আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, যেমন আছি তবুও বলার চেষ্টা করছি ভালো আছি। যদিও কাল সারারাত এক ফোঁটাও ঘুমাতে পারিনি মানে সামান্য সময়ও ঘুমাতে পারি নাই, সুতরাং বুঝতেই পারছি অসুস্থতা সব কিছু কেমন উলট পালট করে দিচ্ছে। বাস্তবতা মাঝে মাঝে খুবই কঠিন হয়ে যায় এবং সেটা মেনেই আমাদের গতিশীল হওয়ার চেষ্টা করতে হয়। পোষ্টটি যখন আপনারা পড়বেন ততোক্ষণে হয়তো আমি রাস্তায় থাকবো, গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কারন আজ বড় নানির মৃত্যুর পরবর্তী খরচ করা হবে তাই অসুস্থ শরীর নিয়েই সেদিকে যাচ্ছি।

এটা একটা কঠিন পরিস্থিতি কারন না গেলেও সমস্যা হবে আবার যাচ্ছিও সমস্যা নিয়ে। তবে অনুষ্ঠান শেষে সাথে সাথে আবার নিজ বাড়িতে ফিরে আসার ইচ্ছা আছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক থাকে কিনা। দেখুন সুস্থ্যতা আল্লাহ তায়ালার একটা বড় নেয়ামত, সেটা আমি সেই ছোটবেলা হতেই বেশ ভালোভাবে বুঝে আসছি। কারনে অকারণে প্রায় নানা বিষয়ে আমি অসুস্থ থাকতাম, সেটা নিয়ে আমার অভিযোগেরও শেষ নেই। থাক সেসব নিয়ে আলোচনা অন্য কোন দিন করার চেষ্টা করবো। আজকে শুক্রবার আবোল তাবোল জীবনের স্পেশাল ডে এবং বিশেষ কিছু লেখার দিন।

আমার সাঁতার শিখতে খুব বেশী কষ্ট করতে হয়নি শুধুমাত্র কয়েক কলস নদীর পানি খাওয়া ছাড়া হি হি হি। কারন কেউ আমাকে হাতে ধরে সাঁতার শেখায়নি, বরং আমি নিজ হতেই জেদ ধরে সাঁতার শিখেছিলাম তাই খুশি মনে পেট পুরে নদীর পানি খেয়েছিলাম হা হা হা। সেদিন ছেলে এসে বলে আমাদের এলাকায় নতুন একটা সুইমিং পুল খোলা হয়েছে, অনেকেই কার্ড করে সেখানে সাঁতার শিখছেন। বিষয়টি তাকে ভালোভাবে জানতে বললে, সে বললো কার্ড করলে দশ হাজার টাকা লাগবে, আর কার্ড ছাড়া টিকেট কাটলে প্রতি ঘণ্টার জন্য তিনশত টাকা লাগবে, তবে বাড়তি একজন প্রবেশ করতে দিবে যাতে সহজেই কেউ সাঁতার শিখতে পারেন।

আমি টিকেট সিস্টেম এ যেতে বললাম, তার মামাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলো সাঁতার শিখতে, পরের দিন সারাদিনই বাড়িতে শুয়ে ছিলো, পুরো শরীর তার ব্যথা আর মামার শরীরে ডাইরেক্ট জ্বর চলে আসছে। চিন্তা করেন তাহলে মামা ভাগিনা মিলে কি করছে? কাজের কাজ তো কিছুই হয় নাই আমার পকেট হতে তিনশত টাকা নাই আর অন্য দিকে তারা দুইজনই অসুস্থ। বিষয়টি আমাকে খুব হতাশ যেমন করেছে ঠিক তেমনি হাসিয়েছেও অনেক। দেখুন জেদ বা আগ্রহ সেটার লেভের সঠিকভাবে না থাকলে জীবনে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়, আয়েশের মাধ্যমে কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়।

কোন কিছু করতে বা শেখতে হলে তেমন একটা আগ্রহ থাকা চাই এবং সেটা যে কোন মূলে হাসিল করার দৃঢ় মানসিকতা চাই। বড় ভাইয়ের সাথে রাগ করে এবং অনেবটা জেদের বসেই আমি একদিনে সাঁতার শিখেয়েছিলাম, কেউ ধরার ছিলো না, উৎসাহ জোগানোর কেউ ছিলো না, কত কলস পানি খেয়েছি সেটা চেক করারও কেউ ছিলো না। কিন্তু একটা জেদ ছিলো, জেদকে পূর্ণতা দেয়ার দৃঢ় মানসিকতা ছিলো। যেটা বর্তমান প্রজন্মের মাঝে একদমই নেই, তারা যেমন কষ্ট করতে রাজি নয় ঠিক তেমনি দৃঢ় মানসিকতা নেই। দুনিয়াতে সহজ বলতে কিছুই নেই, সেটা তারা কোনভাবেই বুঝতে চায় না।

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy