বর্তমানে গ্যাস যেন সোনার হরিণ |[benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ২৯ পৌষ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এখন জনপ্রিয় কয়েকটি কমিউনিটির মধ্যে একটি। এটা ভাবতেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে,সেই সাথে আমি সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হয়ে।
- আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
- গ্যাস নিয়ে বর্তমানে শহরের অবস্থা
- আজ ২৯শ পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে.....!!
আমরা সবসময়ই চাই শহরের দিকে ছুটে চলতে। আমরা অনেকেই আছি যারা শহরে থাকতে অনেক বেশি পছন্দ করি গ্রামে তেমন একটা থাকতে মন চায় না। আবার এদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যাদের জন্ম হয়েছে শহরে শহরের চার দেয়ালের মাঝে যাদের জন্ম এবং ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত বেড়ে ওঠা তারা তো গ্রাম কি জিনিস সেটা বোঝেই না। তারা কখনোই বুঝবে না গ্রামের প্রকৃতির মাঝে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো কতোটা রোমাঞ্চকর হয়। বর্তমান সময়ে আমরা প্রায় সকল মানুষ শহরের দিকে অভিমুখ হচ্ছি যার কারণে গ্রামের বর্তমান অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে যে কয়েক মাইল পরপর এক একটা বাড়ি। কিন্তু শহরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় চারিদিকে ইট পাথরে গাথা বড় বড় বিল্ডিং আর অট্টালিকা, এসকল বড় বড় বিল্ডিং এবং অট্টলিকার মাঝে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো কখনোই গ্রামের সৌন্দর্য বুঝবে না। তবে বর্তমানে আমরা অনেকেই মনে করি যে গ্রামের তুলনায় হয়তো শহরের মানুষজন অনেক বেশি সুখী বা তারা শহরে থাকে বিধায় তাদের মত সুখী হয়তো বা কেউ নেই। আমি এই কথাটা সঙ্গে একমত পোষণ করছি। হ্যাঁ, এটা হয়তো বা অনেক আগে ছিল কিন্তু বর্তমান সময়ে শহরের মানুষ তেমন একটা ভালো নেই। শহরের মানুষ কি জন্য ভালো নেই এখন আমি আপনাদেরকে সেটা বলি।
আসলে আমি বরাবরই বিশ্বাস করি যে যে মানুষটা শহরে বসবাস করছে সেই মানুষটা যদি গ্রামে বসবাস করত তাহলে সে শহরের তুলনায় গ্রামে অনেক ভালোভাবে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করতে পারতো। বর্তমান সময়ে শহরে বসবাস করাটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে কারণ প্রতিটা জিনিস ক্রয় করে নিয়ে আসতে হয়। পানি থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিস কিনে খেতে হয় কিন্তু গ্রামের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে গ্রামের মানুষ শুধুমাত্র তরি-তরকারি মাছ-মাংসই বাজার থেকে ক্রয় করে আর সকল কিছু তারা নিজ জমিতে ফলায় যার কারণে তাদের খরচ অনেকটাই কম।
আমি ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি। যদিও গ্রামে বেশিদিন থাকা হয়নি কারণ এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেই শহরের দিকে অভিমুখী হতে হয়েছিল। তবুও প্রত্যেক মাসে দুই থেকে তিনবার বাসায় যেতাম কারণ শহর আমার তেমন একটা ভালো লাগতো না, যখন আমি শহরে থাকতাম তখন গ্রামকে অনেক বেশি মিস করতাম বিশেষ করে মা-বাবাকে ছাড়া কোথাও গিয়ে এক মাসের বেশি আমি থাকতে পারিনা। কিন্তু বর্তমান সময়ে সময় এবং পরিবেশ আমাকে বাধ্য করেছে তাদেরকে ছেড়ে থাকতে যাই হোক এটা আমার মূল বিষয় নয়। মূল ব্যাপারটা হচ্ছে, কিছুদিন আগেই ঢাকায় চলে এসেছি। