“আমার বাংলা ব্লগ”- এখন শুধু একটি কমিউনিটির নাম না বরং সকলের নিকট জনপ্রিয় মাধ্যম, নিজের ভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের। দিন দিন যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীর্ষে উঠে আসছে র্যাংকিং এ। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর যাত্রা শুরু হয় মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশে স্টিম ব্লকচেইন এ সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটিকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালাবাসা সৃষ্টি করা এবং নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করা। আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত ৮৩৯২ জন সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমান এ্যাকটিভ পোষ্টের সংখ্যা ১৪৫। এই সপ্তাহে হ্যাংআউটে উপস্থিতির সংখ্যা ছিলো ৭১জন।
হ্যাংআউট-১৭৩
আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন
@shuvo35 ভাই সময়ের পূর্বে চলে আসেন এবং শীতের পরিবেশ নিয়ে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন, যদিও শুভ ভাই নিজেও কিছুটা অসুস্থ ঠান্ডাজনিত কারনে। তারপর হ্যাংআউট নিয়ে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন। উপস্থিত সবাইকে স্বাগতম জানান হ্যাাংআউটে জয়েন হওয়ার জন্য। নতুন প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা বলেন, এ সম্পর্কিত ঘোষণা দেখতে বলেন সবাইকে। তারপর শীতের ঠান্ডা নিয়ে সবার অনুভূতি জানতে চান এবং সেগুলো সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। পরিবেশ হয়তো এমনটাই থাকবে কিন্তু তবুও আমাদের যার যার অবস্থান হতে কাংখিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। এরপর সবাইকে অনুরোধ করেন তাকে কাংখিতভাবে সহযোগিতা করার জন্য এবং হ্যাংআউট এর মূল পর্ব শুরু করেন।
এরপর কথা বলি আমি
@hafizullah, যথারীতি সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের ১৭৩তম সাপ্তাহিক হ্যাংআউটে। আশা করছি শীতের শীতল পরিবেশে সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। শুরুতেই গেষ্ট ব্লগারদের নিয়ে বলছি, এই মুহুর্তে কমিউনিটিতে ২৩জন গেষ্ট ব্লগার আছে তাদের মাঝে ১৭জন ইনএ্যাকটিভ, এবং ৬জন রেগুলার। রেগুলার যারা আছেন তারাও আবার ঠিক মতো পোষ্ট করেন না। এছাড়া যে সকল এ্যাকটিভ ইউজার এই সপ্তাহে আমার অধীনে ছিলেন তাদের এ্যাকটিভিটিসও খুব একটা ভালো না। বিশেষ করে ডিসকর্ড এ্যাকটিভিটিস বেশ খারাপ ছিলো।
তাদের মাঝে
@nevlu123 @nilaymajumder @maksudakawsar আপনাদের ডিসকর্ড এ্যাকটিভিটিস আমাকে বেশ হতাশ করেছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে ভালো এ্যাকটিভিটিস রাখবেন।
@mahfuzur888 একই ক্যাটাগরির পোষ্ট বেশী হয়ে যাচ্ছে, আরো একটু বেরিয়েশন আনার চেষ্টা করুন, যেহেতু একন অধিকাংশ ইউজার এ্যাকটিভ থাকছেন তাই প্রতিযোগিতাও একটু বেশী হচ্ছে। এছাড়া
@mahfuzanila গ্যাপ দিয়ে তারপর একসাথে তিনটি পোষ্ট করলে সেখানে আমরা একটি পোষ্টই কাউন্ট করি। অনেকেই এখনো ঠিক মতো পুশ টাস্কগুলো করছেন না,
@ronggin বিগত চারদিন ধরে পুশ টাস্কগুলো করছেন না, কমেন্ট করেছি সকালে এখনো তার রেসপন্স পাই নাই, এই জন্য আপনার কিউরেশন কম করা হয়েছে। যদি টাস্কগুলো ঠিক মতো না করেন তাহলে পোষ্ট নমিনেশন দেয়া বন্ধ করা হবে। ধন্যবাদ।
তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন
@swagata21দিদি, আজ আমার এ্যাকটিভ লিষ্ট হতে যে সকল ইউজার ছিলেন তাদের মোটামুটি এ্যাকটিভিটিস ভালো ছিলো।
@rayhan111 আপনার পোষ্টগুলোতে ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করবেন। আর কিছু কিছু জনের ডিসকর্ড এ্যাকটিভিটিস একদমই কম ছিলো তাদের আমি এ্যাকটিভ লিষ্টে রাখতে পারিনি। একেবারে যাদের কম ছিলো তারা হলেন
@ti-taher,
@hiramoni আর
