নাটক রিভিউঃ- ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প (শিক্ষামূলক নাটক) [benificiary ১০% @shy-fox]

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আজ - ২৪ আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ| শনিবার | শরৎকাল|



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে "ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প" এই নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করবো। "ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প" এই নাটকটা আমার খুবই পছন্দের একটি নাটক। তাই আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম এই নাটকটার রিভিউ নিয়ে। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।


নাটক রিভিউঃ-ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প


Screenshot_2021-10-08-12-24-21-37_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

"ছবিটি ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া"

নাটকটির কিছু তথ্য


নাটকঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
অভিনয়েআফরান নিশো,মেহ্জাবিন চৌধুরী, সমাপ্তি মাশুক, খলিলুর রহমান কাদেরী,শামীম ভিস্তি,বাশার বাপ্পি, নিকুল কুমার মন্ডল,অরণ্য বিজয়,সানজিদা ইরা।
চিত্রগ্রহনকামরুল ইসলাম শুভ।
সম্পাদনারাকিব রানা।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনায়মিজানুর রহমান আরিয়ান।
সঙ্গীতসাজিদ সরকার
দেশবাংলাদেশ 🇧🇩।
ধরনপারিবারিক নাট্য, শিক্ষা মূলক।
বিতরণরিং বাংলাদেশ।
ভাষাবাংলা।
মুক্তির তারিখ১৭ই মার্চ ২০১৮ ।
দৈর্ঘ্য৪৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড।
রিভিউ@jibon47

নাটকটির সংক্ষিপ্ত কাহিনী:-


Screenshot_2021-10-08-12-40-37-99_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

গ্রামের অতি ভদ্র এবং সহজ সরল ছেলে নিশো। সে বাজারে ছোট্ট একটি দোকানে মোবাইল সার্ভিং করে,যে টাকা উপার্জন করে সেটা দিয়ে সংসার চালায়। এমনকি সে একটা মেয়েকে ভালোবাসে মেয়েটি হলো মেহজাবিন চৌধুরী। কিন্তু সে কখনো সেই সেই সামনে যেয়ে কথা বলে নাই। শুধু দূর থেকে দেখে। হঠাৎ মেহজাবিন আর তার বান্ধবী তার দোকানে আসে সন্ধ্যা বেলা। নিশো।মেহজাবিনকে দেখে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

Screenshot_2021-10-08-12-49-09-79_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

IMG_20211008_125214.jpg

তারপরে মেহজাবিন চৌধুরী কাছ থেকে ফোন নিয়ে সে সার্ভিস করার সময় ফোন নাম্বার নিতে যায়। তখন তার ফোনে একটা মেসেজ আসে,যেটা ছিলো মেহজাবিন চৌধুরীর বয়ফ্রেন্ডের। সেটা দেখে সে খুবই কষ্ট পায়।

  • আসলে,কষ্ট পাওয়া টা স্বাভাবিক তাই নয় কি...!একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসে কিন্তু ওই মেয়ে টা যখন অন্য একটা ছেলেকে ভালোবাসে এটা জানার পরে কষ্ট পাওয়া-টা স্বাভাবিক।

নিশো এটা দেখার পরে বাড়িতে যেয়ে খুবই কষ্ট পায়। ওই দিকে মেহজাবিন ৪০০ টাকা দিয়ে ফোন সার্ভিসিং করায়ে নিয়ে যেয়ে ফোন আবার নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পরের দিন সকালে মেহজাবিন চৌধুরী নিশোর দোকানে যায় এবং তাকে রাগ করে।

Screenshot_2021-10-08-13-05-00-58_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

নিশো আবার তাকে দেখে অবাক হয়,এবং এইবার সুন্দর ভাবে ফোন সার্ভিসিং করে দেয়, আর বলে যদি আবার সমস্যা হয় তাহলে নিয়ে আসবেন ঠিক করে দিবো।এবার মেহজাবিন চৌধুরী তার দোকান থেকে চলে আসে। প্রতি মধ্য মেহজাবিন চৌধুরী বয়ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা হয়,ওই ছেলে হঠাৎ করে এসে মেহজাবিন চৌধুরীকে বলে আমি বিদেশ যাবো।

Screenshot_2021-10-08-14-05-02-66_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

কিন্তু আমার আব্বার তো টাকা নাই,পাশের গ্রামের মেম্বার চাচা মেয়ের বিয়ে করলে,সে আমাকে বিদেশ পাঠাবে। আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। মেহজাবিন চৌধুরী ভাবে সে হয়তো তার সাথে মজা করতেছে।কিন্তু যখন সত্যিই ভাবেই বলে যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। তখন মেহজাবিন চৌধুরী কান্না করে এবং তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। আর এই ঝগরা করাটা নিশো দূর থেকে গাছের আড়াল থেকে দেখে ফেলে।