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ সব কিছুই যেন একদম অন্যরকম কোন কিছুই নিজের মতো না। যদি কেউ টাকাই সেদিকেই দেখি শুধু ইট পাথর দিয়ে তৈরি বড় বড় দালান কথা আর অট্টালিকা। সকল বড় বড় দালানকোঠার মাঝে নিজেকে ক্ষুদ্র পাথর ছাড়া আর কিছুই নয়। যাইহোক ঢাকা শহরের কোন জায়গায় মেস নিয়েছি। এর আগেও ঢাকা কয়েক মাস থাকা হয়েছে যার কারণে এবার বাসায় যাওয়ার জন্য তেমন একটা তাড়াহুড়ো নেই বেশ ভালোই কাটছিল দিন। হঠাৎ করেই শুরু হলো ঝামেলা, কি ঝামেলা..!! শহরে কোথাও গ্যাস নেই। সকাল বেলা উঠে যখন শুনলাম গ্যাস নেই তখন মুখ ফোসকে বলেই ফেললাম গ্যাস কোথাও বেড়াতে গিয়েছে নাকি। ভেবেছিলাম হয়তোবা কয়েক ঘন্টার জন্য থাকবে না কিন্তু আমার ধারণাটা ভুল করে দিয়ে সারাদিন গ্যাস আর পেলাম না।
এদিকে সকালবেলা মেসের খালা এসে রান্না করার জন্য বসে আছে কিন্তু কোথাও গ্যাস নেই। আমি বারবার রুম থেকে বের হয়ে গিয়ে রান্নাঘরে উঁকি দিচ্ছিলাম রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে দেখছিলাম যে গ্যাস এসেছে কিনা। আমার উকিল দেওয়া দেখে সেই খালা বলে উঠলো মামা এত উঁকি দিচ্ছেন কেন গ্যাস তো এখনো আসে নাই। আমি তখন বলে ফেললাম খালা আমার প্রচন্ড রকম ভাবে ক্ষুদা লেগেছে যার কারণে বারবার ওকে দিয়ে দেখছি যে, গ্যাস এসেছে কিনা আর আপনি কখন রান্না শুরু করবেন। আমি আপনাদের আগেই বলে রাখি আমি বরাবরই একজন পেটুক মানুষ। যখন খুদা লাগে তখন পেট পুরে খাই,ভরপুর খাবার খাই, এজন্য বন্ধু সার্কেলের মধ্যে অনেকেই আমাকে অনেক রকম নামে ডাকে কারণ একটু বেশি খাই বলে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না কারণ ক্ষুধার যন্ত্রণা আমি মোটেও সহ্য করতে পারি না। তাই ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে আপাতত সকালের নাস্তা সেরে আসলাম। এসে দেখি খালা বসে আছি, অনেকক্ষণ বসে থাকার পরে বললাম খালা আপনি চলে যান দুপুর আসবেন রান্না করার জন্য। বরাবরের মতো খালা দুপুরে এসে হাজির কিন্তু আফসোস, আফসোস বলছি এ কারণেই এখন পর্যন্ত গ্যাস নেই। এবার তাহলে আপনারাই বলুন কেমন লাগে..??
এদিকে সেই সকাল বেলা খেয়েছি দুপুর হবার সাথে সাথেই আবার আমার ক্ষুদা লেগে গিয়েছে মনে হচ্ছে সবকিছু ভেঙে ছন্নছাড়া করে ফেলি কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সেটা করে উঠতে পারলাম না। আবার একই অবস্থা খালাত বসে আছে গ্যাস নেই আমি বারবার রান্নাঘরে উঁকি দিচ্ছি কিন্তু গ্যাস আসছে না যার কারণে রান্না হচ্ছে না। এবার খালা বলল আমি তাহলে চলে গেলাম রাত্রে আসব, কোন কিছু না বলে মাথা নাড়িয়ে সারা দিলাম।
বিকেলবেলা কয়েকবার রান্নাঘরে ঢুকেছিলাম গ্যাস এসেছে কিনা সেটা দেখার জন্য কিন্তু তখন দেখতে পারলাম এখন পর্যন্ত গ্যাস নেই। সন্ধে হবার সাথে সাথেই গ্যাস চলে এল রান্নাঘরে গিয়ে দেখি গ্যাস এসেছে কিন্তু এখন আবার খালার দেখা পাচ্ছি না। নিজেকে অনেক বেশি অসহায় মনে হচ্ছিল বারবার মনে হচ্ছিল এই আমি কোথায় আসলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ম্যাচ ছেড়ে দেব কিন্তু এই মাসের মাঝখানে এসে আমি কোথাও ম্যাচ পাবো না। অবশেষে প্রায় সাড়ে সাতটায়। এরপরে অনেকটা সময় নিয়ে খালা রান্না করলো। রান্না করা শেষে খালা বলছে এরকম গ্যাস দেওয়ার মানেই হয় না গ্যাস দিয়েছে ঠিকই কিন্তু এই গ্যাসে কোন তাপ নেই। আমি তখন বলে ফেললাম কোন মত সেদ্ধ হলেই হবে, আমার এই কথা শুনে খালা সেকি হাসি হাহাহা। এটাই হচ্ছে এখন বর্তমান সময়ে শহরের অবস্থা যেখানে গ্যাস সত্যি সত্যিই সোনার হরিণের মতো হয়ে গিয়েছে। আপনি সারাটা দিন গ্যাসের চুলা সামনে রেখে বসে থাকলেও দেখতে পারবেন গ্যাস নেই হয়তোবা এখন দুপুর টাইমে একটু গ্যাসের দেখা পাবেন কিন্তু বিকেল হবার সাথে সাথে সেটা হারিয়ে যাবে আবার আসবে সন্ধ্যায়।