@alif111। কমেন্ট মনিটরিং এর বিষয়ে তেমন কিছু বলার নেই, সকলের কমেন্ট ঠিক আছে কিন্তু যে সকল ইউজার বেশী বেশী কমেন্ট করছেন সেটা রিপোর্ট বের হলেই দেখতে পাবেন তাদের খুব ছোট ছোট বানান ভুল হচ্ছে আর কমেন্ট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য যে ভুলগুলো চোখে পড়ছে না, টাইপিং এ খুব ছোট ছোট ভুল হয়ে যাচ্ছে যেগুলোর জন্য কিন্তু পয়েন্ট অনেক কমে যাচ্ছে। আর এদিকটা খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ।
তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন
@nusuranur আপু, ইউজারদের নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। কারণ উনাদের একটিভিটিস মোটামুটি ভালো ছিলো।আর যারা ইনএকটিভ ছিলেন উনাদের নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আর পুশ প্রমোশন এর জন্য যেসব রুলস মেন্ডাটরি রাখা হচ্ছে সেসব চেষ্টা করবেন পোস্ট করার সাথে সাথেই করার জন্য। কারণ তা না হলে আপনারা নমিনেশন পাবেন না বা মিস হবে নমিনেশন। আর টেলিগ্রামের এনাউন্সমেন্ট চ্যানেল এ কেও কিছু লিখবেন না আর এনাউন্সমেন্ট গুলোতে এক একজন এক একটি রিয়েক্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন।তাহলে অনেকগুলো রিয়েক্ট থাকলে তা অন্যান্য বড় কয়েনগুলোতে যেমন থাকে তেমন দেখতে লাগবে। আর কারো যদি অন্য দেশকে অসম্মান করার ইচ্ছে থাকে তাহলে এ কমিউনিটিতে না থাকার পরামর্শ দেবো। আর আপুদের কোনো ব্যাক্তিগত সমস্যা থাকলে আপুর সাথে নির্দ্ধিধায় শেয়ার করতে পারেন, উনি যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।
এরপর কথা বলেন কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স)
@rex-sumon সুমন ভাই, শুরুতেই টার্গেট ডিসেম্বর নিয়ে বলেন, আমরা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছি টার্গেট ডিসেম্বর সিজন-৪ এর এবং সেটা অফিসিয়ালি আজকে শেষ হলো। আগামী দুই সপ্তাহের মাঝে দুটো বিষয় দেখার চেষ্টা করা হবে, সর্বোচ্চ পাওয়ার আপকারী কারা এবং সবচেয়ে বেশী % পাওয়ার আপকারী কারা, তারপর সেগুলোর ঘোষণা দেয়ার চেষ্টা করবো। আগামী ২০২৫ হতে সিজন ৫ চালু হবে ইতিমধ্যে দাদার সাথে আলোচনা করা হয়েছে এবং দাদা সেটা চালু করার অনুমতি দিয়েছেন। এই বছর অনেকেই খুবই বড় বড় সংখ্যায় পাওয়ার আপ করেছেন এবং নিয়মিত অনেক ইউজার এ্যাকটিভ ছিলেন। কমিউনিটির এ্যাবিউজ অনেক কম এসবিডি আসার পরও অনেক কম ছিলো, এটাও ভালো একটা দিক।
তারপর বলেন বাধ্যতামূলক টাস্কগুলোতে একটু পরিবর্তন আসবে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের টাস্ক আসবে, তবে নতুন কোন টাস্ক আসলে সেই লিংক এর মাঝেই সেটা পেয়ে যাবেন। তারপর সুপার ওয়ালক নিয়ে কথা বলেন, মাত্র তিন হতে চারজন ইউজার বাদে তেমন কেউ এ্যাকটিভ ছিলো না, আশানুরূপ ফলাফল আমরা পাই নাই, যা আমাদের জন্য দুঃখজনক ছিলো। তাই একটু কঠিন হবো আমরা, নিয়মিত টাস্কগুলোর মাঝে এটাও যুক্ত করা হবে। সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে এটা ইনস্টল করতে হবে। গাইড লাইন দিয়ে দেয়া হবে, সবাইকে এটায় যুক্ত হতে হবে। একটা ঘোষণা দেয়া হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত গাইড সহ। পাওয়ার আপ প্রতিযোগিতার ফলাফল একটু পরেই দেয়া হবে।
তারপর কমিউনিটির এ্যাডমিন (উইটনেস এবং ডেভ টীম)
@moh.arif আরিফ ভাই কথা বলেন, শুরুতেই দুটো বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সবাইকে কমিউনিটির শৃংখলার দিকে নজর দিতে বলেন হয়তো এ বিষয়ে অনেক কিছুই দেখতে পাবেন কমিউনিটিতে, দ্বিতীয়ত কমিউনিটির এ্যাকটিভিটিস। নতুন করে অনেক ইউজার এ্যাকটিভ হওয়ার চেষ্টা করছেন যেহেতু এসবিডি আসতে শুরু করেছিলো হয়তো এখন নেই তবে পুনরায় আবার এসবিডি প্রিন্ট আউট হওয়া শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সামনের সপ্তাহে হয়তো আরো ইউজার বাড়বে। এছাড়া স্টিমিট এর কোন সমস্যা কিংবা নতুন কোন ধরনের পরিবর্তন জনিত কিছু চাইলে তাকে জানাতে অনুরোধ করেন।
কমিউনিটির এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং)
