আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি তবে মন ভালো নেই, কেন ভালো নেই সেটা আবার জিজ্ঞেস করিয়েন না। জিজ্ঞেস করলেও কারণটা বলতে পারবো না, হি হি হি। জীবনের অনেক কিছুই যেমন আমরা লুকিয়ে রাখি ঠিক তেমনি আবার অনেক কিছুই কিন্তু শেয়ার করি। এখানেও আমাদের একটা সীমানা আছে, চাইলেও আমরা অনেক ক্ষেত্রে সেই সীমানা পার হতে পারিনি। অবশ্য আজকাল অনেক কিছুই আর আগের মতো নেই, অনেকেই এখন অনেক কিছু শেয়ার করে ভাইরাল হয়ে যায় হি হি হি।

শুক্রবার হলেও আজকে কেন জানি খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেছে, সত্যি বলতে ছুটির দিনগুলোতে আমরা যারা চাকুরীজীবী তারা একটু বেশী সময় ঘুমাতে চাই কিন্তু বিশ্বাস করে সেদিন আর ঘুম আসতে চায় না, মনে হয় সে নিজেই ছুটিতে চলে গেছে আমাকে ফেলে রেখে হা হা হা। কি অদ্ভুত একটা সমীকরণ, যেদিন অফিস খোলা থাকে সেদিন খুব বেশী ঘুম পায়, বিছিানা ছেড়ে আর উঠতে মন চায় না, ঘুমও কেমন জানি আর ছাড়তে চায় না। চোখ দুটো সেদিন টেনে মেলতে ভীষণ কষ্ট হয়। মনে চায় আরো আধ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিলে ভালো হতো, একদিন অফিসে লেট হলে কি এমন ক্ষতি হবে?

fairy-tale-1180921_1280.png

নানা প্রশ্ন এমনভাবে আসে যেন মনে হয় অফিসটা আমার নিজের, দুই ঘন্টা লেট হলেও কোন সমস্যা হবে না, হি হি হি। বিশ্বাস করেন মাঝে মাঝে আমার খুব বিরক্ত লাগে, মনে হয় দড়ি দিয়ে ঘুম ব্যাটাকে বেঁধে খুব আচ্ছা করে পিটুনি দেই তারপর পিটুপিতে গিয়ে সেল করে দেই হা হা হা। যাতে আর ফিরে এসে ডিস্টার্ব করতে না পারে। পরে আবার চিন্তা করি পিটুপিতে যদি সেল করে দেই তাহলে তো পুরো সপ্তাহজুড়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে, কি আর করা! আমরা সাধারণ জনগণ সরকার বাহাদুর আমাদের যেমনি চালাবেন ঠিক তেমনিই আমাদের চলতে হবে।

স্কুল জীবনের কথাই চিন্তা করুন, পরীক্ষার সময়গুলোতে ঘুম যেন খুব বেশী চেপে বসতো, সিরিয়াস পড়া পড়তে বসেও বার বার ঘুম সব থামিতে দিতো। ঐ দিকে ঘুমের ঘোরে মাঝে মাঝে উল্টা পাল্টাও পড়তে শুরু করতাম, বাবা-মার চিৎতার শুনে আবার হুঁশ ফিরে আসতো। আপনাদের নাও হতে পারে কারণ ঘুমের সাথে হয়তো আপনাদের শান্তি চুক্তি ছিলো। কিন্তু আমার বেশ সমস্যা হতো কারন আমার সাথে কোন চুক্তি ছিলো না। পড়ার টেবিলে প্রায় আমি ঘুমিয়ে যেতাম, আম্মুর বকুনি খেয়ে আবার ঘুম হতে উঠে, পড়তে বসতাম। বহুবার এমন হয়েছে আমার হি হি হি।

ঘুম আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজন, তবে সেটারও একটা নির্দিষ্ট সময় কিংবা সীমা আছে, এর বাহিরে গেলে সেটা আর ভালো থাকে না বরং ক্ষতিকর হয়ে উঠে। ঘুমের বিষয়টিও আমাদের অভ্যেসের উপর নির্ভরশীল কিন্তু যদিও সেটা আপনি গড়ে নিতে পারেন আর যদি আমার মতো হোন তাহলে ঘোর বিপদ আসে সামনে। শুধু ঘুমের না মাঝে মাঝে বউয়ের মাইরও খেতে পারেন হি হি হি। আবার ভাইবেন না আমি সেই দলে, উল্টা পাল্টা ভাবলে কিন্তু পাপ হবে হি হি হি।

