রেসিপিঃ করলা,আলু দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল🥘
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব করলা এবং আলু দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল রেসিপি। করলা আমার ভীষণ পছন্দের একটা সবজি। অনেকেই করলা তেঁতোর জন্য খেতে পারে না কিন্তু আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে।বেশিরভাগ সময় করলা ভাজি কিংবা চচ্চড়ি রান্না করে খাওয়া হয়। আমার মা করলা দিয়ে আলু দিয়ে মজার একটা ঝোল রান্না করেন। অনেকদিন পর সেই ঝোল খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলাম মায়ের কাছে। কিন্তু মা দুপুরবেলা হঠাৎই অসুস্থতা ভোগ করছিলেন তাই আমাকে বলে দিয়েছিলেন কিভাবে রেসিপিটি রান্না করতে হবে। আমি সেই অনুযায়ী রেসিপি টা রান্না করেছি। আমি অনেকবার বলেছি যে আমি পাঙ্গাশ মাছ খেতে পছন্দ করি না বা খাই না। কিন্তু আমার মায়ের এবং আমার বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ভীষণ পছন্দের পাঙ্গাশ মাছ। আমি শুধু সবজি খেয়েছিলাম মাছ খাইনি। যাইহোক রেসিপিটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে।
চলুন বন্ধুরা রেসিপিটি আমি কিভাবে রান্না করেছি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
উপকরণ |
---|
করলা |
আলু |
পাঙ্গাশ মাছ |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
আদা-রসুন বাটা |
হলুদ গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে সবজিগুলো সাইজ করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর মাছে লবণ এবং হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে চুলায় কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে তেল দিয়ে মাছগুলো দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার চুলায় আরেকটি কড়াই বসিয়ে কড়াই এ পরিমাণ মতো তেল দিয়ে করলা গুলো বাদামি করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
একই তেলে আলুর টুকরো গুলো ভেজে নিয়েছি বাদামি করে।
ধাপ-৫
আলু ভেজে তুলে নিয়ে একই তেলে কাঁচামরিচ এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার বাটা মসলা এবং গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে অল্প পানি দিয়ে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
মসলা কষানো হয়ে গেলে ভেজে রাখা করলা এবং আলু দিয়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
কষিয়ে রান্না করার পর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নামিয়ে নিলেই তৈরি মজাদার করলা আলু দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝোলের রেসিপি।
🥘ফাইনাল লুক🥘
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। কে কে আমার মতো করলা আলু দিয়ে এভাবে ঝোল রান্না করে খেতে পছন্দ করেন জানাবেন। আমার তো ভীষণ পছন্দের একটা রেসিপি। খুবই মজা করে খেয়েছিলাম।কারণ এটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। যাই হোক বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
করলা আমারও খুব ভালো লাগে খেতে।আমিও করোলার চচ্চড়িও ভাজা খাই তবে করোলা দিয়ে এতো সুস্বাদু করে মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায় তা জানতাম না।করোলার রেসিপিটি বেশ ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চিই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
করলা,আলু দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল রান্নার লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। পাঙ্গাস মাছের রেসিপি আমার কাছে কতটা ভালো লাগে তা আমি আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। এত লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাঙ্গাশ মাছের রেসিপি আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
করলা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে আপু পাঙ্গাশ মাছ অনেকেই খেতে পারে না। আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
করলা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে আপু।কিন্তু পাঙ্গাশ মাছ আমি খাই না। তবে রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
করলা সবজি আমি খাই না। তবে আমার আম্মা খুব করলা ভাজি পছন্দ করে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে করলা,আলু দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া রেসিপিটি বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
করলা আলু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। পাঙ্গাস মাছ অনেকদিন থেকে খাওয়া হয় না। আপু আপনি এত সুন্দর করে রান্না করেছেন দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। চমৎকার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সাধারণত পাঙ্গাস মাছের রেসিপি খুব একটা খাওয়া হয় না তবে আজকে আপনার শেয়ার করা পাঙ্গাস মাছের রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি বলতে আমার খেতে ইচ্ছে করছে বিশেষ করে কালার টা বেশি লোভনীয় ছিল।
জ্বি ভাইয়া পাঙ্গাস মাছের এই রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
করলার স্বাদ তেতো এই জন্য আমি করলা খুবই অপছন্দ করি শুধু আমি না ৯০% মানুষ এটা অপছন্দ করেন।আপনি খুব চমৎকার একটা রেসিপি করেছেন। বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
করলাতে তেঁতো হওয়ার কারণে অনেকেই খেতে পছন্দ করে না ভাইয়া। তবে আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আসলে করলা এবং আলু দিয়ে আমি অন্য মাছের ঝোল খেলেও এই পাঙ্গাস মাছের ঝোল কিন্তু কখনো খাইনি। যদিও করলা এবং আলু যদি কোন তরকারিতে দেওয়া হয় তাহলে সেই তরকারির স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। আর আপনি রান্নার প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি দেখে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।