিটির বয়স তৃতীয় বর্স চলছে। সন্ধার সময় দুইজনই হলের রুমে বসে পড়তেছিল। রাত তখন প্রায় এগারোটা বাজবে। হঠাৎ করে মতিন মিয়া অলি মিয়াকে বললো এখনই দুইজকে জরুরী ভাবে চক বাজারে যেতে হবে। কারন একজন ব্যবসায়ী থেকে কিছু মালের অর্ডার দিয়েছে। ব্যবসায়ী আবার সকালে গ্রামে চলে যাবে। রাতের মধ্যে মাল নিয়ে আসতে হবে। তখন দুইজনই যাওয়ার জন্য রেডি হলো। হঠাৎ মতিন মিয়া অলি মিয়াকে বললো এত রাতে দুইজন যাওয়ার দরকার নেই। সেই একাই যেতে পারবে। কারন মাল অল্পই ছিল। দুই জনে কষ্ট করার দরকার নেই। তারপর মতিন মিয়া একাই বের হয়ে গেল।

মতিন মিয়া চক বাজারে গিয়ে মাল পত্র সব কিছু বুঝে নিয়ে আসার পথেই বাধাঁর সম্মখিন হয়। সবাই ছুটাছুটি করছে আর ঢাকা ভার্সিটির এড়িয়াতে গুলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মতিন মিয়া মাল গুলো একটি গলির মধ্যে রেখে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করলো। তখন জানতে পারে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। অনেক ছাত্রছাত্রী ও সাধারন মানুষ হতাহত হয়েছে। তখন মতিন মিয়া শুধু অলিমিয়াকে নিয়ে টেনশন করতে লাগলো। আর নিজের উপর নিজের রাগ হতে লাগলো। যদি অলি মিয়াকে তার সাথে চক বাজারে নিয়ে যেত তাহলেই ভালো ছিল। সারারাত বিভিন্ন জাগায় ঘোরাঘুরি করে মতিন মিয়া ফজরের পরে হলে দিকে আসতে থাকে। তখন সে যা কিছু দেখেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।

অনেক মানুষের লাশ পড়ে আছে,কারো হাত নেই,কারো পা নেই। মানুষের জুতা,লাশ,কাপড় ছিন্ন ভিন্ন অঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মতিন মিয়া অনেক খোজাখুজি করে অলি মিয়াকে আহত এবং অজ্ঞান অবস্থায় পেল। অলি মিয়াকে নিয়ে কোনরকম ঐ এলাকা ত্যাগ করে। এখন অলি মিয়ার জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তাকে নিয়ে গ্রামেও যেতে পারছে না। চক বাজারের এক বস্তি এলাকায় অলিমিয়াকে নিয়ে গেল। সেখানে কোর রকম প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অলি মিয়াকে সুস্থ করার চেষ্টা করলো। জ্ঞান ফিরলেই তারা দুইজন গ্রামের দিকে রওয়ানা দিবে। কিন্তুু সারাদিন অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও অলি মিয়ার জ্ঞান ফিরে আসছে না। ডাক্তার মতিন মিয়াকে বললো রোগির অবস্থা একটু খারাপ। আমি একটি ইনজেকশন লিখে দিচ্ছি। যদি এটি দেওয়ার পরে জ্ঞান না ফিরে তাহলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে।

মতিন মিয়া ডাক্তারকে অলি মিয়োর পাশে রেখে ইনজেকশন নিতে বের হয়েছে। কিন্তুু রাত বারোটা বেজে গেলেও মতিন মিয়ার ফিরে আসার খবর নেই। ঐদিকে ডাক্তারের কাছে যা ঔষুধ ছিলে তা দিয়েই অলি মিয়ার জ্ঞান ফিরে এসেছে। সকাল বেলা ডাক্তারের কাছে মতিন মিয়ার ব্যাপারে সব কিছু শুনে তাকে খোজার জন্য বের হয়। অলি মিয়া খুঁজতে খুঁজেতে সকাল আটাটার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় মতিন মিয়ার লাশ পায়। তারপর মতিন মিয়ার লাশ নিয়ে অলি মিয়া গ্রামে ফিরে। গ্রামের কবস্থানে মতিন মিয়ার কবর দেওয়া হয়েছে। সেই কবরের পাশেই একটু জায়গা রেখেছে অলি মিয়ার জন্য। সেই জন্য অলি মিয়া,মতিন মিয়াকে ছেড়ে,এই গ্রামে ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না।