Screenshot_2021-10-08-14-08-59-25_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

নিশো সন্ধ্যায় তার বন্ধুকে সব কথা বলে।ওইদিন মেহজাবিন তার ফোন টা ভেঙ্গে ফেলেছিল। নিশো সেই ফোনটা দোকানে নিয়ে গিয়ে ঠিক করে, আবর মেহজাবিনকে দিয়ে দেয়।

Screenshot_2021-10-08-14-21-05-48_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এবং জানতে চায় তাদের দুজনের মধ্যে কেন ঝগড়া হইছে। কিন্তু মেহজাবিন চৌধুরী কিছু না বলে তার উপর রাগ করে। তারপরে সে তার দোকানে চলে যায়। পরের দিন সে আবার একটি গাছের আড়াল থেকে দেখে মেহজাবিন ফোনে কথা বলতেছে আর কান্না করতেছে। তারপরে নিশো একটি চায়ের দোকানে যায় এবং লোকের মুখে শোনে যে লতিফ ছেলেটার সাথে মেম্বার এর মেয়ে বিয়ে।

Screenshot_2021-10-08-14-29-29-87_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

সেদিন সন্ধ্যায় নিশো মেহজাবিন চৌধুরী খেঁজে তার বান্ধবীর বাড়িতে যায়। এবং জানতে চায় কামালের সাথে মেহজাবিন চৌধুরী বিয়ে হবে নাকি..? কিন্তু তার বান্ধবী বলে কামাল তারে ফিরায়ে দিছে,বিয়ে করবে না। কামাল মেম্বার বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করবে, বিদেশ যাওয়ার জন্যে। তারপরের দিন সন্ধ্যায় নিশো মেহজাবিন চৌধুরী বয়ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা করে এবং বলে আপনি রিতাকে বিয়ে করেন। আপনার বিদেশ যাওয়ার জন্যে যত টাকা লাগে আমি দিবো। তখন মেহজাবিন চৌধুরী বয়ফ্রেন্ড রাজি হয়ে যায়।

Screenshot_2021-10-08-14-35-45-75_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2021-10-08-14-35-56-03_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

পরের দিন সকালে নিশো তার বন্ধুকে সব কথা বলে এবং এটাও বলে যে আমার টাকা লাগবে। তখন ওর বন্ধু বলে ঋণ নেওয়া ছাড়া তো আর কোন উপায় নাই। যে কথা সেই কাজ তারা দুজন ব্যাংক এ যায় এবং ঋণ গ্রহন করে। এবং ঋণের টাকা দিয়ে ওই ছেলেকে বিদেশ পাঠায়। কিন্তু ব্যবসা ভালো না থাকায় সে ঠিক মতো কিস্তি দিতে পারে না ফলে ব্যাংক এর লোকেরা তাকে নানা ভাবে চাপ দেয়।

Screenshot_2021-10-08-14-48-58-59_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

ব্যাংক ম্যানেজার তাকে সাত দিন সময় দেয় টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যে। আর তার জন্যে সে সভা ডাকে। এ দিকে নিশো কোন জায়গায় কোন টাকা না পেয়ে অবশেষে তার দোকান বন্দক রেখে ঢাকায় পারি জমায়।

Screenshot_2021-10-08-14-49-57-50_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

ঢাকায় যেয়ে সে একটা মোবাইল সার্ভিং দোকানে কাজ নেয় কিন্তু সে গ্রামের সহজ সরল পোলা তাই সেখানে বেশি দিন থাকতে পারে নাই। দোকানির মালিক তাকে কাজ থেকে বের করে দেয়। সে খুবই দুঃখ পায়। তারপরে সে পত্রিকায় একটা চাকরির আবেদন করে এবং আরো ভালো করে কম্পিউটারের কাজ শিখে নতুন ভাবে সুন্দর ভাবে কথা বলতে শিখে যায়। তখন সে ঢাকার পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এখন সে অনেক চালাক এবং চতুর।

Screenshot_2021-10-08-14-56-45-80_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

পরবর্তীতে একটি দোকানে কাজ নেয়, এবং অনেক সুন্দর ভাবে কাজ করে। তার কাজে দোকানি অনেক খুশি থাকে। সেখান থেকে সে ভালোই ইনকাম করছিল এবং টাকা জমাচ্ছিল। টাকা জমিয়ে সে আবার ফিরে যায় তার সেই পুরনো বন্দুক রাখা দোকানে।

Screenshot_2021-10-08-15-04-33-47_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2021-10-08-15-04-55-01_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