Image Taken from Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আপনার এই আবোল-তাবোল জীবনের গল্প গুলো পড়লে বেশ মজা পাই। আপনি দারুণ সুন্দর করে মজার মজার কথা বলে এই লেখাগুলিকে সম্পূর্ণ করেন। এই লেখাটিও আমার খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলার বিভিন্ন ঘটনা মজার আঙ্গিকে লিখে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

 2 months ago 

আপনার কাছে লেখাগুলো ভালো লাগে শুনে খুশি হলাম ভাই, অনেক ধন্যবাদ

 2 months ago 

এটা বেশ দারুন বলেছেন যেদিন অফিস খোলা থাকে সেদিন বেশি ঘুম পায় আর যেদিন বন্ধ থাকে সেদিন আগেই ঘুম ভেঙে যায়। ছোটবেলায় আমারও আপনার মতই অবস্থা হতো। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতাম আবার বকুনি শুনে লাফিয়ে উঠে পড়তে বসতাম। সেই সব দিনগুলোর কথা ভাবলে বেশ দারুন লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 months ago 

হি হি হি, বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো সকলের জন্য একই রকম থাকে। ধন্যবাদ

 2 months ago 

এই ঘুম নিয়ে আর কি বলবো ভাই। আপনি একদম সঠিক কথাগুলো আজকে বলেছেন। যেদিন করে কোনো কাজ থাকে না সেই দিন একটু বেশি করে ঘুমাতে চাইলে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম উধাও হয়ে যায় চোখ থেকে। কিন্তু যেই দিন ব্যস্তময় সময় থাকে সেই দিনই সব থেকে বেশি ঘুম ধরে। কি এক জ্বালা। পড়ার টেবিলে আমিও অনেক কয়েক দিন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যাই হোক সব মিলিয়ে আমাদের উচিত ঘুমকে পরিণতভাবে কভার করা। তবেই ঠিকঠাক থাকা যাবে।

 2 months ago 

ঘুমও মশকরা করে আমাদের সাথে, চাইলে আসে না আর না চাইলে দৌড়ে চলে আসে হা হা হা।

 2 months ago 

নিশ্চিত ভাবির সাথে ঝগড়া হয়েছে এজন্যই আপনার মন খারাপ হাহাহা। আর এই বিষয়টা আমার কাছেও বেশ বিরক্ত লাগে, যেদিন একটু সুযোগ পাই ঘুমানোর জন্য সেদিনই ঘুম আসে না। এই বিষয়টা আসলে এত বিরক্তিকর যেটা আসলে বোঝানো যায় না। আর যে সময় গুলো আমাদের তাড়াতাড়ি উঠতে হয় সেই সময়ে ঘুম চেপে ধরে, ইচ্ছে করে না ঘুম থেকে উঠতে। যাইহোক সবকিছুকেই তো মেনে নিতে হবে। জীবন তো আর আমাদের নিয়মে চলবে না। জীবন জীবনের বিধানই চলবে।

 2 months ago 

আপনার লেখাগুলো সবসময়ই যৌক্তিক আর মজার হয়।ঘুম নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা একদম বাস্তব, আমরাও কম-বেশি সবাই এর শিকার। বিশেষ করে ছুটির দিনে ঘুম উধাও হয়ে যায়, আর কাজে বের হওয়ার দিনে চোখে রাজ্যের ঘুম।ছোটবেলার পড়ার টেবিলে ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনাগুলোও মনে পড়ে গেল। দারুণ একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ, পড়তে গিয়ে বেশ মজা পেলাম ভাই।

 2 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই,চাকরি জীবনে আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখতাম ছুটির দিন সকালে ইচ্ছেমতো ঘুমিয়ে, অনেক দেরী করে ঘুম থেকে উঠবো। কিন্তু ছুটির দিন সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যেতো হা হা হা। আসলে আমরা অনেক সময় যা ভাবি,তার বিপরীতটা ঘটে যায়। যাইহোক প্রতিটি মানুষের ঠিকমতো ঘুমানো উচিত। এতে করে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.14
TRX 0.25
JST 0.031
BTC 84606.50
ETH 1580.74
USDT 1.00
SBD 0.83