“চ্যাম্পিয়ন চোর” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি গত মাসে রিলিজ হয়েছে। নিলয় আলমগীরের নাটক মানে হাসিঁ আর হাসিঁ। আর তার সাথে ধারুন ভাবে জুটি বেধেঁছে হিমি। দুই জনের নাটক হেব্বি জমে। বর্তমানের মার্কেটে তাদের নাটক খুব চলছে। আজকের নাটকটিও ধারুন, বাপ বেটা চুরি করে, ধারুন একটি নাটক । চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।
| নাম | চ্যাম্পিয়ন চোর |
|---|---|
| পরিচালনা | নাজমুল রনি |
| চিত্রনাট্য | রুহুল আমিন পথিক |
| অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর,জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি,মাসুম বাশার এবং আরও অনেক। |
| দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট |
| মুক্তির তারিখ | ২৫শে এপ্রিল ২০২৩ ইং |
| ধরন | ড্রামা |
| ভাষা | বাংলা |
| দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- নিলয় আলমগীর
- জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
নাটকের প্রথমে দেখা যায় নিলয় আলমগীর তথা মানিকের বাবা মানিককে নিয়ে সর্বপ্রথম চুরি করতে যায়। সেখানে মানিককে পাঠানো হয় নতুন বউয়ের গলা থেকে গয়নাগাটি খুলে আনার জন্য কিন্তু মানিক গয়নাগাটি সহ নাটকের নায়িকা তথা হিমিকে তুলে নিয়ে আসে। তারপর মানিক তার বাবাকে দৌড়ে এসে বলে আব্বা আমি প্রথমবার চুরি করতে গিয়ে সফল হয়েছি। আমি গয়নাগাটির সাথে নতুন বউ সহ নিয়ে এসেছি। মানিকের বাবা বলে কি মুশকিলে ফেললি, আমি কী তোকে বউ আনতে বলেছি নাকি...? আমি তো বলেছি বউয়ের গয়নাগাটি আনতে আর তুই কিনা বউ সহ নিয়ে এসেছিস। মানিকের বাবা বললো তুই গয়না গুলো রেখে বউকে বউয়ের জায়গায় রেখে আয় কিন্তু মানিক তার বাবার কথা শুনতে রাজি নয়। সে প্রথম চুরি করা জিনিষ ফেরত দিবে না। হিমিও মানিকের সাথে যেতে রাজি। সেজন্য মানিক হিমিকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায়। সেই হিসাবে নাটকটির নাম বউ চোরও দেওয়া যেতে পারতো,হা হা হা। মানিক আর মানিকের বাবাকে দেখে সত্যিকারের চুরের মতই লাগছিলো।
মানিক চুরি করে বউ নিয়ে বাড়ি আসার পরে মানিকের বাবা অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ও বউকে ফেরত পাঠাতে পারে নাই । এদিকে মানিকের মা বউকে দেখে পছন্দ হয়ে যায়। মানিকের মা ও বউকে ফেরত পাঠাতে রাজি নয়। সেজন্য মানিকের বাবা মানিককে শর্ত দেয় যে এই বউকে যদি রাখতে হয় তাহলে সে তার বাবার সাথে সমান সমান চুরি করতে হবে। মানিক সেই শর্তে রাজি হয়। কারণ চুরি ছাড়া তাদের আর কোন ইনকাম নেই। আর ইনকাম ছাড়া বউ রাখা যাবে না। সেজন্য বাপ-বেটা দুজন মিলে আবার চুরি করতে যায় কিন্তু চুরি করতে গিয়ে মানিক আরেক ঝামেলা পাকিয়ে ফেলে। যে ঘরে চুরি করতে যায় সেই ঘরের মহিলার স্বামী ব্যবসার কাজে বাহিরে গেছে। মানিক গিয়ে দেখে ওই মহিলা একা একা শুয়ে আছে। মানিক যখন গহনার জন্য ওই মহিলার গলার দিকে হাত বাড়ায় তখন ঐ মহিলা মানিকের হাত ধরে মনে করেছে তার স্বামী ফেরত এসেছে। সে জন্য মানিককে তার স্বামী ভেবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে। এখন মানিক যদি উঠে যায় তাহলে সে ধরা পড়ে যাবে। সেই জন্য সেও ওই মহিলার সাথে শুয়ে থাকে। শুয়ে শুয়ে ভাবে যেখানে যায় সেখানেই মহিলারা আমাকে জামাই মনে করে,হা হা হা। বাহিরে দীর্ঘক্ষন মানিকের বাবা দাঁড়িয়ে থেকে মানিক ফেরত না আসার জন্য ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে মানিক ঐমহিলার সাথে ঘুমিয়ে গেছে। তখন মানিকের বাবা তাকে কোন রকম জাগিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।
