জুনায়েদ ইভান এর কনসার্ট শুনতে যাওয়ার অনুভূতি//প্রথম পর্ব
আজ--৩১ বৈশাখ| ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- জুনায়েদ ইভান এর কনসার্ট শুনতে দেওয়ার অনুভূতি।
- আজ--৩১শবৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- মঙ্গলবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে......!!
শিল্পী জুনায়েদ ইভানকে চেনে না এরকম মানুষ হয়তো বা এখন আর নেই। কারণ অ্যাসেজ ব্যান্ডের গান শুনে নি এমন কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। বিশেষ করে বর্তমান যুবসমাজ জুনায়েদ ইভানের গান অনেক বেশি পছন্দ করে। সত্যি বলতে আমি জুনায়েদ ইভানের অনেক বড় একজন ভক্ত অনেক আগে থেকেই তার গান শুনে আসছি। কেন জানি এই জুনায়েদ ইভানের গানটা শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই সাথে নিজের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কথাগুলো জুনায়েদ ইভানের গানের মাঝে খুজে পাই। অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল যে জুনায়েদ ইভান এর কোন একটা কনসার্ট এ গিয়ে তার গান শুনবো। কিন্তু এই সুযোগটা আর হচ্ছিল না। ঈদের আগেই জানতে পারলাম যে কুষ্টিয়াতে নাকি জুনায়েদ ইভান গান গাইতে আসবে কোন এক স্কুলে। এই কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগছিল যেহেতু ঈদের মধ্যে বাসায় যাব আর বাসায় গিয়ে জুনায়েদ ইভানের কনসার্টে গিয়ে গান শুনবো এটা অনেক আগেই ভেবে রেখেছিলাম। মোটামুটি ভাবে আমাদের বাসা থেকে যেখানে জোনায়েদ ইভানের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল সেটা প্রায় 40 থেকে 50 কিলোমিটার দূরে। আমরা ভাই ব্রাদার কয়েকজন আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে জুনায়েদ ইভান এর কনসার্ট কুষ্টিয়ার মধ্যে যেখানেই হোক না কেন আমরা শুনতে যাবোই যাবো।
যেমন ভাবা তেমনি কাজ জানতে পারলাম যে ঈদের দুদিন পরে কুষ্টিয়ার হরিনারায়নপুর কোন এক স্কুলে জুনায়েদ ইভানের কনসার্ট হবে। মূলত সেখানে সেখানকার স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মহাসম্মেলন হওয়া উপলক্ষেই জুনায়েদ ইভানের কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল। খোঁজখবর নেওয়া শুরু করলাম ফুফাতো ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি হরিনারায়নপুর হওয়ার কারণে ফুফাতো ভাইয়ের আত্মীয়ের কাছ থেকেই খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম যে ঈদের কয়েকদিন পরেই সেখানে কনসার্ট তার কাছ থেকে সবকিছু জেনে নিলাম। কিন্তু যেদিন কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল সেদিন কয়েকজনের কাজ পড়ে যায় হঠাৎ করেই। যার কারনে যাদের সঙ্গে সেখানে যেতে চেয়েছিলাম তাদের মধ্য থেকে দু থেকে তিনজন আর যেতে পারেনি। মনে মনে বুঝে গিয়েছিলাম যে এবারও হয়তোবা জুনায়েদ ইভানের কনসার্টে যেতে পারবো না। বাকি ছিলাম আমরা মাত্র দুজন। আমরা দুজন বসে দুপুর বেলা সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম যে কি করা যায় কনসার্ট শুনতে যাব কিনা..??
এরকম কথা বলতে বলতেই হঠাৎ করে বড় ভাই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে যে কেউ যাক বা না যাক আমি নিজেই যাব। তার এই কথা শুনে আমিও তার সঙ্গে একমত পোষণ করলাম, একমত পোষণ করে বললাম ঠিক আছে তাহলে আমরা দুজনই কনসার্ট শুনতে যাব। যেমন ভাবা তেমনি কাজ আমরা দুজন বিকেল বেলা কনসার্ট শুনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। হরিনারায়নপুর যেতে হলে প্রথমে আমাকে যেতে হবে কুষ্টিয়ার চৌরহাঁস মোরে। চৌরহাঁস মড়ে গিয়ে আরেকজনকে কল দিলাম সে মূলত কুষ্টিয়াতেই ছিল যার কারণে তাকে সাথে নিয়ে আমরা কনসার্ট শুনতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও তাকে সাথে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। কারণটা হচ্ছে যেহেতু সে কুষ্টিয়া থেকেই লেখাপড়া করছে আর অনেক রাত্রে কনসার্ট শেষ হবে বাসায় ফিরতে ফিরতে হয়তো বা গাড়ি পাবনা যার কারণে ভেবেছিলাম ওকে সাথে নিয়ে যাব যাতে করে রাতের বেলা ওর মেসে থেকে সকাল বেলা বাসায় চলে যাব।
আমরা তিনজন সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরে কুষ্টিয়ার চৌরহাঁস মোড় থেকে একটা সিএনজি ভাড়া করে নিয়ে সোজাসুজি হরিনারায়নপুর স্কুলের সামনে যেতে চাইলাম। জনপ্রতি আমাদেরকে ৭০ টাকা করে ভাড়া ধরা হয়েছিল। আমরা সেটা ঠিক করেই তিনজন মিলে যাচ্ছিলাম রাতের বেলা। সন্ধ্যা শেষ হবার পরে রাস্তাঘাটে খুব একটা বেশি গাড়ি ছিল না যার কারণে সিএনজি ড্রাইভার এত স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিল যে মাঝে মাঝে ভয় লাগছিল। যদিও তাকে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। যাই হোক আধা ঘন্টা থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমরা হরিনারায়নপুর স্কুলে চলে গিয়েছিলাম। অনেক দূর থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে মাইকের শব্দে গান হচ্ছে। যতই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম ততই নিজের কাছে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল কারণ প্রিয় শিল্পীর গান খুব কাছ থেকে শুনতে পারব এটা ভেবেই ভালো লাগছিল। প্রথমে শুনেছিলাম যে কনসার্ট শুনতে নাকি টিকিট কাটা লাগবে। যার কারনে আমরা টিকিট কাউন্টার খুজছিলাম কিন্তু কোন ভাবেই টিকিট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এরপরে আমার সাথে থাকা দুই বড় ভাই প্রাচীদের উপর দিয়ে লাফ দিয়ে কনসার্টের মাঠে প্রবেশ করে। কিন্তু আমি অত বড় প্রাচীর লাফাতে পারবো না ভেবেই ওপাশে রয়ে গেলাম।
আমি খুজছিলাম যে এই স্কুলের গেট কোথায় যদিও তারা ওপাশ থেকে আমাকে বারবার বলছিল যে প্রাচীর টপকে আসতে কিন্তু আমার খুবই ভয় লাগছিল। যেহেতু তারা ওপাশে চলে গিয়েছে যেভাবেই হোক আমাকে কনসার্টের মাঠে প্রবেশ করতে হবে যার কারণে আমি ঘুরতে খুঁজতে অবশেষে স্কুলের গেট খুঁজে পেলাম। স্কুলের গেট দিয়ে আমি প্রবেশ করে দেখি তারা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও তাদের সঙ্গে আমি অনেকটাই মজা নিয়েছিলাম কারণ তারা অনেকটা কষ্ট করে প্রাচীর টপকে এ পাশে এসেছে আর আমি সুন্দরভাবেই আর আমায় এসে হেঁটে হেঁটে গেট দিয়ে প্রবেশ করেছি। যাইহোক কিছুটা সময় বসে বসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেখানকার অনেক শিল্পীর গান শুনছিলাম তবে খুব একটা ভালো লাগছিল না কারণ যার গান শুনতে এসেছি তার গান না শোনা পর্যন্ত কোন কিছুই ভালো লাগছিল না। যখন আমরা কনসার্টের মাঠে প্রবেশ করেছিলাম তখন প্রায় রাত্রি আটটা বেজে গিয়েছিল পরবর্তীতে জানতে পারলাম যে সাড়ে নয়টায় জুনায়েদ ইভান মঞ্চে উঠবে। বসে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম সেই সাথে বাদাম ফুচকা এটা ওটা সবাই মিলে খাচ্ছিলাম ভীষণ ভালো লাগছিল।