sunset-1807524_1280.jpg

Link

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

image.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqrigHRpcui9esXgmzET2bzsQeMg4RmCSqymiE62YF9FX9CSeYHcZbStqFqiFen18HjyXNbtXG.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7J8W9NZEbNsUTLEMkrtgqwUMHmRbAh6UqX4xVw4ivcS7bbpBquT2w2543nYruerj3XBGzuKvCPijibJe6h1hHzcjF.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 9 months ago 

বাহ ভাইয়া আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন। বন্ধুত্ব কথাটি শুনেই আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি প্রকৃত বন্ধু হলে সেটা সারা জীবনই থেকে যায়। আপনি আজ অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।

 9 months ago 

জী আপু প্রকৃত বন্ধুত্ব ভুলা যায় না। একেই বলে বন্ধুত্ব। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ভালো যদি বন্ধুত্ব হয় ভাইয়া কোনদিনই হারায় না।সত্য কথা বলতে বর্তমানে বন্ধু মানেই স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত প্রতিটা মানুষ। বন্ধু নির্বাচন করতে হলে আমাদের যথেষ্ট সচেতন ভাবে বন্ধু নির্বাচন করতে হবে। বন্ধু কিন্তু জীবনের একটা অংশ হয়ে যায় কিন্তু এই বন্ধুই ভালো পথে নিতে পারে আবার এই বন্ধুই খারাপ পথে নিয়ে যেতে পারে। অলিমিয়ার দেশ প্রেম দেখে আমি মুগ্ধ।আসলেই আগেকার মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে যেতে চায় না। এখানেই মৃত্যুবরণ করতে চাই। তাদের মধ্যে যথেষ্ট দেশপ্রেম ছিল। মেয়ে ছেলে বেশ ভালোই খোঁজ নিচ্ছিল বাবার। অলি মিয়া ও মতিন মিয়ার বন্ধুত্ব দেখে আমি মুগ্ধ। আসলে এমন বন্ধু খুব কমই দেখা যায় এবং তারা খেয়ে না খেয়ে দুজন নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে লাগল এবং দিনের বেলা ক্লাশ করেও সন্ধ্যায় দুইজন ঢাকার ফুটপাতে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে নিজের জীবন চালাতে লাগলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া কম কথা নয়। খুবই খারাপ লাগতেছে যে মতিন মিয়া যদি অলিমিয়াকে নিয়ে আসতো তাহলে এই মুহূর্তে তাকে দেখা লাগতো না। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা সকলকে মেরে ফেলেছে।লাশগুলো পড়ে আছে আমার পোস্টটা পড়েই যেন মনটা কষ্টে ভেঙে পড়ল। লাস্টের টুক পড়ে যেন আমি থমকে গেলাম। অলি মিয়া বেঁচে গেলও মতিন মিয়াকে আর বাঁচানো গেল না। খুবই খারাপ লাগতেছে। কিন্তু দুই বন্ধুর যে ভালোবাসা তার কবরের পাশে তার কবরের জায়গা রেখে দেওয়া আছ। আমি ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ। আর এজন্যই এই গ্রাম থেকে কোথাও যেতে চায় না তাদের ভালোবাসা ও দেশপ্রেম দেখে আমি মুগ্ধ।

 9 months ago 

জী ভাইয়া তাদের বন্ধুত্বের কথা শুনে আমি নিজেও মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