@shuvo35 শুভ ভাই কথা বলেন এরপর, বিগত কয়েক সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহের টুইটার অ্যাক্টিভিটিস ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৩০০ পোস্ট প্রমোশন হয়েছে টুইটারে। সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ছিল ৫৩ জন আর ফাইনাল তালিকায় ছিল ২৪ জন সদস্য। পুস নিয়েও প্রমোশন ছিল ব্যাপক, সব মিলিয়ে বলতে গেলে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। এমনটাই চাওয়া। ধন্যবাদ সবাইকে।
এরপর কমিউনিটির মডারেটরগণ কথা বলেন, শুরুতে মডারেটর
@alsarzilsiam ভাই বলেন, প্রথমে লেভেল তিন সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। বর্তমানে লেবেল তিনে ক্লাস করানোর মত কোন ইউজার নেই। যখন আর লেভেল তিনে ইউজার আসবে তখন তাদের ক্লাসগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে নেয়া হবে। এছাড়াও লেভেল ফাইভের ভাইবার জন্য অনেকেই অপেক্ষা করছেন। এই সপ্তাহেই আপনাদের লেভেল ফাইভ এর মৌখিক ভাইভা নিয়ে নেওয়া হবে। সময় এবং তারিখ এনাউন্সমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ পর্যায়ে কমেন্ট মনিটরিং নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এ সপ্তাহে আমার লিস্টে যারা ছিলেন তারা মোটামুটি অনেক ভালো কাজ করছেন। তবে ভয়েস টাইপিং এর ক্ষেত্রে অনেকটা লক্ষ্য রাখতে হবে, এছাড়াও ছোটখাটো বেশ বানানের সমস্যা দেখতে পেয়েছি। এসব বিষয়গুলো ওভারকাম করে নেবেন। এছাড়াও বিস্তারিত তথ্য আপনারা ফুল রিপোর্টে পেয়ে যাবেন।
প্রমোশনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই। অনেকেই অনেক ভালো প্রমোশন করছে এটা সত্যি প্রশংসনীয় বিষয়। কিন্তু তারপরও আমাদের যতজন একটিভ মেম্বার রয়েছেন সবাই কিন্তু প্রপারলি ভাবে কোয়ালিটি মেইনটেইন করছেন না। সবাই করছেন, হ্যাঁ। কিন্তু আপনাদের পোস্টগুলো একটু কোয়ালিটি ফুল এর বিষয়ে দিক থেকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই আমাদের এই কয়েনকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
এরপর কথা বলেন কমিউনিটির মডারেটর
@kingporos ভাই, নমস্কার সবাইকে। শুরুতেই টেম্পোরারি লিস্ট ইনএকটিভ নিয়ে কথা বলে নেবো। এই সপ্তাহে দুজনকে এক্টিভ লিস্টে পাঠানো হয়েছে। বাকি যে কজন টেম্পোরারি ইনএকটিভ লিস্টে রয়েছেন তারা পোস্ট করছেন ঠিকই তবে তাদের ডিসকর্ড এবং কমিউনিটি এক্টিভিটিস খুবই কম। ঠিক, সেজন্যই আপনাদেরকে একটিভ লিস্টে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আপনারা পোস্ট করার পাশাপাশি যদি এনগেজমেন্টের দিকে কিছুটা হলেও নজর রাখেন তাহলে আপনাদের একটিভ লিস্টে যাওয়ার পথ অনেকটাই সুগম হবে।
লেভেল ১ এর ক্লাস খুব শীঘ্রই নিয়ে নেওয়া হবে। যে দুজন সদস্য আছেন আপনারা এনাউন্সমেন্ট চ্যানেলের দিকে নজর রাখবেন। সবশেষে বলতে চাই, আমরা নতুন প্রতিযোগিতা নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। সব জায়গাতেই বেশ জোর কদমে শীত পড়ে গিয়েছে। আর শীতে মানেই তো হরেক রকমের খাবার, হরেক রকমের মেলা আর এক শীতে ঢাকা সুন্দর প্রকৃতি। সবকিছু ক্যামেরা বন্দী করবেন, আপনাদের যেটা ভালো লাগে আর যে নজরে আপনারা শীতকালকে দেখেন সেটাই তুলে ধরবেন।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন, তারপর কমিউনিটির মডারেটর
@tangera তানজিরা ম্যাডামের কথা লিখে প্রকাশ করতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন। আসসালামু আলাইকুম, আজ অনেক কষ্ট নিয়ে আমার শেষ কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আসলে আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের প্রাক্তন মডারেট রুপকে নিয়ে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে।সে অন্যায় করেছে অথচ তার কারণে বার বার আমি অপমানিত হচ্ছি, নানান ধরনের কথা তার কারণে শুনে আসছি। তার কারণে অনেকেই আমার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। অথচ তার এই অন্যায়কে আমি কখনও সাপোর্ট করিনি। আমি আর এগুলো সইতে পারছিনা।
