পূর্নিমার চাঁদ || শেষ পর্ব
"হ্যালো",
এবার পূর্ণিমার পরিবার পূর্ণিমাকে হন্যাতন্য হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে সবাই জানতে পারে তাদের কথা। তখন তারা খুব ঠান্ডা মাথায় চাঁদের বাড়িতে যায়। এরপর কি হবে? পূর্ণিমার পরিবার কি পূর্ণিমা এবং চাঁদকে মেনে নেবে নাকি তাদের জন্য খুব বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এবার সেখানে গিয়ে পূর্ণিমার পরিবার খুব ঠান্ডা মাথায় পূর্ণিমাকে বাড়িতে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা চাঁদের পরিবারকে জানাই সময় করে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে মেয়েকে পাঠাবে।চাঁদের মন কিছুতেই মানছিলনা। কিন্তু চাঁদের পরিবার চাঁদকে বোঝায় যেহেতু তার পরিবার নিতে এসেছে এখানে বাঁধা দেওয়াটা ঠিক হবে না। যাই হোক এরপর পূর্ণিমার পরিবার আর তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসে পূর্ণিমার পরিবার পূর্ণিমার ওপর অনেক অত্যাচার করে চাঁদকে ভুলে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু পূর্ণিমা চাঁদকে খুবই ভালোবাসে। অনেক বোঝানোর পরও যখন পূর্ণিমা সম্পর্ক ভাঙতে রাজি হয়নি তখন পূর্ণিমার পরিবার পূর্ণিমাকে একদিন মারতে শুরু করে। হঠাৎ পূর্ণিমা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। একটা সময় সবার সাথে লড়াই করে পূর্ণিমা পড়ে পড়ে পাড়ি জমায়।পূর্নিমার পরিবার যখন বুঝতে পারে পূর্ণিমা মারা গেছে তখন তারা নিজেদের দোষ থাকার জন্য চেঁচামেচি শুরু করে যে পূর্ণিমা আত্মহত্যা করেছে। আশেপাশের সবাই জড়ো হয় তাদের বাড়িতে।
পরদিন সকালে চাঁদ এবং তার পরিবার চলে আসে। চাঁদ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পূর্ণিমার এই চলে যাওয়াটা। চাঁদের সন্দেহ হয় এবং সে থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর পুলিশ তদন্ত করে দেখে এটা আত্মহত্যা নয় তার পরিবার তাকে খুন করেছে।এরপর পূর্ণিমার পরিবারের সবার সাজা হয়। আসলে তারা কতই না চেষ্টা করেছে তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। কি হলো এই বাড়াবাড়ি করে শেষে তো নিজের সন্তানকে হারাতে হলো এবং আজ তার সাজা পেতে হচ্ছে।
আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা কিন্তু অহরহ। ধর্মের কারণেই শুধু বলছি না অনেক সময় ধনী গরিবের পার্থক্যটা থেকে যায়। আর তখনই এই ধরনের অঘটন গুলো ঘটে।তাই অন্তত প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর আগে সব দিক বিবেচনা করা উচিত। তাহলে হয়তো এমন ঘটনা থেকে নিজেকে অনেকটাই দূরে রাখা যাবে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই গল্পের শুরু টা আমার জানা নেই, কিন্তু শেষটুকু পড়ে বুঝতে পারছি এটা একটি অসম্ভব রকমের ভালোবাসার গল্প ছিলো আর সেভ ভালোবাসার শেষ পরিণতি হলো পূর্ণিমার মৃত্যু।😥 ভালোবাসা কখনো জাতপাত ধনী-গরিব দেখে হয় না,ভালোবাসা হলো আত্মার সম্পর্ক।গল্পের শেষটুকু পড়ে খুবই কষ্ট পেলাম এরকম ভয়ানক মৃত্যু যেনো আর কোনো পূর্ণিমার ভাগ্যে না হয়।ধন্যবাদ ভাবী।💗
ঠিক বলেছেন এমন মৃত্যু যেনো কারোর না হয়।সময় করে আগের পর্ব গুলো পড়তে পারেন। ভালো লাগবে আশা করছি।