তেঁতুল দিয়ে লেয়ার মুরগির চামড়ার চাটনি || Bengali Recipe by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
ভাবিনি আমি এতোদিন তোমাকে
খুঁজিনি আমি এতোদিন তোমার স্মৃতি,
মেঘলা আকাশ, শীতল বৃষ্টি, ভিন্ন পরিবেশে
কেন তুমি আজ ফিরে আসছো বারে বারে হৃদয়ে?
কেন হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকে স্মৃতি?
কেন ভালোবাসা যায় না অন্ধকারে হারিয়ে?
কেন সময়ে অসময়ে পুরনো স্মৃতি আঘাত করে?
কেন তুমি এভাবে আজ ভাসো অন্য আকাশে?
মাঝে মাঝে থেমে যায় আবেগের গতি
মাঝে মাঝে থেমে যায় হৃদয়ের অনুভূতি,
কলমের কালি যেন হালকা হয়ে যায়
কবিতার ছন্দগুলো যেন ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
তবুও কবির হৃদয় খুঁজে আবেগের গতি
ফেরাতে চায় কবিতার ছন্দে হৃদয়ের আকুতি
মেঘলা পরিবেশে, স্মৃতির আলোড়নে
কেন খুঁজে হৃদয়, শুধু তোমার অনুভূতি।
উপকরণ সমূহঃ
- লেয়ার মুরগির চাড়মা
- তেঁতুল
- কালো সরিষা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- গরম মসলা গুড়া
- লবন
- চিনি
- সরিষার তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমের লেয়ার মুরগির চামড়াগুলোকে পরিস্কার করে নিয়েছি এবং তেঁতুলগুলো গুলিয়ে নিয়েছি। বরাবরের মতো এই কাজটা আপনাদের ভাবি করেছে। অবশ্য এই রেসিপিটি তৈরী করতে বেশ সহযোগিতা করেছে আমাকে।
তারপর একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে গরম করেছি এবং তারপর সেখানে অল্প পরিমানে সরিষা দিয়েছি।
তারপর পরিস্কার করে রাখা লেয়ার মুরগির চামড়াগুলো দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি।
তারপর লবন, হলুদ, মরিচ ও গরম মসলার গুড়া দিয়ে মিক্স করেছি এবং কিছুটা সময় রান্না করেছি।
তারপর কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি যাতে একটু দ্রুত চামড়াগুলো সিদ্ধ হয়ে যায়।
এরপর তেঁতুলের ক্লথ দিয়েছি এবং তারপর কিছুটা সময় রান্না করেছি।
তারপর টক কিছুটা হ্রাস করার জন্য পরিমান মতো চিনি দিয়েছি এবং তা মিক্স করে নিয়েছি।
তারপর আরো কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি এবং লবন ও টকের স্বাদ চেক করে নামিয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেলো ভিন্ন ধরনের স্বাদের বিশেষ রেসিপি। তবে আমার রান্নায় চিনির পরিমান একটু কম হয়েগিয়েছিলো যার কারনে টক একটু বেশী লেগেছিলো। তবে পরের বার চিনির পরিমান একটু বেশী দিয়ে দেখবো। কিন্তু স্বাদটা আমার কাছে দারুণ লেগেছিলো। আমি এমনিতে শুধু শুধু এবং তারপর গরম ভাতের সাথে খেয়েছি, পুরো দুই প্লেট ভাত নিমিষেই উধাও হয়ে গিয়েছিলো, হা হা হা হা।
আপনারা চাইলে বৌদির রেসিপিটিও দেখতে পারেন, যদিও আমি কিছু মসলাযুক্ত করে রান্না করেছি, হুবহু নকল করি নাই কিন্তু হি হি হি। বৌদির পোষ্টের লিংক
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
বৌদির রেসিপিটি দেখে সেদিন লাভ লেগেছিল খুব । আপনি আবারো এই রেসিপি শেয়ার করলেন। এখন তো আরো লোভ লাগছে বৌদি টা তো খাওয়া সম্ভব নয় আপনার রেসিপি কিন্তু খাওয়া সম্ভব। যেকোনো সময় হাজির হয়ে যাব কিন্তু এই সুস্বাদু রেসিপি খাওয়ার জন্য।
আর আপনার অনুকাব্য টা কিন্তু দারুন হয়েছে। ভাবি কি জানে?
