অনেকদিন পর সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর অনূভুতি ❤️
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গতকাল আমার জন্মদিন ছিল তেমন কোনো আয়োজন করতে পারেনি বাসায় রান্নাবান্না করা হয়েছিল। ইচ্ছে ছিল বিকেলে বাহিরে বের হওয়ার কিন্তু দিনটা বৃহস্পতিবার হওয়ায় আর বের হওয়া হয়নি। কারণ ওই দিন আমাদের হ্যাংআউট থাকে। আর আপনাদের তো সবারই জানা আপনাদের ভাইয়াই হ্যাংআউট পরিচালনা করেন। যাইহোক ইচ্ছা থাকলেও আর বের হওয়া হয়নি। আজ শুক্রবার বিকেল হতেই বেরিয়ে পড়েছিলাম একটু ঘুরতে। আমাদের আশেপাশে ঘোরার তেমন কোন জায়গা নেই। আমাদের গ্রামের আশেপাশের বাজারে রাস্তাগুলো খুব সুন্দর তাই আমরা একটা ভ্যান নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে বের হই।
সাথে আমার ছোট বোন বাবু আপনাদের ভাইয়া এবং আমি ছিলাম। আমরা ভ্যান নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। আর এই সময় বাতাসটা যে কি ভালো লাগছিল এটা হয়তো বলে বোঝানোর মতো না।সত্যি কথা বলতে বাড়িতে তো এখন টেকাই যাচ্ছে না, এত পরিমানে গরম পড়েছে। যাই হোক আমাদের এখানে ছোট একটা রেস্টুরেন্ট আছে।ঘোরাঘুরি শেষে ভাবলাম সেখানে সন্ধ্যায় বসে কিছু খাওয়া যাবে। যাইহোক অবশেষে আমরা রেস্টুরেন্টে যাই। রেস্টুরেন্টটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল একদম খোলামেলা পরিবেশ। জমির পাশে হওয়ায় পরিবেশটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
যাইহোক আমার নিজেদের মধ্যে অনেকক্ষণ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম ভিডিওগ্রাফি করলাম। বাবু এমন সুন্দর পরিবেশ দেখে বেশ খুশি ও অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি খেলাধুলা করছিল। ওর এই আনন্দ গুলো দেখার জন্যই মাঝে মাঝেই ঘুরতে যাওয়া হয়। শুধু ঘোরাঘুরি করলেই তো আর হবেনা খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। তারপর আমরা মেনু কার্ডটা হাতে নিয়ে চিকেনের একটা আইটেম অর্ডার নিলাম।আর যেহেতু খুবই গরম পড়েছিল একটা করে লেমন জুস নিয়েছিলাম।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের খাবারটা তারা সার্ভ করতে পারেনি। কারণ আমরা যখন অর্ডার দিয়েছিলাম তার কিছুক্ষণ আগে নাকি এখানকার শেপ এর হাত কেটে গিয়েছিল। তাই উনি রান্না করতে পারছিলেন না। কি আর করার অবশেষে আমরা শুধু লেমন জুস খেয়ে চলে এসেছিলাম সেখান থেকে। উনার জন্য খুবই খারাপ লাগছিল। আসলে কারো বিপদের কথা শুনলে কেমন জানি মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আনন্দের সহিত ঘোরাঘুরির পর খবরটা শুনে বেশ খারাপই লেগেছিল।
অবশেষে আমরা বাবুর জন্য বেশ কিছু ফলমূল এবং বাসার সবার জন্য কিছু খাবার কিনে বাসায় চলে আসি। সব মিলিয়ে দিনটি বেশ ভাল ছিল এবং সুন্দর সময় কাটিয়েছি সবাই মিলে। আর সেই মুহূর্তে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এত বড় একটি রেস্টুরেন্টে একজন শেপ থাকলে তো বিপদে। হঠাৎ এরকম এক্সিডেন্ট হলে তখন কাস্টমারদের ফেরত যেতে হয়। মানুষের বিপদের কথা তো আর বলা যায় না। লোকটি হাত কেটে গিয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। যাইহোক তারপরতো আপনারা জুস খেতে পেরেছেন। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্টটা বেশ ভালই বড়। তবে বিপদে পড়লে তো আর কিছু করার নেই। লোকটার জন্য বেশ খারাপ লেগেছিল। অবশেষে জুস খেয়ে আমাদেরকে বাসায় ফিরতে হয়েছিল। কারণ আশেপাশে আর কোনো রেস্টুরেন্ট ছিল না।
একটু আগেই আমাদের শ্রদ্ধেয় এডমিন শুভ ভাইয়ের পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম গতকালকে আপনারা ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তবে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে বের হলে ভীষণ ভালো লাগে। আর ভ্যান নিয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে ঘোরার মজাই আলাদা। মাঝেমধ্যে এরকম ঘোরাফেরা করলে মন ভালো থাকে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভ্যানে করে গ্রামের মধ্যে যে রাস্তাগুলো থাকে সেই রাস্তাগুলোই ঘুরতে খুব ভালো লাগে। সব মিলিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো আপু যে, শেপের হাত কেটে যাওয়ার জন্য আপনাদের রেস্টুরেন্টে খাওয়া হলো না ঠিকমত। আর আমাদের এখানেও বিগত দুই দিন ধরে খুব গরম পড়ছে আপু। এই জন্য বাড়িতে মন টিকছে না। যাই হোক, তারপরও আপনারা সবাই সুন্দর করে সময় নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। আর আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। যদিও একটু দেরি হয়ে গেল বলতে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। সত্যিই যে গরম পড়েছে তাতে করে ঘরে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
আপু, এই গরমে শুধু পাগল হওয়া বাকি আছে আর সবকিছুই ঘটে যাচ্ছে জীবনে। এই গরম আর সহ্য করার মতো অবস্থায় আমরা নেই।
গরমের মধ্যে বাড়িতে টেকাটাই মুশকিল হয়ে গেছে।অসহ্য গরমের মধ্যে সন্ধ্যার দিকে যদি একটু কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় তাহলে বেশ ভালই লাগে।বাড়ির পাশে রেস্টুরেন্ট থাকলে বেশ ভালো হয় তাহলে মাঝেমধ্যে গিয়ে সময় কাটানো যায়।শেপের হাত কাটা গিয়েছে শুনে বেশ খারাপ লাগলো তা না হলে হয়তো বা খাবারের টেস্টটা আপনারা নিতে পারতেন।যাই হোক সব সময় নিজের মতো সবকিছু হয় না।সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।