প্রকৃতির ফটোগ্রাফি- সবুজের অনুভূতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তবে বেশ আগ্রহ নিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষা করছি। যদিও মাঝে দুই দিন বৃষ্টিও একটু মজা নিয়ে নিলো। মানে দুটো মিসকল দিয়ে হাওয়া হয়ে গেলো, একটু আশা জাগ্রত করে দুই চার ফোঁটা বৃষ্টি হয়ে তারপর থেমে গেলো। আসলে এই সময়টায় চারপাশে প্রচুর ধুলোবালি থাকে, যার কারণে আমাদের মতো নতুন রোগীদের একটু বেশী কষ্ট সহ্য করতে হয়। এছাড়াও সড়কের পাশের গাছগুলোর সবুজ ভাব হারিয়ে একটু ভিন্ন রকম হয়ে যায়।
কারণ ধুলোর আস্তর জমে যায় পাতাগুলোর উপর, গাছের যে সজীব একটা ভাব থাকে সেটাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই জন্য ফটোগ্রাফি করেও খুব একটা তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তবে একটু বৃষ্টিপাত হলেই হয়তো চারপাশের পরিবেশ পাল্টে যাবে, সবুজের সাথে সজীবতা হয়তো আবার ফিরে আসবে। আমি নিজেও বাড়ির গাছগুলোতে নিয়মিত পানি দেয়ার চেষ্টা করি এবং তাদের সবুজ ভাবটাও ধরে রাখার চেষ্টা করি। যেহেতু অল্প স্বল্প ফুল গাছও রয়েছে বাড়ির সামনে, সেহেতু সেগুলোর সজীব ভাবটা না থাকরে দেখতেও সুন্দর লাগে না। যাইহোক, প্রকৃতি হয়তো প্রকৃতির মতোই গতিশীল থাকবে।
সেটা আমাদের জন্য ভালো হোক কিংবা খারাপ হোক, মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আজকে প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আমার ফটোগ্রাফির অবশ্য বেশির ভাগ দৃশ্যই থাকে গ্রামীন প্রকৃতির। কারণ আমি সুযোগ পেলেই গ্রামীন পরিবেশে ছুটে যাই এবং প্রকৃতির নির্মল সৌন্দর্য খুব কাছ হতে উপভোগ করার চেষ্টা করি। এই অভ্যেসটা আমার কিন্তু সেই ছোটবেলা হতেই ছিলো। স্কুল ছুটি হলে প্রায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে চলে যেতাম এবং ভিন্ন পরিবেশের সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করতাম।
এখন অবশ্য গ্রামীন পরিবেশে একটা ব্যস্ততা আছে, কারণ শীত যেহেতু শেষ এবং বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার একটা পরিবেশ আসতেছে। সেহেতু রবিশস্য এর শেষের অংশ এখনো যাদের খেতে রয়েছে, সেগুলো দ্রুত তুলে নেয়া হবে। তারপর ধান চাষের প্রস্তুতি পর্ব শুরু করা হবে এবং বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার আগেই সেটা সম্পন্ন করতে হবে। অনেকেই অবশ্য গভীর নলকূপের পানির দ্বারা জমিতে সেচ দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সত্যি কথা হলো আগের তুলনায় অনেক মানুষই ধান চাষ হতে এখন বিমুখ। তারা বরং নানা উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন জাতের সবজি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। সেটাও আমার দৃষ্টিতে একটা ভালো দিক, লাভ না হলে কৃষক সে পথে কেন হাটঁবেন?
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের প্রতিনিয়ত চারিদিকে গাছপালা লাগানো উচিত। তবে আমরা পরিবেশের সুন্দর সবুজ দৃশ্য বেশি ভালো উপভোগ করতে পারব। পরিবেশে গাছপালা সংখ্যা অনেক বেশি কমে যাচ্ছে যার ফলে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। দেখে ভালো লাগলো যে আপনি গাছপালা খুবই পছন্দ করেন এবং তাদের খুবই যত্ন করেন। আমারও গাছপালা লাগাতে এবং তাদের পরিচর্যা করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু চারিদিকে এই খরা রোদ এবং দূষণের ফলে গাছপালারও অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে চলেছে। তবে আমাদের কখনোই কৃষি কাজ এবং গাছপালা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত হবে না। যাই হোক আপনার এই পোষ্টটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
সত্যি বলতে ভাই নিজের বাড়ির সামনে কিছু সবুজ গাছ থাকা মানেই বাড়ির পরিবেশটা সতেজ রাখা, অনেক ধন্যবাদ।
গ্রামীণ পরিবেশ মানেই প্রকৃতির সজীবতায় নিজেকে এলিয়ে দেওয়া। তবে একথা সত্য এখন ধুলোর জ্বালায় সেই সবুজ ভাবটা আর নেই। বর্ষাকাল এলেই আবার সব কিছু প্রাণ পাবে৷ আপনার ছবিগুলো বেশ ভালো হয়েছে। দেখে ভালো লাগছে৷
একদম, এই জন্যই আগ্রহ নিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষা করছি, কখন যে আসবে শীতলতার পরশ নিয়ে হি হি হি। ধন্যবাদ
প্রকৃতির পরিবর্তন আর গ্রামীণ পরিবেশের প্রতি আপনার ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। বৃষ্টির অপেক্ষা, গাছের সবুজ ভাব ধরে রাখার চেষ্টা, এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম সবই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বর্তমানে কৃষকরা যে সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন, তা একদিকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে, আবার আরেকদিকে কৃষির প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। প্রকৃতি যেমন গতিশীল, তেমনই আমাদের জীবনও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়, এবং সেই পরিবর্তন মেনে চলাটা আমাদেরই কাজ।
কৃষিকাজ করা মোটেই সহজ কাজ নয়। তাই কৃষকদের অবশ্যই নিজেদের লাভের দিকে তাকানো উচিত। যাইহোক আপনার শেয়ার করা গ্রামীণ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার বরাবরই খুব ভালো লাগে। এই ফটোগ্রাফি গুলোও বেশ উপভোগ করলাম ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামীণ প্রকৃতিতে এখন সত্যি একটা ব্যস্ততা রয়েছে এটা সরাসরি দেখলে বোঝা যায়। তবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন ভাই। গ্রামীণ এমন দৃশ্য খুবই সুন্দর লাগছে। অসাধারণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।