মায়াপুর দর্শন
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি আপনাদের সাথে আমার হঠাৎ করে মায়াপুর যাওয়ার কথা শেয়ার করছিলাম। কিছুটা লেখার পর আমি বলেছিলাম আজকে বাকি কথা বলব। তাই হাজির হয়ে গেলাম।
মায়াপুর ইস্কন টেম্পেলের মেন মন্দিরে সন্ধ্যা আরতির সময় শিষ্যরা ভক্তি ভরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এবং হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে পুজো দিয়ে থাকে। ওই সময় লাইভ কীর্তন গাওয়া হয় সকলের সাথে এবং সকলে সেই গানে তাল মিলিয়ে সুর দেয়। এই সময় ওখানকার পরিবেশ এত মনমুগ্ধকর হয় যে যারা ওখানে গিয়েছেন তারাই বলতে পারবেন। সাথে নাম সংকীর্তন গাইতে গাইতে পরিক্রমণ হতে থাকে।
আমরাও সন্ধ্যেবেলার সন্ধ্যা আরতিতে অংশগ্রহণ করতে পারলাম। আরতী শুরু হতে হতে মোটামুটি সাড়ে ছটার আগে শুরু হয়ে যায়। আরতির শুরুতেই তুলসী দেবীকে পূজা করা হয় । তুলসী দেবীর নাম সংকীর্তন এর মাধ্যমে দেবীকে আরাধনা করা হয়।
যাইহোক আমরা পৌঁছানোর পর আমাদের গাড়ি পার্কিং এর জায়গায় ঠিকঠাক ভাবে রেখে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম মেন মন্দিরে। সমস্ত কিছু আমরা গাড়িতে থুয়ে গিয়েছিলাম কারণ ভেতরে কোন ফোন বা গ্যাজেট জাতীয় জিনিস নিয়ে ঢুকতে দেবে না। সাথেই পায়ের জুতো খুলে যেতে হয়েছিল।তারপর আরতিতে অংশগ্রহণ করে আমরাও কিছুক্ষণের জন্য অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
তারপরে আরতি শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে আমরা নিজেরা আবার আরতী করলাম। আর তারপর বেরিয়ে আসলাম। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম রাধা কৃষ্ণ এবং তার অষ্টসখীকে এত সুন্দর করে সাজিয়েছিল। একটা টিয়া রঙের পোশাক সকলের পরনে ছিল। কি অপূর্ব সুন্দর দেখাচ্ছিল। কিন্তু আফসোস যে ছবি তোলা অ্যালাও নেই তাই তুলতে পারিনি।
সেদিন এত পরিমানে গরম ছিল , ভেতরে অত মানুষের সমাগমে চারিদিকের পরিবেশ আরো গুমোট গরম হয়ে গিয়েছিল। আমরা বেরিয়ে সেই চারিদিকের ছবি তুলতে লাগলাম। সাথে আশেপাশের দোকানগুলি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম এবং সবশেষে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
রওনা হাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমার দিদি হঠাৎ করে বলে উঠলো, কোথাও একটা রানাদার ভাইরাল বিরিয়ানি বলে একটি জায়গা আছে। যেখানে রানা নামক ব্যক্তি ভেজ বিরিয়ানি বিক্রি করেন এবং সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। সেই জায়গা খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে আমরা মন্দির এর গেট থেকে যখন কিছুটা দূর এগিয়ে আসলাম ,সেই জায়গার সন্ধানও পেয়ে গেলাম।। একদম রাস্তার উপরে ডানদিকে দোকান। দোকানটা দেখেও মনে হবে না এই দোকান ভাইরাল হতে পারে।
কিন্তু দোকানের সামনে গিয়ে দেখতে পারলাম , পুরো ডাক্তার দেখানোর মত লাইন দিয়ে মানুষ নাম লেখাচ্ছে। আমরাও প্রায় ১৫-২০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর ভাইরাল বিরিয়ানি হাতে পেলাম। ১০০ টাকার ভেজ ভাইরাল বিরিয়ানি ভর্তি ছিল সয়াবিন এবং পনিরে।
সন্ধ্যা বেলাটুকু সবার সাথে খুব ভালোভাবে কাটাতে পেরে সেদিনকে খুব ভালো লাগছিল। পরবর্তীতে আমরা বাড়ি ফিরে আসিনি ।এরপরেও আমরা অনেক ঘুরে বেড়িয়েছি। সেই নিয়ে পরের দিন আপনাদের পোস্ট শেয়ার করব। আজ এখানেই শেষ করলাম।
আমার বাড়ির কাছেই যেহেতু মায়াপুর তাই আপনাদেরও মায়াপুর দর্শনের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সকলে আসবেন অবশ্যই ভালো লাগবে। কিন্তু মায়াপুর মন্দিরের কিছু ব্যবস্থা আমার একদম পছন্দ নয়। তারমধ্যে থেকে বড় ব্যাপার হলো দিন দিন মন্দির গুলিতেও যেভাবে ব্যবসা শুরু হয়েছে। তা খুবই দুঃখজনক। যাইহোক এই নিয়ে আর বেশি কথা বাড়াতে চাই না। তবে অবশ্যই রাধা কৃষ্ণের দর্শন হলো, এটাই অনেক বড় পাওয়া।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
সন্ধ্যাবেলায় মায়াপুর যেতে বেশ ভালোই লাগে। আমিও বেশ কিছুদিন আগে তোমাদের সাথে সন্ধ্যা বেলায় মায়াপুর দর্শন করতে গিয়েছিলাম।তুমি কবে গিয়েছিলে মায়াপুর বেড়াতে। মায়াপুরের পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।