নাটকের সবথেকে রোমান্টিক দৃশ্য হলো এটি। মানিক রাতের বেলা চুরি করে আর দিনের বেলা ঘুমাই। এমন সময় হিমি গিয়ে মানিকের শরীরে পানি দিয়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলে আপনি রাতের বেলা চুরি করেন আর দিনের বেলা ঘুমান তাহলে আমাকে সময় দিবে কে..? আমি কিন্তু আমার বাবার কাছে চলে যাবো। আমি এই বাড়িতে আর থাকবোনা। মানিক বলে দিনের বেলা না ঘুমালে রাতের বেলা চুরি করতে পারবোনা। হিমি বলে আমি এসব জানিনা আমাকে নিয়ে এখন ঘুরতে যেতে হবে। মানিক মনে মনে বলে দিনের বেলা বউ ঘুমাতে দেয় না রাতের বেলা বাবা ঘুমাতে দেয়না। এখন আমি কোথায় যাবো। তারপর হিমি মানিককে জোর করে বাইরে নিয়ে যায়। তারা মেলাতে ঘুরাঘুরি করে। বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করে তারপর নৌকা দিয়ে ঘোরাঘুরি করে রাতের বেলা বাড়ীতে ফিরে। নাটকের সবচেয়ে রোমান্টিক মুহূর্ত হলো এগুলো। নাটকের স্থান দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। নাটকটি সম্পূর্ণই গ্রামের পরিবেশে করা হয়েছে। সম্ভবত নাটকটি মুন্সীগঞ্জের কোন এলাকায় হতে পারে।
নাটকের শেষের দিকে একটি দৃশ্যে দেখা যায় মানিক চুরি করতে যাওয়ার জন্য তার শরীরের তেল মালিশ করে। এমন সময় হিমি এসে বলে আমি তোমাকে একা যেতে দিবো না। আমিও তোমার সাথে চুরি করতে যাবো। মানিক বলে তুমি মেয়ে মানুষ, তুমি কিভাবে চুরি করতে যাবা। তারপর হিমি বলে তুমি আছো আমার শ্বশুর আছে তাহলে আমার ভয় কিসের আর তাছাড়া তোমাকে আমার আর বিশ্বাস নেই তুমি আজকেও চুরি করতে গিয়ে কোনো মেয়ের পাল্লায় পড়ে যাবা। সুতরাং আমি তোমার সাথে যাবো তারপর মানিক আর তার বাবা হিমিকে রেখেই চুরি করতে চলে যায়। তারপর মানিক ঘর থেকে চুরি করে আসার সময় ওই বাড়ির মানুষ মানিককে ধরে ফেলে। তখন মানিকের বাবা মানিককে ফেলেই বাড়ি চলে আসে। এমন সময়ই মুখ বেঁধে হাতে একটি দা নিয়ে হিমি ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। তারপর দা দিয়ে ওই পরিবারের এক মহিলার গলার মধ্যে ধরে বলে গয়নাগাটি টাকা পয়সার যা কিছু আছে সব কিছু যেন বের করে দেয়। আর মানিককে যেন ছেড়ে দেয়। তারপর তারা হিমির দা এর ভয়ে গয়নাগাটি সবকিছু খুলে দেয়। আর মানিক কেও ছেড়ে দেয়। তারপর তারা টাকা-পয়সা সবকিছু নিয়ে চলে আসে। যাকে বলে চুরের উপর বাটপারি।
লাস্টের দিকে দেখা যায় হিমির বাবা মানিকদের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে আসে। পুলিশ দেখে মানিক আর তার বাবা পালাতে চাইলে পুলিশ গুলি করার হুমকি দেয়। এমন সময় পুলিশ বলে আপনার ছেলে কিছুদিন আগে একটি মেয়েকে চুরি করে নিয়ে এসেছে। তারাতারি করে সেই মেয়েটিকে বের করে দেন। তারপর হিমি ঘর থেকে বের হয়ে এসে বলে বাবা আমাকে মানিক চুরি করে আনে নাই। আমাকে যখন বিয়ের আসর থেকে সন্ত্রাসীরা তুলে তাদের আস্তানায় আটকিয়ে রাখে তখন মানিক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে রেখেছে। আমার গায়ে একটি আচঁরও লাগতে দেয় নাই। তখন পুলিশ বলে তুমি চোর হলেও খুব ভাল একটি কাজ করেছো। তুমি সত্যিই একজন চ্যাম্পিয়ন চোর। তারপর হিমি বলে বাবা তারা দুইজন আমার কাছে ওয়াদা করেছে তারা আর চুরি করবে না। তারা ভাল হয়ে যাবে। আমি মানিককে বিয়ে করে তাদের সবাইকে ভাল হওয়ার সুযোগ দিতে চাই। তারপর হিমির বাবাও তাদের বিয়েতে রাজি হয়ে যায়।
