"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৫১//নাটক রিভিউ
আজ--২৪ অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৫১)
- আজ ২৪শ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১১-ই অক্টোবর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ৫১ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৫১ পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, চঞ্চল চৌধুরী রাত্রিবেলা নাদিয়ার বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আসলে গ্রাম গঞ্জে প্রেম করার এটাই একটা মজা বলে আমি মনে করি যখন তখন যেখানে খুশি দেখা করা যায় কথা বলা যায় এ নিয়ে মাঝে মাঝে অনেক সমস্যা হয়। একটা সময় পড়ে না দিয়ে সেখানে আসে এবং তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে মূলত তাদের মূল বিষয়বস্তু ছিল তারা কবে বিয়ে করবে। আর এদিকে যেহেতু চঞ্চল চৌধুরীর দুলাভাই তাকে বিয়ে করতে বলছে আর সে বিয়ে করতেও রাজি হয়েছে এই ব্যাপারটা নিয়ে এসে নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসেছে। যারা প্রেমিক তারা সবসময় প্রিয় মানুষকে কোন কিছু গিফট করতে অনেক বেশি পছন্দ করে এদিক থেকে চঞ্চল চৌধুরীও ঠিক তেমনি। প্রেমিকার জন্য পারফিউম কিনে নিয়ে এসেছে যেটা দেখে নাদিয়া অনেক বেশি খুশি হয়েছিল আসলে গিফট পেতে সকলেই আমরা অনেক বেশি পছন্দ করি আর সেটা যদি প্রিয় মানুষের দেওয়া হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।
এদিকে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে বরাবরই একটা মোটরসাইকেল কেনার জন্য তার বাবার কাছে অনেক বেশি জোড়াজড়ি করছে কিন্তু তার বাবা কোনভাবেই তাকে মোটরসাইকেল কেনার টাকা দিচ্ছে না। আমাদের সকলেরই একটা ইচ্ছে থাকে যে ইচ্ছেটা অনেকদিন ধরেই আমরা মনের মধ্যে পুষে রাখি কিন্তু টাকার অভাবে হয়তোবা আমরা সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারি না। এদিকে বাসার সাহেবের মেজো ছেলে ঠিক তেমনি একটা ইচ্ছে পোষণ করেছে কিন্তু বাসার সাহেব এত বেশি কৃপণ যে সে তার ছেলেকে মোটরসাইকেল কেনার ব্যাপারে টাকা তো দেবেই না এবং তাকে অনেক রকম ভাবে অবহেলা করে।
আর এই ব্যাপারটা নিয়ে বাসার সাহেবের মেজ ছেলে এবং আরফান একত্রে বসে গল্প করছে। আরফানের মনে অনেক বেশি কষ্ট এদিকে বেচারা তার প্রেমিকাকে হারিয়েছে পাশাপাশি সে তার বাবার কাছে একটা নিজস্ব ঘর চেয়েছে কিন্তু তার বাবা সেই ঘর ও তাকে তৈরি করে দিচ্ছে না যার কারণে তারা ভাই ব্রাদার অনেক বেশি টেনশন এর মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
বাবা-মায়ের সম্পত্তির ভাগ আসলে কেউ কখনো ছাড়ে না হোক সেটা ভাই অথবা বোন। বাবার সম্পত্তির উপর পৃথিবীর প্রায় ৯০% মানুষের মধ্যে লোভ-লালসা কাজ করে। ঠিক তেমনি ভাবে নাটকের এ পর্বে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের মেয়ে তার বাসায় বেড়াতে এসেছে এবং সে বাসার সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রীকে দেখে বরাবরই অনেক বেশি রাগান্বিত। কিন্তু তার স্বামী তাকে এমনভাবে ব্রেন ওয়াশ করেছে যে, সে এখন তার সব ভাইদেরকে বলছে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে নিতে যাতে করে তার ছোট মায়ের সন্তানেরা কোনরকম সম্পত্তি না পায়।
আর এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার জন্য সে তার বড় ভাইয়ের কাছে এসেছে কিন্তু বাসার বড় ছেলেরা সবসময়ই অনেক বেশি ভালো হয়। এক্ষেত্রে বাসার সাহেবের বড় ছেলে আসলেই একজন ভালো মন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে এবং সে তাকে সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছে বাবা বেঁচে থাকতে তার কাছে গিয়ে এরকম কথা বলতে পারব না। এটাই হয়তোবা বাসার বড় ছেলেদের একটা বৈশিষ্ট্য। যত দুঃখ কষ্ট হোক না কেন তারা কখনোই মা-বাবাকে অনেক বড় ধরনের কোন কষ্ট দিতে চায় না।