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি কমিউনিটি ছেড়ে চলে যাব।দীর্ঘদিন কাজ করেছি কমিউনিটিতে তাই এখন আপনাদেরকে ছেড়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু তারপরও ছেড়ে যেতে হবে। আপনাদের কারও মনে কষ্ট দিলে ক্ষমা করে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন। আর একটি কথা, যেহেতু এ সপ্তাহে বেস্ট ব্লগার বাছাই এর দায়িত্ব আমার ছিল তাই আমি আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে শেষ করে দিব আমার কার্যক্রম আমার বাংলা কমিটিতে। সবাই ভালো থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ সকলকে।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং প্রমোশন নিয়ে কথা বলেন, সবার মিনিয়াম ৫ হাজার পুশ কিনে হোল্ড করতে হবে এবং এর পাশাপাশি ট্রন এড্রেস লিংক আপ করতে হবে বাধ্যতামুলকভাবে । তারপর এবিবি স্কুল নিয়ে কথা বলেন, যারাই স্কুলে আছেন সবাইকে এবিবি স্কুলকে ৫% বেনিফিশিয়ারি দিতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে সাইফক্সকে ১০% বেনিফিশিয়ারি দিতে হবে । এরপর ডেলিগেশন সার্ভিস নিয়ে কথা বলেন, হিরোইজম নিয়ে কথা বলেন শুরুতে, কারা কারা এখান হতে সুবিধা পাচ্ছেন সেটা জানতে চান? এবিবি কিউরেশন নিয়ে কথা বলেন তারপর, নিশ্চিত সাপোর্ট পেতে চাইলে এবিবি কিউরেশন এ ডেলিগেশন করতে বলেন।
নিয়মিত ডেলিগেশন বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন সবাইকে। তারপর এবিবি ফিচার্ড পোষ্ট নিয়ে কথা বলেন, মূলত আপনাদের পোষ্টগুলোকে হাইলাইট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর এবিবি ফান নিয়ে বলেন, ফান করে আর্ন করুন, এই কাজটি সবাই করার চেষ্টা করছেন বলে আশা প্রকাশ করেন। নতুনদের জন্য একটা বাড়তি সুবিধা আছে, কারো আরসি স্বল্পতার সমস্যা থাকলে আমাদের মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করে ডেলিগেশন সুবিধা নিতে পারবেন সহজেই। এরপর এবিবি ফান ফর অল নিয়ে কথা বলেন এবং সবাইকে কাংখিতভাবে প্রশ্ন জমা দেয়ার অনুরোধ করেন। যাদের প্রশ্ন নির্বাচিত হচ্ছে তাদের বেনিফিশিয়ারীর মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
তারপর এবিবি চ্যারিটি নিয়ে বলেন, প্রতি বুধবার সবাইকে রিমাইন্ডার দেয়া হয়, ডোনেশন অথবা বেনিফিশিয়ারী দিতে পারেন আপনারা। তারপর এবিবি ফান অল চ্যানেল নিয়ে কথা বলেন সবাইকে সেখানে কাংখিত প্রশ্ন কিংবা অনু কবিতা জমা দেয়ার কথা বলেন। তারপর শুভ ভাই এবিবি স্টেজ শো নিয়ে কথা বলেন, খুব সুন্দরভাবে শো’টি চলছে, আমাদের মডারেটর সিয়াম ভাই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবেন । যারা অতিথি হিসেবে থাকবেন তাদের জন্য সম্মানীর ব্যবস্থা থাকবে। এরপর সাইফক্স সপ্তাহ নিয়ে কথা বলেন।
এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা
@rme দাদা, শুরুতেই দাদা এই সপ্তাহের বেষ্ট ব্লগার অব দ্যা উইক এর নামগুলো ঘোষণা করেন। তারা হলেন,
@monira999,
@tasonya এবং
@mohinahmed । এছাড়াও এই সপ্তাহের ফাউন্ডার'স চয়েস বিজয়ী হলেন
@saymaakter। এক্স (টুইটার) অব দ্যা উইক হলেন
@narocky71। এরপর দাদা কমিউনিটি নিয়ে কিছু কথা বলেন, আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির শুরুতে কিছু এ্যাডমিন মডারেটর নিয়েছিলাম যারা ছিলেন জেনারেল ইউজার, তাদের কোন যাচাই বাছাই করা হয়নি তখন, তাদের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন? তারা লোক হিসেবে কেমন? তারা কাজ পারে কিনা? কোন ফ্যামিলি হতে উঠে এসেছেন এসব কিছু দেখা হয়নি। জাস্ট একদম নতুন শুরু করা হয়েছিলো সেভাবেই রেনডমলি কিছু ইউজারকে আমরা আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন মডারেটর করা হয়, এর মাঝে কিছু এ্যাডমিন মডারেটর ফ্রড প্রমানীত হয়েছে তাদেরকে বের করে দিয়েছি, কিছু ডেঞ্জারাস ছিলো তাদের এলিমেনেশন করেছি।
এই ডেঞ্জারাস কিছু এলিমেন্ট এর মাঝে ছিলো রুপক, আপনারা জানেন যখন $PUSS প্রজেক্ট রান করি তখন আর্লি ইনভেষ্টটর হিসেবে, আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন/মডারেটর হওয়ার সুবাদে প্রজেক্টের খুঁটিনাটি বা প্রথম দিককার ইনভেষ্টটর হিসেবে তারা সুযোগ পেয়েছিলো। তাই বড়জোড় কেউ ১ হাজার, কেউ ২ হাজার ডলার দিয়ে ডুকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার একটা অংশ ছিলো রুপক, যে ইউজারদের ফান্ডকে নিজের ফান্ড হিসেবে ভেবে ইউথড্র করে নিয়েছে। যেটা আমার কথা ছিলো যে টীম মেম্বার বা আর্লি ইনভেষ্টটর হিসেবে যারা একদম খুব কম দামে, কম দাম বলতে এখন দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এক লাখ আশি হাজার পার্সেন্ট। তাহলে যখন এন্ট্রি নিয়েছিলো শুরু হতে এখন ফান্ড এক লাখ আশি হাজার পার্সেন্ট গ্রো করেছে।
এখন যদি একবারে দ্রুত ক্যাশ আউট করে ফেলে, এটাতো মেকানিজম বুঝতে হবে, ক্রিপ্টো মার্কেট হলো অনেকটা ব্যাংকের লিকুইডিটি সিস্টেম এর মতো। একই সাথে যদি একটা ব্যাংকের সবাই টাকা তুলতে যায়, তাহলে দুনিয়ার এমন কোন ব্যাংক নেই যে ফেইল করবে না। ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। ব্যাংকের যেমন সিস্টেম ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাই। একই সাথে সবাই লিকুইডিটি করলে মার্কেটটা শেষ হয়ে যায়। ইভেন্ট বিটকয়েনও যদি সবাই একই সাথে ক্যাশআউট করতে যায় বিটকয়েনও এক লাখ ডলার হতে এক ডলারে নেমে যাবে। এটা হলো সব কিছুরই একই সিস্টেম। তারল্যের একটা ব্যাপার থাকে, লিকুইডিটি বলে যেটা। লিকুইডেশনটা একই সাথে করলে মার্কেট ডাউন হয়ে যায়।
এখন ৫ কোটি $PUSS যখন সে একই সাথে সেল দিতে গেলো তখন তাকে বাধা দেয়া হলো। বাধা দিলে সে রিএ্যাক্ট করলো তখন তাকে বের করে দেয়া হলো। এটা ছিলো ঘটনা। এখন ৫ কোটি $PUSS সে সঙ্গে সঙ্গে সেল দিলো যেটা আপনারা দেখেছিলেন মার্কেট খুব টপ পজিশন থেকে একদম ৫০% এর বেশী ডাউন হয়ে গিয়েছিলো কারন প্রায় (এখনো তো পুশ ছোট) সাড়ে তিনলাখ ডলার সে বের করে নিয়েছে। এটা বাংলাদেশী টাকায় অনেক টাকায় প্রায় ৪ কোটি টাকার মতো, এই যে বড় লিকুইডেশনটা হয়েছে, আর একজন বড় লিকুইডেশন করলে সাথে সাথে পেনিক সেলার শুরু হয় তারাও একটা বড় অংকের টাকা বের করে নেয়। সেটা বাধা দেয়ার কারনে সে শত্রুতা করা শুরু করে। কিন্তু সেটা মেইন কথা না, সেটাও কিছু বলিনি।
সে দেড় মাস ধরে নিজে নিজে পোষ্ট করছে তাকে ডাউন ভোট দেইনি। গতকাল কেন তাকে ডাউন ভোট দিলাম, তার কারণটা হলো কি? তার ফেইসবুক প্রোফাইল ঘুরে আসলে দেখতে পাবেন ফেইসবুকের প্রায় প্রতিটি পোষ্টে হিন্দুদের বাপ-মা তুলে গালি দেয়া হয়েছে, ইন্ডিয়াকে শুয়োরের বাচ্চা, জানোয়ারের বাচ্চা, ইন্ডিয়ানদের এসব বলে গালি-গালাজ করা হয়েছে যা মুখে আনা যায় না যেসব জিনিষ। মানে কোনভাবে সে যে একটা মানুষ সেটাও মনে হয়না, অমানুষ মনে হয় আমার কাছে। কারণ ভদ্র-শান্ত সেজে থাকতো আপনাদের সাথে যখন কথা বলতো খুব ভদ্রভাবে কথা বলতো কিন্তু চূড়ান্ত অভদ্র একটা মানুষ। যেটা আমরা কেউ বুঝতে পারিনি। প্লাস কি করে সে? দুটো আইডি চালায় একটা এআই দিয়ে লিখে পোষ্ট করে সেটা আমি স্টিমিট টীমকে জানিয়েছি তারা একাউন্ট বসিয়ে দিয়েছে।
আর এই আইডিতে প্রথম হতেই স্প্যামিং করতো প্লাস ছোট ছোট শর্ট পোষ্ট দুই তিন লাইন লিখে একটা ছবি দিয়ে এই রকম পোষ্ট করতো, কয়েকবার ওর্য়ানিং দেয়া হয়েছে। আর কালকের এই ঘটনার পর হতে, কালকের রাত দুটা বা তিনটা দিকে ডাউনভোট দিয়েছি, সব ৬৫ ডলার করে ছিলো প্রতিটি পোষ্ট সব শূন্য করে দিয়েছি। সেই রাগে সকালে আবার আমাকে ম্যাসেজ করেছে। একটা ছেলে যার কোন ইনকাম ছিলো না, কিছুই ছিলো না, তাকে কাজের সুযোগ করে দিয়ে, কমিউনিটিতে তিন বছর ধরে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে গেছে প্রতি মাসে মাসে। তিন বছর ধরে ইনকাম করে এখন সে আমাকে এখন বলে সে গোলামি করেছে আমার। সে যখন হজ্বে যায় কোন কাজ করেনি কমিউনিটির, একটা মাস তাকে ফুল সাপোর্ট দিয়ে গেছি আমি।