নাটকটি খুবই সুন্দর হয়েছে। নাটকে মূল যে বিষয়টা বুঝানো হয়েছে সেটা হলো মানুষের ভাল কাজ করার ইচ্ছা থাকলে যে কোন পরিবেশে থেকেই ভাল কাজ করতে পারে। মেইন হলো ইচ্ছা শক্তি। কত মানুষ আছে তাদের ভাল কাজ করার সুযোগ আছে,অর্থ সম্পদ আছে,ক্ষমতা আছে কিন্তু ভাল কাজ করার মন মানুষিকতা নেই। আর কত মানুষ আছে নিজের যা কিছু আছে সেটা দিয়েই ভাল কাজ করার চেষ্টা করে। আরেকটি বিষয় হলো নাটকটিতে অনেক হাসিঁর দৃশ্য আছে। আপনারা ইচ্ছা করলে নাটকটি দেখতে পারেন। নিলয় আরমগীর আর হিমি সহ মাসুম বাশার ধারুন অভিনয় করেছে। আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
















Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account @josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
নিলয় আলমগীর আমার খুবই পছন্দের অভিনয়শিল্পী। উনার নাটক গুলো আমার বেশ ভালো লাগে। এই নাটকটি দেখা হয়নি। তবে রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। শেষ পর্যন্ত কিনা বউ চুরি। তবে এই নাটকটির মাধ্যমে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। আসলে অনেক সময় অনেকের ক্ষমতা, সামর্থ্য, সবকিছু আছে কিন্তু ভালো কাজ করতে চায় না।
জী আপু অনেকের সামর্থ থাকা সত্বেও ভাল কাজ করতে চায় না। ধন্যবাদ আপু।
ভাই,খুবই মজার একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। আমি এই নাটকটি এখনো দেখিনি, তবে আপনার দেয়া রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে। মানিকের বাবা মানিককে সহ চুরি করতে গেলে বউয়ের গয়না চুরি করতে গিয়ে বউকে সহ চুরি করে নিয়ে আসে। এই ঘটনাটি সত্যি ভিন্ন রকমের। অন্যদিকে আবার মানিক আরেকটি বাড়িতে চুরি করতে গেলে এক মহিলার স্বামী হিসেবে মহিলার সাথে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আর এই কাহিনী পড়তে পড়তে আমি হেসেই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। যাইহোক ভাই, চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া নাটকটি পড়ে অনেক হাসিঁ পেয়েছে। খুবই সুন্দর একটি নাটক। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্ট দেখেই বুঝতেছি নাটকটি সুন্দর হবে। নিলয়ের নাটক আমার এমনিতেই খুব ভালো লাগে। কিন্তু আপনার এই নাটকটির আমি দেখি নাই। সময় করে নাটকটি দেখব।
জী ভাইয়া নিলয়ের নাটক আমার কাছেও অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি।“চ্যাম্পিয়ন চোর” নাটকের রিভিউ পড়ে সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ভালো কিছু করার জন্য আমাদের ইচ্ছা শক্তি থাকাটাই সবচাইতে বেশি প্রয়োজন। নাটকটিতে মানিকের ভূমিকাটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। একই সাথে পুলিশের সামনে হিমির কথাগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া ভাল কিছু করার জন্য ইচ্ছা শক্তি দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিলয় এবং হিমি জুটির নাটক দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। তাদের প্রায় সব নাটকেই হাসির দৃশ্য থাকে। আপনি ঠিক বলেছেন কারো যদি ইচ্ছে থাকে ভালো কিছু করার,তাহলে যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং পরিবেশে করতে পারে। চ্যাম্পিয়ন চোর নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিলয় আর হিমির নাটক আমার বেশ ভালো লাগে।আপনার রিভিউ পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ সাজিয়েছেন।এটা দেখে যে কোনো নাটক দেখার আগ্রহ এমনিতেই অনেকটা বেড়ে যাবে সবার।আমারও আগ্রহ বেড়ে গেল নাটকটি দেখার।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।