যখন জুনায়েদ ইভান মঞ্চে উঠল তখন প্রায় রাত্রি দশটা। এরপরেই শুরু হয়ে গেল একের পর এক সুন্দর সুন্দর গান। জুনায়েদ ইভান কে খুব কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে ছিল যার কারণে ভিড়ের মধ্যে অনেকটা ঠেলাঠেলি করেই মঞ্চের সামনে চলে গিয়েছিলাম সামনে গিয়ে জুনায়েদ ইভানকে দেখেছিলাম। এতটা বেশি ভালো লাগছিল যে আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। পছন্দের শিল্পী কে খুব কাছ থেকে দেখতে পেরে নিজের কাছে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। যখন জুনায়েদ ইভান তার গানগুলো গাইছিল তখন আমরা সকলে মিলেই তার সঙ্গে গান গাচ্ছিলাম সেই সাথে আশেপাশে থাকা সকল মানুষ গান গাইছিল আনন্দ করছিল নাচানাচি করছিল এ যেন এক রঙের মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে স্কুল মাঠে। জুনায়েদ ইভানের পছন্দের যে গানগুলো শুনি প্রত্যেকটা গানই সে গেয়েছে সে প্রায় নয় থেকে বারোটা গান গেয়েছিল। প্রত্যেকটা গান অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
রাত্রি প্রায় ১ টায় কনসার্ট শেষ হলো। কনসার্ট শেষ করে ঘটে গিয়েছিল এক অন্যরকম ঘটনা এই ঘটনাটা আমি আপনাদের সঙ্গে আর এখানে শেয়ার করব না পরবর্তীতে কোন এক পোস্টে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবে। আশা করছি ওই ঘটনাটা আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। আর আজকের মত এখানেই আমার পোস্ট শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | জুনায়েদ ইভান এর কনসার্ট শুনতে যাওয়ার অনুভূতি//প্রথম পর্ব প্রথম পর্ব |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অন্যতম প্রিয় সংগীত শিল্পী জুনায়েদ ইভানের কনসার্টে যাওয়ার আমারও ভীষণ ইচ্ছা ছিলো। হঠাৎ করে বাড়িতে আত্মীয় আসাতে যেতে পারিনি। তবে তোমরা কনসার্টে গিয়ে অনেক মজা করেছ এবং সুন্দর সময় উপভোগ করেছ জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক প্রাচীর টপকিয়ে না গিয়ে হেঁটে হেঁটে গিয়েছিলে তুমি জেনে ভালো লাগলো আর বেশ মজাও নিয়েছিলে। অনেক সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সবাই মিলে যদি একসাথে জুনায়েদ ইভানের কনসার্ট শুনতে যেতে পারতাম তাহলে নিজের কাছে আরও বেশি ভালো লাগতো। আপনাকে অনেক বেশি মিস করেছি তবে এটা সত্য যে সেখানে গিয়ে আসলেই অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। কুষ্টিয়াতে আবার যদি কখনো হয় অবশ্যই যাবো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অ্যাসেজ এর শিল্পী জুনায়েদ ইভান এর কনসার্ট এখন পর্যন্ত সামনাসামনি দেখা হয়নি।তবে, আমি জুনায়েদ ইভান এর একজন বিশাল ভক্ত। জুনায়েদ ইভান হচ্ছে বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের প্রাণের একজন গায়ক। আপনি দেখছি আপনার বাসা প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে জুনায়েদ ইভান এর কনসার্টে গিয়েছিলেন। বেশ ভালোই সময় কাটছে আপনার।
