কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমরা বাঙালিরা আর যাই হোক না কেন খেতে খুব ভালোবাসি। আর ভোজন রসিক বাঙ্গালীদের মধ্যে আমিও একজন। রান্না করতে যেমন ভালোবাসি খেতেও খুব ভালোবাসি। যদিও মাছ-মাংসের থেকে আমার কাছে সবজি খেতে বেশি ভালো লাগে। আজ আমি আমার বেশ কিছু পছন্দের খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথমেই যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু রান্না। এটি আমার মায়ের হাতের রান্না ছিল। খেতে ভীষণ মজাদার হয় এই রেসিপিটি। বাজারে যে কাঠ কচু কিনতে পাওয়া যায় সেই কচু দিয়ে এই চিংড়ি মাছের তরকারিটা রান্না করা হয়েছিল। সাথে দিয়েছিল জলপাই।গরম ভাতের সাথে এই তরকারির কম্বিনেশনটা অসাধারণ। অবশ্যই পরবর্তীতে একদিন রেসিপি শেয়ার করার চেষ্টা করব।
ফটোগ্রাফি-২
এবারে যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে ফুলকপি, বেগুন, আলু এবং টমেটো দিয়ে রুই মাছের ঝোল। সম্ভবত আমি এই রেসিপিটা শেয়ার করেছিলাম। ফুলকপির এই ঝোল খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। শীতকালে আমার পছন্দের একটা রেসিপি। আপনারা কে কে এই রেসিপিটি খেতে পছন্দ করেন অবশ্যই জানাবেন।
ফটোগ্রাফি-৩
এবার যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এটি হচ্ছে ছোট মাছের চচ্চড়ি। আমার বড় মাছ খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। বড় মাছ রান্না করলে হয়তো খুব জোরে আমি অর্ধেক মাছ খেয়ে থাকি। কিন্তু ছোট মাছ আমার ভীষণ পছন্দের। আর এভাবে বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে আলু দিয়ে ছোট মাছ চচ্চড়ি করলে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে খেতে।এই রান্নাটি শুধুমাত্র পেঁয়াজ দিয়ে করেছিলাম খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি-৪
আমরা যারা ভোজন রসিক আছি তাদের খাদ্যের তালিকায় বিরিয়ানি থাকবে না এটা তো হতেই পারে না। বিরিয়ানি আমার যেমন পছন্দ তেমনি পছন্দ আমার বাড়ির সবার খুব পছন্দের। কিছুদিন আগে আমি বাসায় বিরিয়ানি বানিয়েছিলাম আর এটা সেটারই ফটোগ্রাফি। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে, খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি-৫
ফটোগ্রাফি দেখে তো হয়তো বুঝতেই পেরেছেন যে কিসের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এটা ছিল সবজি নুডলস। নুডলস বাবুর এবং বাবুর বাবার খুব পছন্দের। বিকেল হলেই তাদের আবদার নুডলস বানিয়ে দিতে হবে। তবে আমার কাছে নুডলস খেতে খুব একটা ভালো লাগে না কিন্তু সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে।
তো যাই হোক বন্ধুরা, এই ছিল আমার কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি। আপনাদের কাছে ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
অনেক লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আজকে করেছেন। যেগুলো দেখে আমার একেবারে লোভ লেগে গিয়েছে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি কতটা মজাদার ছিল প্রত্যেকটা খাবার। এত মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে কেন যে লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। আমার কিন্তু সব কিছুর থেকে বিরিয়ানি আর নুডুলসের ফটোগ্রাফি দেখে একটু বেশি লেগেছে। এগুলো আমার অনেক পছন্দের।
হ্যাঁ আপু সবগুলা খাবারই খুবই মজার ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি দেখছি আজকে বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে রেসিপির ফটোগ্রাফি গুলো একটু বেশি ভালো লেগেছে। তবে, চিংড়ি মাছ দিয়ে কচু রান্না রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জিভে জল আনা বেশ কিছু খাবারের ছবি আপনি শেয়ার করলেন৷ আর সব গুলোই হোমমেড খাবার৷ সে কারণেই বেশি ভালো লাগছে৷ রেস্টুরেন্টের থেকে বাড়ির খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়৷ খুব ভালো লাগল ছবিগুলো দেখে৷
জ্বি আপু সবগুলো খাবারই বাসায় তৈরি।আর বাসায় রান্না করা সব খাবারই মজার হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিটি খাবারই লোভনীয়। আপনার তো খাবার গুলো দেখেই খেয়ে নিতে মনে চাইছে। কিন্তু খাওয়া তো যাচ্ছে না। যদিও লোভনীয় খাবার দিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন তবুও আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি কিন্তু দারুন ছিল।
মনে মনে খেয়ে নেন আপু।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি তো অনেক সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ধারণ করা প্রতিটি খাবার ভীষণ মজাদার। তবে এই সমস্ত খাবার গুলোর মধ্যে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে নুডুলস খেতে। আমি তো প্রায়ই নুডুলস রান্না করে খাই ,এটা আমার প্রিয় খাবার। এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এই সবজি নুডলস খেতে সত্যিই ভিষণ মজার হয়েছিলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে খুবই লোভ লাগে।কারন খাবার মানেই লভনীয় কিছু।অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুড ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া খাবার মানেই লোভনীয়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চমৎকার কিছু খাবারে ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। মাঝেমধ্যে এমন খাবারের চিত্র গুলো দেখলে বেশি ভালো লাগে। প্রত্যেকটা খাবারই ছিল অতি লোভনীয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
কেন যে খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন আপু। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে তো নিজেকে আর সামলে রাখতে পারি না। ইচ্ছে করে সাথে সাথে নিয়ে খেয়ে ফেলি। প্রত্যেকটা খাবার খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে, নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
জ্বি ভাইয়া প্রত্যেকটা খাবার খুবই সুস্বাদু ছিলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।