এ বছরের প্রথম কাঁচা আম খাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
আজকে আপনাদের সাথে এ বছরের প্রথমবারের মতো কাঁচা আম খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করছি। ঈদের সময় যখন নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন গাছ থেকে এরকম আম পেড়ে খেয়েছি। এমনিতে তো কিনে খাওয়া হয়। তবে বাড়িতে গিয়ে এভাবে খেতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। আমার নানুদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা আম গাছ রয়েছে। তবে যেটা বাড়ি থেকে কাছে ছিল সেখানেই আমাদের বেশি যাওয়া হতো। গাছে এরকম কাঁচা আম দেখে আসলে লোভ সামলানো মুশকিল। গাছ টায় বেশ ভালোই আম ধরেছিল। যতদিন ছিলাম ততদিন বিকেল হলেই আমরা কাজিন রা মিলে লবন মরিচ আর ছুরি নিয়ে চলে যেতাম এই আম গাছটার নিচে।
এরপর আমরা গাছ থেকে আম পেড়ে সাথে সাথেই খেতাম। সবাই মিলে এভাবে একসাথে খাওয়ার একটা অন্যরকম মজা আছে। আমার ছোটবেলায় অনেকটা সময় কেটেছে আমার নানুর বাড়িতে। সেখানে যখন গরমের ছুটিতে যেতাম তখন আম কাঁঠালে ভরপুর থাকতো। এখন অবশ্য গাছ অনেকটা কমে গিয়েছে। ছোটবেলায় দেখতাম বড় বড় আম গাছ থেকে আম পাড়া হতো। আর সেগুলো পুকুরে পড়তো। এরজন্য আগে থেকেই পানির মধ্যে একটা বড় প্লাস্টিক বিছিয়ে রাখা হতো। তারপর সেই প্লাস্টিকের ওপর আমগুলো পড়তো। এই দৃশ্য গুলো আমি পুকুরের পাড়ে বসে বসে দেখতাম।
আমার নানার বাড়িতে কাঁঠাল গাছ অনেক ছিল। ছোটবেলায় যখন গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যেতাম এমন কোন দিন বাদ থাকতো না যেদিন ২/৩ টা কাঁঠাল খাওয়া হতো না। তখন অনেকটা বিরক্ত হয়ে যেতাম। তবে এখন আর সেভাবে খাওয়া হয় না। মামারা নতুন করে ঘর করার জন্য অনেক আগেই গাছ গুলো কাটা হয়েছে। ছোটবেলার এই মুহূর্তগুলো মনে পড়লেও ভালো লাগে।
এবার বাড়ি গিয়ে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা আম খাওয়া হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকবার কাঁচা আমের শরবত তৈরি করেও খেয়েছি। কাঁচা আমের শরবত আমার বেশ পছন্দ। বাসায় আসার আগের দিন অনেকগুলো আম পেড়েছিলাম নিয়ে আসার জন্য। এদিকে এখনো কাঁচা আমের দাম অনেক। আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে একদিন দেখেছিলাম একটা কাঁচা আম মাখা ৪০ টাকায় বিক্রি করছিলো। তখন ভাবছিলাম বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ভালোই করেছি।
আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/IsratMim16/status/1915800268383637622?t=Tjeci0f_34pMBI8UjD3zcw&s=19
https://x.com/IsratMim16/status/1915801172570767804?t=Ko-8It-8nLUuLSr-Xl3mmQ&s=19
https://x.com/IsratMim16/status/1915801733017571738?t=UaPEZwmo9II3QzeWN5WYCg&s=19
https://x.com/IsratMim16/status/1915802396527112650?t=iuEk2uq3kt-s7_J2wUKRFA&s=19
নানু বাড়ি গিয়ে কাজিনরা মিলে কয়েক দিন বেশ মজা করে কাঁচা আমের মাথা খেয়েছেন দেখছি। কাঁচা আমের মাখা খেতে দারুন লাগে। ঠিক বলেছেন আপু, এ সময় শহরের দিকে আমের দাম অনেক বেশি। আপনাদের ক্যাম্পাসের সামনে একটা মাখা ৪০ টাকা করে। আমাদের এদিকে ও এমন দামে বিক্রি হয়। ভালোই করেছে নানু বাড়ি থেকে আম নিয়ে এসেছেন। সবাই মিলে বিকেল বেলায় কাঁচা মাখা করে খাওয়ার মজাই আলাদা। ভালো লাগলো আপনার চমৎকার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কাঁচা আম খাওয়ার ব্যাপার টাই আলাদা। আগে এইসময়ে দুপুরের রোদে কাঁচা আম খেতাম বন্ধুরা মিলে। কিন্তু এখন যেখানে থাকি সেখানে আম গাছ দেখতে পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। বেশ দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।