কৈ মাছের তেল ঝাল
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগের স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার পছন্দের মানুষের প্রিয় একটা রেসিপি শেয়ার করব। আমি আমার একটি ব্লগে বলেছিলাম যে আমি বাজার থেকে কিছু কৈ মাছ কিনেছিলাম। আর কৈ মাছগুলো আমার হাসবেন্ড খেতে খুবই পছন্দ করে। আর ওর জন্য মূলত আমার কৈ মাছগুলো কেনা। কেননা আমি খুব একটা পছন্দ করি না কৈ মাছ। তো সে কৈ মাছ ভুনা খেতে খুব পছন্দ করে। আর আমার কাছে কই মাছের ভুনাটা একটু পাতলা পাতলা হলে বেশি ভালো লাগে। যার কারণে আমি কৈ মাছের তেল ঝাল রান্না করেছি। সেই রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
তো বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই।
| উপকরনসমূহঃ |
|---|
| কৈ মাছ |
| পেঁয়াজ কুচি |
| আদা-রসুন বাটা |
| জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
| শুকনা মরিচের গুঁড়া |
| হলুদ গুঁড়া |
| গোটা গরম মসলা |
| তেজপাতা |
| লবণ |
| তেল |
ধাপ-১
প্রথমে মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর লবণ হলুদ মাখিয়ে মাছগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে রান্নার জন্য চুলায় অন্য একটি কড়াই দিয়েছি। কড়াইয়ে দিয়েছি তেল গরম হয়ে গেলে গোটা গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজগুলো হালকা বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
বাদামি করে পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো আদা রসুন বাটা, জিরাধনিয়ার গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়ার পর আগে থেকে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি রান্নার জন্য।
ধাপ-৫
ঢেকে দিয়ে ১৫ মিনিটের মতো রান্না করে নিয়েছি। এরপর ঝোলটা যখন প্রায় হয়ে এসেছে তখন আমি ভাজা জিরার গুঁড়া ছিটিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।
যদিও আমি খুব একটা কৈ মাছ খেতে পছন্দ করি না। তবে অনেকদিন পর খেয়েছিলাম বেশ ভালই লেগেছিল। বিশেষ করে দেখলাম আমার ছেলে খুব পছন্দ করেছে। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন একটা ছবিতে ও হাত দিয়ে তুলে নিতে চাচ্ছে।যাই হোক এই ছিল আমার আজকের রেসিপি কৈ মাছের তেল ঝাল। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।













বেশ সুন্দর ছিল তো তরকারির কালারটি। দেখে তো মনে হচ্ছে কয়েক প্লেট ভাত খাওয়া যাবে এই রেসিপিটি দিয়ে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট করেছেন আজকে। আবার আপনার রেসিপিটি প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ অপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মনে মনে কয়েক প্লেট ভাত খেয়ে নেন আপু। আর অবশ্যই বাসায় দাওয়াত রইলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কই মাছের তেল ঝাল, সত্যিই আপু রেসিপিটি যে ঝাল হয়েছে তা কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কই মাছের পাতলা ঝোল একটু ঝাল করে খেতেই বেশি ভালো লাগে। আমাদের প্রিয় শুভ ভাইয়ের কাছে কই মাছ পছন্দের তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানা হয়ে গেল। আর আমাদের শায়ান বাবু দেখছি বড় কই মাছটি লুফে নিচ্ছে। ছোট্ট কিউট হাতে রান্না করা মাছ ধরার দৃশ্যটি ভীষণ ভালো লাগছে। যাইহোক আপু, খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনার ভাইয়ার খুব পছন্দের মাছ এটি। আর বাবুও দেখি বেশ পছন্দ করেছে। আর আমার কাছে এটা খুবই ভালো লেগেছে যে বাবু নিজের থেকে মাছ খেতে চাচ্ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার হাজব্যান্ড কৈ মাছ অনেক বেশি পছন্দ করে আর আপনি তার পছন্দ দেখেই কৈ মাছ কিনেছেন। কই মাছ ভুনা বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া এটা সত্যি কথা যে এই রেসিপিটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
খুব ভাল লাগলো আপু কৈ মাছের তেল ঝাল।কৈ মাছ আমারও খুব পছন্দ। আর এমন তেল, ঝাল হলে তো কথাই নেই।আপনার রেসিপিটি কিন্তু দারুন কালার হয়েছে।বেশ লোভনীয় হয়েছে রান্নাটি।ওরে বাবা,শায়ান বাবু দেখছি মাছ তুলে নিচ্ছে।🥰খুব ভাল ছোট থেকে সব মাছ খাওয়াবেন আপু।এতে করে সব খাবারই খাবে।ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমি তো খাওয়াতেই চাই আপু কিন্তু ও তো কোন কিছু খেতেই চায় না আর দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। কৈ মাছের তেল ঝাল রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপিটি দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি ছিল। আর সবাই মিলে বেশ মজা করে খাওয়া হয়েছে রেসিপিটি। রেসিপির কালার কম্বিনেশন ও জাস্ট অসাধারণ ছিল। এরকম মজাদার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। লোভ লাগিয়ে দিলেন এই রোজার সময় দিনের বেলায় রেসিপিটি দেখিয়ে।
জ্বী ভাইয়া কালারটা অনেক সুন্দর এসেছিল রেসিপির। আসলে আমি কৈ মাছের তেল ঝাল রান্না করেছিলাম যার কারণে ঝালের পরিমাণটা একটু বেশি দিয়েছিলাম। আর এর কালারটা মনে হয় এজন্যই বেশি ভালো এসেছিল। যাইহোক ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
কৈ মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া অবশ্যই বাসায় চলে আসবেন রান্না করে খাওয়াবো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন কই মাছ খাওয়া হয়নি আপু। তাই আজকে আপনার এই রেসিপি দেখে আমার খুবই লোভ লাগলো। ইচ্ছে জাগলো। রেসিপি তৈরীর বিস্তারিত ধরনটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর করে ধাপে ধাপে আপনি উপস্থাপন করেছেন রান্নার প্রক্রিয়া, তার পূর্বে তুলে ধরেছেন সমস্ত উপাদানগুলো। সব মিলিয়ে অল দ্যা বেস্ট।
আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কৈ মাছের রেসিপিটা তো চমৎকার হয়েছে আপু। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। কৈ মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ধাপে ধাপে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাইয়া এই রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। আর কই মাছ বিশেষ করে আপনাদের ভাইয়া খুব পছন্দ। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেও সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।