টাকা জমিয়ে সে তার সেই পুরনো দোকান টা আবার ফিরিয়ো নেয়। সে ভেবেছিল মেহজাবিন চৌধুরীর বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু না এতোদিন মেহজাবিন চৌধুরী সব জেনে যায়। নিশোর বন্ধু তাকে সব কথা বলে দেয়। যার কারনে মেহজাবিন চৌধুরী তাকে বিয়ে করে না এবং সে নিশোর জন্য অপেক্ষা করে

IMG_20211008_151702.jpg

হঠাৎ নিশোর দোকান থেকে মেহজাবিন চৌধুরীর দেখে হয়, তাদের মধ্যে অনেক কথা হয়। এবং মেহজাবিন চৌধুরী জানতে চায় আগের মতো ভালোবাসেন তো..? নিশো কিছুক্ষণ চুপ থেকে কান্না করতে করতে বলে হ ভালোবাসি।


নাটকটি থেকে শিক্ষা:-


মানুষ ভালোবাসার মানুষের জন্যে অনেক কিছু করতে পারে। যারা সত্যি কারের ভালোবাসে তারা সব ত্যাগ শিকার করতে পারে,শুধুমাত্র তার প্রিয় মানুষটাকে খুশি রাখার জন্যে। তাদের সব সময় একটাই ইচ্ছা থাকে সেটা হলো আমার প্রিয় মানুষ খুশি থাকলেই হলো। আমি নিজে শত দুঃখের মধ্যে থাকি না কেন কোন ব্যাপার না।

ব্যক্তিগত মতামত


অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই মোঃমিজানুর রহমান আরিয়ান স্যারকে,এতো সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে পরিবেশন করার জন্যে। নাটকটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম ভালোবাসা সব কিছুর উর্ধে। হয়তো এই ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা এতো সুন্দর। কেউ যদি নাটক টা না দেখেন তাহলে অবশ্যই নাটক টা দেখবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং:-১০/৯


Source


ছবি গুলো এখান থেকে স্কিনশট নেওয়া।


আমার পোস্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোস্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে এই প্লাটফর্মটি থেকে অনুপ্রাণিত করবেন।

আমার পরিচয়


1630010060468-01.jpeg

আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



logo.gif


Sort:  
 3 years ago 
  • যারা সত্যি কারের ভালোবাসে তারা সব ত্যাগ শিকার করতে।

আপনার পোস্টের শিক্ষার মধ্যে এই লাইনটা আমার খুব ভালো লাগেছে। এটা একদম ই সত্যি কথা। আমরা আমাদের বাবা মা এর কথাই ধরি!
তারা আমাদের জন্য কতও ত্যাগ স্বীকার করে। কতো ভালোবাসে!

 3 years ago 

জ্বী আপু,আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

 3 years ago 

খুব সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া।সত্যিকারের ভালোবাসার জন্য সব কিছুই বিলিয়ে দেওয়া যায়।বাংলাদেশের নাটকগুলো খুবই শিক্ষনীয় হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

জ্বী আপু,আপনাকেও ধন্যবাদ

 3 years ago 

নাটকটি আমি অনেকদিন আগে দেখেছিলাম অনেক ভালো আর কষ্টের বটে।নিজের সব টুকু দিয়ে প্রিয় মানুষ কে ভালো রাখার চেষ্টা সত্যি অসাধান।অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন ভাই।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই 💓

You have been upvoted by @sm-shagor A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.


Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject

There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,

For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.

 3 years ago 

ভাইরে ভাই নতুন যে এতো নাটক বের হয়েছে আপনাদের রিভিউ না দেখলে জানতেই পারতাম না। নাটকের কাহিনি টা তো পড়ে ভালো লাগল। এবং আপনার রিভিউ টাও দারুণ হয়েছে। নিশো মেহেজাবীন বতর্মান সময়ের হিট জুটি।

 3 years ago 

জ্বী ভাই ঠিক বলছেন,ওরা সেরা জুটি🙂

আপনার নাটক রিভিউ পোস্ট অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর একটি তুলে ধরেছেন। নাটকটি আমি দেখেছি যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন সংক্ষিপ্তাকারে। আপনার কাছে প্রত‍্যশা রইল ভবিষ্যতে আরো নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করবেন আমাদের মাঝে। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভাইয়া।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই

 3 years ago 

অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন ভাই নাটকটি নিয়ে। আসলে এ ধরনের নাটক আমাদের সবার দেখা উচিত।ভালোবাসার জন্য কত কঠিন পরিস্থিতির সমমুখীন হতে হয়েছিল নিশোকে।মিজানুর রহমান আরিয়ান অনেক গুণী একজন নাটকের পরিচালক। ওনার নাটকগুলো আমার বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য💜💜

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 60627.10
ETH 2662.13
USDT 1.00
SBD 2.44