প্রত্যেকটা প্রেমিক প্রেমিকাই চায় যে তারা একটু একাকী সময় কাটাক দুজন দুজনের সঙ্গে একটু আলাদাভাবে সময়ে কাটাক সেটা যেভাবেই হোক। আর সেই ধারণা থেকেই বাসার সাহেবের ছোট ছেলে চেয়েছিল তার প্রেমিকাকে নিয়ে এসে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যাবে কিন্তু প্রেমিকা প্রথম অবস্থায় রাজি হয়নি কিন্তু পরবর্তীতে অবশ্য রাজি হয়েছে, যার কারনে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে খুবই খুশি। যদিও বাসার সাহেবের ছোট ছেলে যে মেয়েটার সঙ্গে রিলেশনে আছে মূলত সে তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে কিন্তু সেই মেয়েটা তাকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসে কিনা এটা এখন পর্যন্ত বোঝা যায়নি, মেয়েদের ভালোবাসা হয়তো বা এমনই তারা কখন কাকে কিভাবে ভালোবাসে সেটা বোঝা মুশকিল।
নাদিয়া এবং শাহনাজ খুশির দেখা হলে নাদিয়া শাহনাজ খুশির কাছে জিজ্ঞেস করে যে চঞ্চল চৌধুরী তার কাছে কিছু বলেছে কিনা। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরীর বরাবরই একজন চালাক চতুর মানুষ সে সবসময়ই এক একজনের কাছে এক এক রকম কথা বলে নিজে ভালো থাকে। যেহেতু চঞ্চল চৌধুরী এবং নাদিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা বিয়ে করবে আর একজন সাক্ষী হিসেবে লাগবে যাকে কিনা তারা সাক্ষী হিসেবে বানাবে সে শাহনাজ খুশি কিন্তু শাহনাজ খুশি এটা কোনভাবেই করতে চাচ্ছেনা। যার কারণে তাদের বিয়েও হচ্ছে না।
আপনারা সকলেই জানেন যে সাহানাজ খুশির একটা ছোট ভাই আছে সে পুলিশে জয়েন করবে বলে চাকরিতে গিয়েছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত তার চাকরিটা কনফার্ম হয়েছে কিনা সেটা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী তাকে পছন্দ করে না এবং বরাবরই তাকে অনেক রকম কথা শুনিয়ে দেয়। সে পুলিশে দাঁড়াবে এটা জেনে চঞ্চল চৌধুরী তাকে বলে দেয় যে তার চাকরি হবে না এ ব্যাপারে তাদের দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় অনেক আগে থেকেই এ পর্বেও ঠিক তেমনটাই লক্ষ্য করা গিয়েছে। শাহনাজ খুশির ভাই আগে চঞ্চল চৌধুরীকে খুবই সম্মান করতো কিন্তু তার এরকম ব্যবহার দেখে সে এখন তাকে খুব একটা সম্মান করে না বরাবরই তার সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে।
ছোটদের যদি স্নেহ করা না যায় তাহলে তারা একটা সময় গিয়ে বড়দের অসম্মান করে নাটকের এ পর্যায়ে গিয়ে এটাই লক্ষ্য করা গিয়েছে যে চঞ্চল চৌধুরীকে আগে ওই ছেলেটা খুবই সম্মান করতো। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী তার সঙ্গে একটু খারাপ ব্যবহার করার কারণে সে এখন তাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেনা বরাবরই তার সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করে চঞ্চল চৌধুরীকে সে মূলত এখন কোন সম্মান দেখায় না।
এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৫১ পর্বের রিভিউ। আশা করছি প্রতিবারের ন্যায় এবারও এই নাটকের রিভিউ আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নাই এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৫১ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
@tipu curate 2
Upvoted 👌 (Mana: 3/5) Get profit votes with @tipU :)
এই নাটকটির প্রত্যেক পর্ব অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউ করেন প্রতিনিয়ত। যা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর এ ধরনের ধারাবাহিক নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। সে নাটকে দেখছি বেশ কিছু পরিচিত মুখ। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ সুন্দর একটি ধারাবাহিক নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
যদিও ধারাবাহিক নাটক আমার খুব একটা দেখতে মন চায় না তবে এই ধারাবাহিক নাটকটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে প্রতিনিয়ত। আরে এখানে কিছু চেনা পরিচিত মুখ থাকার কারণে নাটকটা বুঝতে অনেক বেশি সুবিধা হচ্ছে, মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
খুবই ভালোভাবে আপনি এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। এমনিতে পুরাতন নাটক আমি খুব একটা বেশি দেখি না। তবে আপনার এই নাটক এর রিভিউ খুবই ভালোভাবে আমি পড়ার চেষ্টা করি৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে আমার পুরাতন নাটক গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর এই পুরাতন নাটকগুলোর মধ্যে এই নাটকটা সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। যেহেতু আপনি নাটকটি এখনো দেখেননি অবশ্যই দেখবেন ভালো লাগবে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।