সেটা আমার বাংলা ব্লগ হতে দিয়েছি, অপস প্রজেক্ট হতে দিয়েছি, কোন কাজ না করার পরও। তারপর হজ্ব হতে ৪৫ দিন পর ফিরে এরপরও কোন কাজ করেনি তারপরও সাপোর্ট পেয়ে গেছে। সে ম্যাসেজে লিখে আমার গোলামি হতে বের হতে পেরে সে খুশি। রুপকের ঘটনা আমার ফাস্ট ঘটনা না, এটা খুব সম্ভবত ৫০ বা ৬০তম ঘটনা। কারন যতবার মানুষের উপকার করেছি উপকারের প্রতিদান পাওয়ার পর লাস্টে সে যখন বেড়িয়ে যায়, যাওয়ার সময় বুকে একটা লাথি মেরে চলে যায়। প্লাস খুনের হুমকি টুমকিও পেয়েছি অনেক। এমন লোকেরও উপকার করেছি আমি যে তার জীবনে কিচ্ছু ছিলো না, সে হয়তো কোটিপতি হয়েছে বা তাকে বড় একট দূর্ঘটনা হতে বাঁচিয়ে দিয়েছি, সেও পরে খুনের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু আমাকে খুন করাতো দূরের কথা আমার গায়ে টাচ করারও কারো ক্ষমতা নেই। এটা সম্ভবও না।
তারপরও হুমকি দিতে তো সমস্যা নেই। হুমকি তো দিতে পারে। এখন আমার কথা হলো বাংলাদেশী বা ইন্ডিয়ান যেই হোক, কারো ফেইসবুক একাউন্টে বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে বা ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে বিষেদগার করে তাকে আমার কমিউনিটিতে তাকে কাজ করতে হবে না। সে ইন্ডিয়ানও যদি বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে এমন আজেবাজে কথা লেখে, বাংলাদেশীরাও যদি ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে এমন আজেবাজে কথা লেখে। প্লাস সে শুধু ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে লিখেছে তা না ধর্ম তুলেও গালি করেছে, আমি দেখলাম তো সে হিন্দু ধর্ম নিয়ে প্রচুর কটু বাক্য, খারাপ কথা, মুখে আনা যায় না যেসব কথা এমন ভাষায় গালি গালাজ করেছে। এমন লোকতো চেনা যায়নি যে এতোটা খারাপ। এটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।
এখন আসি তানজিরা ম্যাডামের ঘটনায়, উনি আগ বাড়িয়ে নিজের দিকে নিয়ে গেছেন যেটা আমাদের সারপ্রাইজ করেছে। আমার যতদূর ধারণা উনি রুপকের সাথে কানেক্টেড। রুপককে এভাবে ডাউন ভোট দেয়া হয়েছে বলে উনার রাগ হয়েছে, উনি আর কাজ করতে চান না। কোথায় উনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করবেন, উনি কোন প্রতিবাদ করেনি, প্রতিবাদ না করে উনি উল্টো বেরিয়ে যেতে চান। আমার কিছু বলার নেই এখানে, উনি বেরিয়ে যাওয়া মানেই রুপককে সমর্থন করা, আমি যেটা ভাবছি সেটাই। আর এসব জিনিষ আমি সমর্থন করি না। অতীতেও বহুবার বলেছি। উপকার করলেই আমি জানি যে, উপকারের প্রতিদান তো দেবেই না উপকারের স্বীকারও করবে বা উল্টো ক্ষতি করার চেষ্টা করবে যেটা বলে কৃতঘ্ন । মানে উপকারের অপকার করার চেষ্টা করেন যারা। এটা হয়েই আসবে, এটা থামবে না কোনদিন। তার জেহাদী চিন্তা ভাবনা বিশ্মিত করেছে আসলে, এটা বুঝা যায়নি যে সে এখানে যখন কাজ করতো অতি মধুর বাক্য, খুব নরম ভদ্র গোছের, কিন্তু তলে তলে একটা রাক্ষস লুকিয়ে ছিলো।
আসলে প্রতিটি মানুষই মুখোশ এটে থাকে সমাজে, মুখোশটা সরে গেলেই বুঝা যায় সে কেমন। এটাই কথা ছিলো, সবাইকে বলবো যে, প্রতিবাদ হোক কোন সমস্যা নেই । আপনি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, সেটা সেভাবে হোক মার্জিত ভাষায়, যুক্তি সঙ্গত, যুক্তি তুলে ধরে প্রতিবাদ করুন। এই পতাকা ছিড়ে ফেলা, এই আগুন করা, গালি গালাজ করা, এটা কোন মানুষের কাজ? ইন্ডিয়ানদেরও সেই একই কথা বলবো খারাপ ভাষায় না রিএ্যাক্ট করে ভদ্র ভাষায় দিবেন। কমিউনিটিটা একটা সুন্দর ও গোছালো কমিউনিটি ছিলো। সেটা যেভাবে নষ্ট করা হচ্ছে সেটা আসলে হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে কমিউনিটি বন্ধ হবে না সে ব্যাপারে আপনাদের এসিউর করতে পারি, সিস্টেমটা এভাবে করে দিবো যে অটো মড, অটোমেটিক মডারেটশন, এনগেজমেন্ট এতো লাগবে না, কমেন্ট মনিটরিং এর চাপ লাগবে না, সব কিছু ইজি করে দিবো একদম, রোবট চালাবো। ভোটও পাবেন অটোমেটিক ফুললি এবং বেসিস ডেলিগেশন এন্ড পুশ লকিং ।
এটা ভবিষ্যতে আসবে এটা আপনারা মাথায় রাখবেন। তবে এ্যাবিউজ কিন্তু উঠে যাচ্ছে না, আমি যদি স্টিমিট ছেড়েও দেই তবুও এ্যাবিউজ ওয়াচার টীম এ্যাক্টিভ থাকবে। তাদের আমি একটা সাপোর্ট দিয়ে যাবো। এ্যাবিউজ করে ইনকাম করতে পারবেন না কেউ। সব শেষে একটা কথা বলে যাই, যেটা আমার বাবাও বলে গেছেন আমিও বলে যাচ্ছি, উপকার করবেন কিন্তু এটা মাথায় রেখে যে যার উপকার করছেন সে কিন্তু সুযোগ পেলেই আপনার ক্ষতি করতে পারে এটা ভেবেই উপকার করবেন। এটা যদি আপনি না নিতে পারেন তাহলে উপকার করার দরকার নেই। উপকার করলে বাঁশ খেতে হবে এটা হচ্ছে একদম সঠিক কথা। কারণ মানুষ কৃতজ্ঞ থাকতে চায় না বর্তমানে। মানুষের মনে যখন কৃতজ্ঞতাবোধটা চলে আসে তখন যার প্রতি কৃতজ্ঞ তাকেই সে এনিমি ভাবে। আর মানুষ চেনা যায় না, মানুষ চেনা খুব কঠিন। প্রত্যেকটা মানুষ মুখোশ এটে থাকে। এরপর দাদা বলেন রুপককে কমিউনিটির এ্যাডমিন মডারেটরদের হতেও অধিক বিশ্বাস করতেন, সে প্রথম দিকে যখন দাম একটু বেড়েছিলো তখনও সে একবারে অনেক বড় সেল দিতে চেয়েছিলেন তখনও তাকে বুঝিয়ে থামানো হয়েছিলো, এখানে আরো বড় বড় বিনিয়োগকারী আছেন কিন্তু তারা বড় কোন সেল দিচ্ছেন না।
একটা প্রজেক্ট দাঁড় করাতে অনেক সময় লাগে। বাহিরের কিছু বিনিয়োগকারী ঢুকেছিলো তারা এতো বেশী দাম পড়া দেখে বেরিয়ে গেছেন আবার। একদিনে প্রায় বাংলাদেশী টাকায় ১২-১৩ কোটি টাকার পুশ বাই হয়েছিলো। এগুলো ছিলো বাহিরের বিনিয়োগকারী, কোরিয়ানও ছিলো কিছু, তো তারাও বেড়িয়ে গেছেন রুপকের কারণে, তার খুব অসম্ভব লোভের কারণে। তাকে সেল দিতে নিষেধ করা হয়নি, এক বছরে অল্প অল্প করে সেল দিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু সে রাজী হয়নি। সে অনেক টাকা নিয়ে বেরিয়ে গেছে, সে মনে হয় পাঁচ লাখের মতো স্টিম পাওয়ার আপ করেছে এবং ইউএসডি মনে হয় দুই লাখের মতো আছে। পুরো প্রজেক্টের অবস্থান সে নষ্ট করে দিয়েছিলো। একজন যখন অনেক বড় সেল দেয় তখন অনেকেই পেনিক হয়ে সেল দিয়ে দেয়। এতো দিনে পুশ দাম চার পাঁচ টাকার উপরে চলে যেতো কিন্তু হলো না সেখানে এখনো এক টাকারও কম। অতি লোভে যে কোন প্রজেক্ট শেষ করে দিতে পারে।
এই প্রজেক্টের পিছনে আমার এক মিলিয়ন ডলারের উপরে খরচ হয়ে গেছে শুধুমাত্র Infrastructure development, Listing এসবের জন্য। ক্রিপ্টো কারেন্সি কোন ছেলে খেলা নয়, সাধারণ যে কোন কাজ করাতে গেলেই এক লাখ ডলারের মতো খরচ হয়, অডিট করাতে গেলে ৯-১০ হাজার ডলার চায়। নানা ধরনের খচর আছে এখানে যেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। আমরা বার বার কমিটমেন্ট করেছি পুশকে ইউলিটি টোকেন করার এর জন্য সময় দিতে হবে তো। আমরা নিজেরাই সব ডেভোলপমেন্ট করার চেষ্টা করছি, থার্ড পার্টি দিয়ে না। নিরাপত্তার কারনে বাহিরে কাউকে নিচ্ছি না। এরপর তানজিরা ম্যাডামকে লাষ্ট অনুরোধ করেন থেকে যাওয়ার, চলে যাওয়াটা কোন সমাধান না। দাদার ভাই যেটা বলেছেন সেটা পুনরায় ব্যক্ত করেন, একজনের দোষের ভাগিদার অন্যরা কেন হবে। রুপকের দোষের ভাগিদার আপনাদের ঘাড়ে দিচ্ছি না তাহলে আপনারা কেন নিজেদের ঘাড়ে নিচ্ছেন।
তারপর কুইজ সেগমেন্টটি পরিচালনা করতে কমিউনিটির এ্যাডমিন আরিফ ভাইকে আহবান জানান। আর তাকে সহযোগিতা করেন মডারেটর সিয়াম ভাই, এ্যাডমিন সুমন ভাই এবং আমি। যেহেতু কুইজ পর্বের নিয়মগুলো একই রয়েছে তাই দ্রুত কুইজ শুরু করা হয়। পর পর চারটি কুইজ শেয়ার করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজয়ীদের রিওয়ার্ডস পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এরপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা দাদার পক্ষ হতে চারটি কুইজ শেয়ার করা হয় এবং বিজয়ীকে সাথে সাথে রিওয়ার্ডস পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর শুভ ভাই সুপার এ্যাকটিভ তালিকা প্রকাশ করেন এবং সবাইকে কাংখিতভাবে এ্যাকটিভ থাকার আহবান জানান।
তারপর শুভ ভাই গানের আসরটি শুরু করেন। তারপর একে একে
@bristychaki গান,
@neelamsamanta গান,
@kausikchak123 কবিতা আবৃত্তি,
@saymaakter কবিতা আবৃত্তি,
@selinasathi1 কবিতা আবৃত্তি এবং সবশেষে
@ah-agim কবিতা আবৃত্তি কবিতা আবৃত্তি করেন । সবাই এই আসরটি বেশ মুগ্ধতা নিয়ে উপভোগ করেন।
তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অফিসিয়ালি হ্যাংআউটের সমাপ্ত ঘোষণা করেন শুভ ভাই।
ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন এবং মডারেটদের, যারা রিপোর্টটি তৈরী করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
@hafizullah
Community TEAM
@rme ADMIN ✠ Founder 🔯