এটাই হয়তো বন্ধুত্ব ভাই। নিজের বন্ধুর জন্য নিজের মৃত্যুর পরোয়া করেনি মতিন মিয়া। আর বন্ধুর সেই কাজের জন্য সে সারাজীবন তার পাশে ঐ গ্রামে থেকে গেল। বন্ধুত্বগুলো হয়তো এমনই হয়ে থাকে। বেশ চমৎকার ছিল গল্পটা ভাই। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

জী ভাইয়া মতিন মিয়া আর অলি মিয়ার বন্ধুত্বের কাছে আমরা হেরে গেছি। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

পৃথিবীতে সব থেকে মধুর এবং মজবুত সম্পর্ক হচ্ছে বন্ধুত্ব। অনেক কথা থাকে যেগুলো নিজের পরিবারকে বলা যায় না কিন্তু বন্ধুকে অনায়াসে বলা যায়। সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

জী আপু প্রকৃত বন্ধুত্ব অনেক দামি। অলি মিয়া আর মতিন মিয়ার বন্ধুত্ব সত্যিই সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

আপনি সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। তবে আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খারাপ লাগলো।এইরকম যদি সবার মাঝে বন্ধুত্ব থাকতো তাহলে কতই না ভালো হতো।আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে ভাবতেছি শেষ পর্যন্ত যেনো কি যে হয়।পরে যার জন্য যে কষ্ট করলো সেই মারা গেলো।মতিনমিয়া অলি মিয়ার জন্য অনেক কষ্ট করছে।তাদের দুইজনের বন্ধুত্বকে সম্মান জানাতে হয়।যাইহোক আপনি দারুণ ভাবে পোস্ট টি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 9 months ago 

জী ভাইয়া বন্ধুকে বাচাতে বন্ধু জীবন দিয়ে দিলো। এরকম ঘটনা বিরল। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

বন্ধুত্ব এমন হোক সবার সেই আশা রাখি।অলি মিয়া আর মতিন মিয়ার এই গভীর বন্ধুত্ব সবার জন্য একটি আদর্শ। আসলে এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার, বন্ধুর জন্য বন্ধুর প্রাণ ত্যাগ বিশাল ব্যাপার।অলি মিয়ার জন্য ইঞ্জেকশন আনতে না গেলে হয়তো মতিন মিয়া আজও অলি মিয়ার পাশে থাকতো।দারুণ লাগলো ভাই,খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

 9 months ago 

জী ভাইয়া বন্ধুর জন্য বন্ধু প্রাণ দিয়ে দিলো। তাই অলি মিয়াও মতিন মিয়াকে ছেড়ে যাইতে চাই না। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

অলি মিয়া আর মতিন মিয়ার গভীর বন্ধুত্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো।তবে গল্পটা খুবই হৃদয় বিদারক ছিল। অলি মিয়া মতিন মিয়ার অপেক্ষায় ছিল আর এদিকে রাতারাতি গোলাগুলি হত্যাকান্ড হয়ে গেল।মতিন মিয়ার কবরের পাশে অলি মিয়ার জন্য জায়গা রেখেছে।আসলে এই গল্পটা হয়তো বাস্তবভাবে ঘটেছিল, কারণ সেই মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর হামলা করা হয়েছিল।ভালো লাগলো ভাই।

 9 months ago 

জী আপু তাদের বন্ধুত্ব আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

ওয়াও চমৎকার একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন ভাইয়া। বন্ধুত্ব আসলেই কোনোদিন হারায় না।যারা প্রকৃত বন্ধু পেয়ে থাকে জীবনে তারা অনেক সৌভাগ্যবান।গল্পটি ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

জী আপু প্রকৃত্ব বন্ধু সবার ভাগ্যে জুটে না। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54260.52
ETH 2284.10
USDT 1.00
SBD 2.30