আমি মনে করি বর্তমান যুবসমাজ জুনায়েদ ইমানের গান যতটা বেশি শুনে অন্য কোন শিল্পীর গান ততটা বেশি শোনে না। কেন জানি এই জুনায়েদ ইভানের গান শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর সেটা যদি কনসার্টে গিয়ে হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি অনুভূতির পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া কোথাও কনসার্ট হলে যেন মনের মধ্যে ঘুরপাক খায় কখন উপস্থিত হবো সেখানে। কারণ মনকে ভালো রাখার জন্য আমাদের চিত্ত বিনোদন অবশ্যই প্রয়োজন। আর এই কনসার্টের মাধ্যমে সেই চিত্তবিনোদনের কিছু অংশপূর্ণ হয়। তবে এ কনসার্টে যখন কেউই রাজি হচ্ছিল না তখন আপনার ভাইয়া বলছিল কেউ জাক না যাক আমি যাবো। তাই দুই ভাই মিলে । কনসার্টে চলে গেলেন এবং সেখানে গিয়ে দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করলেন সেখান থেকে আজকে আমাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট এবং অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো যদি এটি ছেলে একটি মিলন মেলা। আমাদের স্কুলেও এমন একটি বড় মিলন মেলা হয়েছিল বেশ আনন্দ করেছিলাম আপনার পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথম অবস্থায় অনেকেই যেতে চেয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে তাদের কোন একটা কারণে দু থেকে তিনজন যেতে পারেনি। প্রথমে আমরাও যেতে চাই নি কিন্তু পরবর্তীতে দুজন মিলে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে গিয়েছিলাম। এখানে গিয়ে আসলেই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গানের কনসার্টের কথা শুনলেই যেন আমার ভালো লাগে। তবে আমার খুব একটা জুনায়েদ ইবানের গান শোনা হয়নি। আসলে বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে খুব একটা গান শোনা হয় না। তবে কিছু কিছু শিল্পীর কনসার্ট কথাটা শুনলেই ভালো লাগে। যখন যেহেতু আপনার ইচ্ছে ছিল জুনায়েদ ইভানের কনসার্টে যাবেন, সেটাই দেখছি পূরণ হয়ে গেল। যদিও আপনারা বেশ খানিকটা দূর থেকেই গেলেন কনসার্টে। বেশ মানুষজন দেখা যাচ্ছে। রাত দশটা থেকে একটা পর্যন্ত দেখছি বেশ ভালই এনজয় করলেন।
কনসার্টে গিয়ে গান শুনতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে সবাই মিলে একত্রে অনেক বেশি আনন্দ উল্লাস করা যায়। জুনায়েদ ইভানের কনসার্ট শুনতে গিয়ে আসলেই দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম তবে আমাদের বাসা থেকে অনেকটাই দূরে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি এই সমস্ত কনসার্টের মধ্যে কোন প্রকার আনন্দ খুঁজে পাই না ভাই। শুধুমাত্র মনে হয় নিজের ভোগান্তি। তারপরে আপনি আপনার হয়রানীর মুহূর্ত আনন্দঘন মুহূর্ত সবই প্রকাশ করেছেন। কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড় থেকে এখানে এসেছেন, এরপর কনসার্ট দেখেছেন, বিস্তারিত সবই জানতে পেরে ভালো লাগলো।
এক একজনের মন মাইন্ড এক একরকম। আপনার সঙ্গে আমার ইচ্ছে বা আমার ইচ্ছে সঙ্গে আপনার ইচ্ছে কখনোই মিলবে না। যার কারনেই আপনি হয়তোবা আনন্দ খুঁজে পান না কিন্তু আমি মোটামুটি ভালোই আনন্দ খুঁজে পাই যার কারণেই এত দূর থেকে গিয়েছিলাম। বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইভানের গানগুলো আমিও ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি পছন্দ করি । যদি আজকে আপনার সাথে থাকতে পারতাম তাহলে কনসার্ট টা হয়তোবা উপভোগ করতে পারতাম। যাই হোক যদিও থাকতে পারেনি তবে আপনার সুন্দর মুহূর্তের আমাদেরকে সবাইকে সঙ্গী করে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা জানাই।
জুনায়েদ ইভানের গান পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে বিশেষ করে আমার তো জুনায়েদ ইহানের গান অনেক বেশি পছন্দের। খুবই চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন মন্তব্যটি পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।