@blacks ADMIN Co-Founder & Operations Head ♛【IND】
@winkles ADMIN Executive Admin 🇮🇳 ✨
@hafizullah ADMIN Executive Admin 🇧🇩 ✨
@swagata21 ADMIN Community Admin 【IND】
@nusuranur ADMIN Community Admin 🇧🇩 ✨
@rex-sumon ADMIN Regulatory compliance Admin ✨
@moh.arif ADMIN Witness & Dev Team Admin ✨
@shuvo35 ADMIN Social Media & Marketing ✨
@kingporos MOD Community Moderator 🇮🇳 ✨
@alsarzilsiam MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@tangera MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@abb-school MOD Steem School ✍
@shy-fox MOD Extreme Curator
@amarbanglablog MOD Primary Curator ♛♝
@curators MOD Secondary Curator ♝
@photoman MOD Secondary Curator ♝
@royalmacro MOD Secondary Curator ♝
@abuse-watcher MOD Steem Watcher
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
প্রত্যেক সপ্তাহে হ্যাংআউটের রিপোর্টি এত সুন্দর ভাবে ভাই আপনি উপস্থাপন করেন যা পরে মনে হয় হ্যাংআউটেই অবস্থান করছি।হ্যাং আউট আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।বিভিন্ন রকমের তথ্য আমরা হ্যাংআউট পেয়ে থাকি।ধন্যবাদ ভাই দারুন একটি রিপোর্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই সুন্দর করে রিপোর্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার প্রিয় কমিউনিটি হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ। এখানের ইউজাররা আমার প্রাণের প্রিয়। প্রতিনিয়ত একটিভ থাকলে আমি নিজেও বেশ খুশি হই। তবুও আজকের রিপোর্টটি পড়ে বেশ হতাশ হলাম। নিজের ব্যস্ততার কারনে পিছিয়ে যাওয়া আমি আগামীতে নিজের একটিভিটি ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
সাপ্তাহিক হ্যাংআউট রিপোর্ট অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রতিটি বিষয়ে আপনি সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এই রিপোর্ট পড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো জানতে পারলাম।
সাপ্তাহিক হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে সেদিন দাদার কথাগুলো শোনার অপেক্ষায় ছিলাম আসলে হঠাৎ করেই হিউজ পরিসরে পুশ সেল দেওয়ার কারণে মার্কেটটা অর্ধেক নেমে এসেছিল যাইহোক সে বিষয় নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। পুরো বিষয়টা পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে হ্যাংআউট এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। সপ্তাহ জুড়ে অপেক্ষা করি হ্যাংআউট শোনার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো রিপোর্ট সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বরাবরের মতো এই সপ্তাহেও সাপ্তাহিক হ্যাংআউট রিপোর্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো।সাপ্তাহিক হ্যাংআউটে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দর একটি সময় উপভোগ করছি।আপনি দারুণ ভাবে পুরো পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
প্রতি সপ্তাহের মতোই সপ্তাহ আপনি সুন্দরভাবে হ্যাংয়াউট রিপোর্টটি লিখেছেন৷ দাদার কথাগুলো শুনে এবারে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। এখন পড়লামও। কি করা যাবে সময়ের ঘোরপ্যাঁচে যা আসবে তাই মাথা পেতে নিতে হবে৷ হাতে তো আর কিছু নেই৷
দারুন সুন্দর হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়লাম। যেন মনে হল চোখের সামনে সেদিনের সমস্ত কিছু আবার প্রকট হয়ে উঠলো। দাদার কথাগুলো ভীষণ ভালো লেগেছে। নরমপন্থী মনোভাবে আমিও সবসময় বিশ্বাসী। কোন চরমপন্থাই সমাজকে উন্নত করতে পারে না। একটি সুন্দর হ্যাংআউটের সাক্ষী ছিলাম সেদিন।
প্রতি বৃহস্পতিবারের হ্যাংআউট আমাদের সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অনেক তথ্য আদান প্রদান হয়। আমরা অনেক কিছু জানতে পারি অনেক কিছু শিখতে পারি। আপনি রিপোর্ট আবারো বিস্তারিত আমাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।