সত্যি বলতে শহরের এই কয়েকটা দিনই আমি বুঝলাম শহরের মানুষ এতটাও বেশি ভালো নেই যতটা গ্রামের মানুষ ভালো আছে। হয়তোবা শহরের জীবন ব্যবস্থা অনেক ভালো সবদিক দিয়ে ভালো হলেও শহরের মানুষ কোন একটা দিক দিয়ে তেমন একটা ভালো নেই যেটা গ্রামের মানুষ অনেক বেশি ভালো আছে বলে আমার মনে হয়। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | বাস্তবতা অবলম্বনে |
---|---|
বিষয় | গ্যাস এখন সোনার হরিণ |
পোষ্টের কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গ্রামের মানুষই সুখে আছে আমি মনে করি! গ্যাসের সমস্যা কয়েকদিন ধরে খুব বেড়েছে! আমি আপুর বাসায় এসে দেখি গ্যাস নেই গ্যাস থাকলেও কোনো কিছু করার মতো না! এই হয় যদি অবস্থা তাহলে শহরের মানুষগুলো থাকে কিভাবে এখানে! আপনাদের এখানে ফাইনালি সন্ধ্যায় গ্যাস এলো। আপনার অনুভূতিটা বুঝতে পেরেছি! খুব খারাপ একটা সময় পার করেছেন।
সত্যি বলতে আমারও তাই মনে হয় শহরের মানুষগুলো অবশ্যই অনেক বেশি কষ্টে আছে তাদের এই কষ্টটা এখন শহরে থেকে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারছি। আর গ্যাসের এই সমস্যা প্রায় এখন প্রত্যেক বাড়িতেই।
সত্যিই শহর থেকে গ্রাম অনেক ভালো। গ্রামের পরিবেশ এবং খাওয়া-দাওয়া সবগুলো পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের এদিকে যারা বাসা ভাড়া আছে। যেখানে সরকারি গ্যাস লাইন ওখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা বেলা পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। কিছুদিন আগে আমি আমার একটি বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। তাদের বাসায়ও একই অবস্থা গ্যাস নেই। সম্পূর্ণভাবে তারা বেকার হয়ে রইল। তারপর দুপুর বেলা বাজার থেকে কলা এবং রুটি এনে সবাই খেলাম। তবে আমার কাছে ও গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলতে গ্রাম আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে গ্রাম ভাল লাগে যার কারণে শহর আমার কাছে একদম জেলখানার মতো মনে হয়। প্রথমে ভাবতাম শহরের মানুষগুলো হয়তোবা অনেক বেশি ভালো আছে কিন্তু এখন সেটা বুঝতে পারছি তারা কতটা ভালো আছে..!!
ভাইয়া বর্তমানে গ্যাসের সমস্যা সব জাগায়। তার জন্য সবার আগে আমরা দায়ী। কত জাগায় গ্যাস নষ্ট হচ্ছে অথচ সেদিকে কারো খেয়াল নেই। অপচয় বন্ধ না করলে আমাদের কপালে আরো অনেক কষ্ট জমা আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া ধারুন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সত্যিই এখন গ্যাসের সমস্যা সব জায়গাতেই আর এটার জন্য মূলত আমরাই দায়ী আপনি একদম সত্য কথাই বলেছেন। অপচয় যত বেশি হবে সেই জিনিসটার মূল্য তত কমে যাবে গ্যাসের ক্ষেত্রে হয়তো বা তেমনটাই ঘটেছে।
ভাইয়া আপনি গ্যাসের সমস্যা নিয়ে লিখে ফেললেন, আমারই লেখার ইচ্ছা ছিল। যাই হোক এটা এখন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামের মানুষই আসলে ভাল আছে। আমরা নিজেরাই এজন্য দায়ী। আমরা অপচয় না করলে এই সমস্যায় হয়ত পরতাম না।ধন্যবাদ বর্তমান সমস্যা নিয়ে লেখার জন্য।
যেহেতু এ বিষয় নিয়ে আপনার পোস্ট লেখার ইচ্ছে ছিল সেহেতু আপনি আপনার মত করে মন্তব্য পেশ করুন অবশ্যই ভালো কিছু আইডিয়া দিতে পারবেন বলে আমার মনে হয়। আসলেই আমাদের সকলের উচিত অপচয় বন্ধ করা।