আপনি তেঁতুল দিয়ে লেয়ার মুরগির চামড়ার চাটনির রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
লেয়ার মুরগির চামড়ার রেসিপি যে এতো সুন্দর হতে পারে তা ভাবিনি। সত্যি দাদা খুব দেখতে ভালো লাগছে ছবিতে। আশাকরি খুব সুস্বাদুও হয়েছে। আপনি তনুজা বউদির কাছ থেকে রেসিপি তৈরীর আগ্রহ পেয়েছেন এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো। দিদি সত্যিই তো খুব ভালো রেসিপি বানায়।
হুম আপু এটা সত্যি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি ছিলো, বৌদি না বানালে জানতেই পারতাম না। খালি দেখতে না খেতেও অনেক স্বাদের হয়েছিলো।
আমার কাছে মুরগীর চামড়া খেতে ভালোই লাগে।তবে কখনো আমার তেতুল দিয়ে খাওয়া হয়নি।বৌদির রেসিপি দেখেছিলাম।যাই হোক আপনি যেহেতু বলেছেন তাহলে ভালোই হবে।বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবো।আর অনুকাব্যটা ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আমার কাছেও খেতে অনেক ভালো লাগে, এটা চেক করে দেখতে পারেন, স্বাদের ছিলো বেশ।
ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া তেঁতুল দিয়ে লেয়ার মুরগির চামড়ার চাটনি। দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো 🥀
একদমই ভাই, পুরা ডাবল ইউনিক শুধু বৌদি হতে রেসিপিটি দেখে নিয়েছি একটু হা হা হা।
সেরা ছিল❣️এমন আমি কখনো দেখিওনি বা শুনিওনি।যদিও মুরগির চামড়া আমি খাইনা,তবে দেখে বেশ ভালো লাগলো। খেতেও নিশ্চয় ভালো হয়েছিল।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ভাই🥰
আরে আমি নিজেও কোন দিন এই রেসিপি দেখি নাই, যদি না বৌদি এটা শেয়ার করতেন। তবে মজার ছিলো বেশ।
ভাইয়া তেতুঁল দিয়ে লেয়ার মুরগির চামড়ার চাটনি খেয়ে মনে হচ্ছে চনমনে হয়েছেন তাহলে কবিতার ছন্দ গুলো ফ্যাকাশে হওয়ার তো কথা নয় হি হি হি!!
খুব ভালো লেগেছে লাইনগুলো।
লেয়ার মুরগির চামড়া অনেক চর্বি যুক্ত ও শক্ত হয় তাই খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। কিন্তু কখনো তেতুল দিয়ে লেয়ার মুরগির চামড়া চাটনি করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে জানতে পারলাম রেসিপিটি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল। এখন আমিও আপনার রেসিপি দেখে খুব দ্রুতই ট্রাই করবো। রেসিপিটি শেয়ার করুন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সেটাই তো আমি চিন্তা করছি ছন্দগুলো ফ্যাকাশে হওয়ার কথা না, কিন্তু কেন হচ্ছে সেটাও বুঝতে পারছি না, হা হা হা। জ্বী বেশ স্বাদের হয়েছিলো, আমার কাছে ভালো লেগেছে, কারন আমি টক খেতে বেশ পারি।
ভাইয়া,আপনার লেখাগুলো বরাবরই অনেক সুন্দর হয়। আপনার লেখাগুলো পড়লে সত্যি মনের মধ্যে অজানা শক্তি পাওয়া যায়।লেখা-লেখি মানুষের জ্ঞান শক্তি বৃদ্ধি করে যেমনটা আপনার লেখাগুলো পড়লে আলাদা জ্ঞান অর্জন করা যায়।ভাইয়া, আপনার লেখা যেমন সুন্দর লেখেন তার থেকে বেশি সুন্দর কবিতা গুলো লেখেন। ভাইয়া,আপনার কবিতার প্রতিটি লাইনে আমি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছি খুবই ভাল লেগেছে। ভাইয়া, আমি বৌদির রেসিপিটি দেখেছি বৌদি খুব লোভনীয় ভাবে তেতুল দিয়ে হাঁসের চামড়ার চাটনি তৈরি করেছিল সেটি দেখে আমি মনে মনে চিন্তা করেছিলাম এ রেসিপিটি তৈরি করব।তবে ভাইয়া,আপনি লেয়ার মুরগির চামড়া দিয় খুবই সুস্বাদু চাটনি তৈরি করেছেন। কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ভাইয়া আপনাদের রেসিপি গুলো দেখে আমার খুব ইচ্ছে করছে ঘরে তৈরি করি এই রেসিপি আশাকরছি তৈরি করব এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, এতো সুন্দর রেসপন্স করার জন্য। চেষ্টা করি ভেতরের আবেগগুলো সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্য। সত্যি খেতে অনেক স্বাদের হয়েছিলো, আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন রেসিপিটি।
তেতুল দিয়ে লেয়ার মুরগির চামড়ার চাটনি ওয়াও দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল 😋😋যদিও এভাবে কখনো রেসিপি প্রস্তুত করে খায়নি ।রেসিপিটি নতুন এবং ইউনিক মনে হচ্ছে আমার কাছে। যাহোক খুব সুন্দরভাবে রন্ধনপ্রণালী তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগছে বাসায় একবার ট্রাই করে দেখতে হবে খুব শীঘ্রই কারণ দেখেই জিভে জল চলে এসেছে।
হুম, ভাই একদম ভিন্ন টাইপের কিছু ছিলো, জাস্ট অসাম একটা স্বাদ।